Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“ঠাকুর দেখা ও দেরিতে ফেরার নাটক: সমাজের গভীরে লুকানো নিরাপত্তাহীনতার ছবক!”
ঘটনার পর এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া, কিন্তু হৃদয় ভাঙার চেয়ে অবাক হওয়া যেন বেশি! ঠাকুর দেখা ও দেরিতে বাড়ি ফেরার মত সাধারন বিষয় নিয়ে এমন বিশাল অঘটন, আমাদের রাজনৈতিক সিস্টেমের নিকৃষ্টতা ও সামাজিক ভঙ্গুরতার এক ন্যূনতম প্রতিবিম্ব। কিভাবে অব্যবস্থাপনা আর অদূরদর্শী নেতৃত্ব একটি সাধারণ জীবনকেও বিপন্ন করে তুলতে পারে—এ যেন মানুষের অবসাদে ভরা প্রতিফলন।

দুর্গাপুজোর ভিড়ে হারানো যাত্রীদের খবরের জন্য পুলিশের নতুন বিধান, মদ্যপ চালকরা প্রশ্নবিদ্ধ, নিরাপত্তার সংকট কি বাড়ছে?
দুর্গাপুজোর এ সমীরণে নাচ-গান ছাড়াও হারিয়ে যাওয়ার আতঙ্কও বাসা বাঁধে। পুলিশকে বলছে, মদ্যপ চালকদের রেষারেষি ঠেকাতে সতর্ক থাকো, কিন্তু প্রকৃতিতে কোথাও গাঢ় সন্দেহ। ১০ হাজার পুলিশ বাহিনী তো আছেই, কিন্তু কে খুঁজবে হারানো আত্মা? তবুও, প্রশাসনের কড়াকড়ির মনে আনন্দের সুর বাজে; ঢাকা পড়ে যায় নেতৃত্বের খামতি, সমাজের নষ্টালোকের উপর গভীর সরস্ ব্যঙ্গ।

জেপি নড্ডার পুজো উদ্বোধন: কলকাতায় জুনিয়র ডাক্তারদের ১০ দফা দাবি, ধর্মতলায় আন্দোলনের নতুন অধ্যায়!
আজ বিজেপি কাউন্সিলর সজল ঘোষের হাত ধরে দুর্গাপুজোর উদ্বোধনে কেন্দ্রীয় নেতাদের ভিড়, আর অপেক্ষাকৃত স্বল্প স্বরবেগে ধর্মতলায় জুনিয়র ডাক্তারদের দশ দফা দাবি, যেন এক অন্যরকম নাটক। স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী এসেছেন, কিন্তু হাসপাতালের অবস্থা, যেন অদৃশ্য বাবামার প্রার্থনার মতো, শুনশান। আমাদের সমাজে রাজনীতির মঞ্চে নানান চালের খেলা চলছে, যেখানে চিকিৎসকরা এমার্জেন্সিতে, আর রাজনৈতিক নেতারা পুজোতে বুঁদ। একদিকে একনিষ্ঠতা, অন্যদিকে ঘোষণার পটভূমিতে লুকানো অসুবিধার যন্ত্রণা—এই বাঁকি রাজনীতির হাস্যরসই যেন রবীন্দ্রনাথের মৃদু গুহ্যির মতো।

“হোমিওপ্যাথির হাত ধরে ‘অটল’ চিকিৎসা শিক্ষার সময়ে সরকারি বৈঠক: শিক্ষার সুরম্য স্বপ্ন নাকি রাজনীতির কাটা?!”
সল্টলেকে হোমিওপ্যাথির বৈঠকে চেয়ারপার্সনের মন্তব্যে দেখা গেল, চিকিৎসাশাস্ত্রের গরিমা রক্ষার অঙ্গীকার। তিনি জানালেন, চিকিৎসকদের জন্য সিএমই-র বাধ্যতামূলক অংশগ্রহণ। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, গঠনমূলক শিক্ষা কি আসলে রাজনৈতিক খেলার একটি নতুন অধ্যায়, নাকি ক্ষমতার টেবিলে সদা পরিবর্তনশীল কৌশল? বুঝতে হবে, বিদ্যুতের আলোও যথেষ্ট নয়, যদি তার সঙ্গী না থাকে সমাজের সুশাসনের জোরালো হাত!

“বন্যার ক্ষত, ফুলের দাম আকাশ ছোঁয়া: পুজো উদ্যোক্তাদের বিরুদ্ধে শাসকের অদক্ষতা ও সমাজের গরিমা!”
ব্যবসায়ীদের মনে করা দাম বেড়েছে চরমে, তবে ফুলের ব্যবস্থাপনার দোলাচল যেন রাজনৈতিক নেতৃত্বের দূরদর্শিতার অভাবের ফসল। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে সম্পদের একটি মৌলিক সংকট, পুজো উদ্যোক্তারা যেন করুণ কাহিনীর পাত্র। জঙ্গলমহল থেকে পদ্ম পাঠানো হলেও, কি আদৌ সস্তায় ফুলই কেনা যাবে? বর্তমান পরিস্থিতিতে ধার্মিকতারও হাস্যকর রূপ প্রকাশ পাচ্ছে, কারণ রাজনৈতিক বক্তব্যগুলো কার্যত ফুলের মতোই মূল্যহীন হয়ে উঠছে।

“পূজোর নিরাপত্তা, ক্ষমতার খোঁচা: পূর্ব মেদিনীপুরে পুলিশের নতুন টহল, জনগণের মনোভাব কি বদলাবে?”
পূর্ব মেদিনীপুরে দুর্গাপুজোর নিরাপত্তা নিয়ে পুলিশের উইনার্স টিম টহল দিচ্ছে, যেন উৎসবের আবহে রাজনীতির গোপন গদ্যে সমাজের স্থিতিশীলতা রক্ষা হয়। ১৭৮৯টি পুজো, কিন্তু নিরাপত্তার খরচের চেয়ে কি ভোটের ইশারাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ? মসৃণ Governance-এর স্বপ্নে সমাজের বিশ্বাসে গভীরে দাঁড়িয়ে প্রার্থনা করে সাধারণ মানুষ।

বিচারপতির চোখে পরিবারের কল্যাণ, তবে রাজনীতিতে নাড়াচাড়া বন্ধ! – রাজনীতি বা সমাজের পরিণতি কি কোন দিন বদলাবে?
বিচারপতি মধুরেশ প্রসাদের বেঞ্চে চলা মামলার প্রেক্ষাপটে বাবা-মায়ের ego ত্যাগের আহ্বান, যেন আমাদের সমাজের রাজনৈতিক চরিত্রের এক অদ্ভুত প্রতিফলন। নেতারা পরিবারবর্গের কল্যাণের কথা বললেও, বাস্তবতার নির্মমতায় সংসারের টানাপোড়েন নিয়ে গার্হস্থ্য যুদ্ধে নিপতিত হন। আদালতের নির্দেশে সপ্তাহে দু'দিনের সাক্ষাৎ, মানবিক সম্পর্কের চূড়ান্ত নিষ্পত্তি—তবে কি আসলেই আমাদের নেতারাও তাদের দায়িত্ব ও মানবিকতা অতিক্রম করতে প্রস্তুত? তীব্র বিতর্ক, সামাজিক চাপ, সম্ভবত এখানেই প্রকৃত খেলা ঘোরাতেই।

“পুজো মণ্ডপে ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’: লালবাজারে আন্দোলন, রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে মানবাধিকারের অমানিষা!”
গতরাতে পুজো মণ্ডপের সামনে 'উই ওয়ান্ট জাস্টিস' স্লোগান দেওয়ার কারণে গ্রেফতার হওয়া প্রতিবাদীদের মুক্তির দাবিতে লালবাজারের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ চলছে। এই ঘটনাটি শুধু সরকারের সারল্য নয়, বরং সমাজের ভিতরের অসন্তোষের চিত্রও তুলে ধরে, যেখানে সরকারের সম্প্রীতির চাদরের নিচে চাপা পড়া ক্ষোভের আগুন ধীরে ধীরে প্রকাশ্যে আসছে।

“নবান্নের পুজো তালিকা: রাজনীতির আড়ালে ধর্মের খেলা, কর্তৃপক্ষের নতুন ‘সন্ধানী’ উদ্যোগ!”
নবান্নের সদ্য জারিকৃত বিজ্ঞপ্তি, যেখানে কলকাতা এবং শহরতলির বিভিন্ন পুজোর তালিকা প্রকাশিত হয়েছে, তাতে যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্বের সূচনা। সদর্থক শাসনাদর্শের সুরে, পুজো নাকি জনতার সৌহার্দ্যের প্রতীক– অথচ পেছনে লুকানো বিতর্ক আর ক্ষমতার খেলার কাহিনি আমাদের প্রবাদে নতুন মাত্রা যোগ করছে, জনগণের সুমধুর হাসি মুখোশে ভরা।

কল্যাণের মুখে মীনাক্ষীর বিরুদ্ধে তীর: ‘তাণ্ডবের জন্য পালিত ধৃতদের সাথে ডিওয়াইএফআই-এর আপ্যায়ন!’
কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের দৃষ্টিতে, ডিওয়াইএফআইয়ের রাজ্য সম্পাদক মীনাক্ষী মুখোপাধ্যায় যেন অপরাধীদের মুকুট পরিয়ে তাঁদের স্বাগত জানাতে আসেন। রাজনীতির এই নাটকের পালে বেগ দিচ্ছে সংঘর্ষের বীজ। আমাদের জীবনের প্রতি সদা নজর রাখতে হবে, নইলে মঞ্চের এই খেলা একদিন বাস্তব হয়ে দাঁড়াবে। রাজনৈতিক শালীনতার অন্তর্হিতি কেবল সম্পাদকদের দুর্দশা নয়, সমগ্র সমাজের নৈতিক সমুদ্রে গহ্বর কাটছে।