Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“সেবা না পেয়ে রোগী আত্মীয়দের বিক্ষোভ, হাসপাতালের শীর্ষে governance-এর অন্ধকার, মানবিকতার সংকটে রাজনৈতিক চেতনার হাস্যরস!”
মঙ্গলবার হাসপাতালে রোগী ও তাদের পরিজনদের ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙে যায়, যখন তারা চিকিৎসকের দেখা না পেয়ে হতাশ হয়ে উঠেন। হাসপাতাল সুপার সঞ্জয় মল্লিকের ঘরে বিক্ষোভ তুলে তাদের ক্ষোভ প্রকাশ করে, যেন সরকারি প্রতিশ্রুতির নানা রঙিন পর্দা সরিয়ে এক অসহায় সমাজের বাস্তবতা উন্মোচন হলো। সম্পর্কের রাজনীতি যেন এভাবেই চলতে থাকে!

“পুজোর কার্নিভালে মানুষের উল্লাসের মাঝে কি চাপা পড়ছে ধর্ষক-খুনির শাস্তির দাবির সুর?”
বাংলার পুজোর কার্নিভালে যে বিপুল জনসমাগম অনুষ্ঠিত হবে, সেখানে আনন্দের মধ্যে কঠোর সমালোচনা ও ন্যায় বিচারের আকুলি-বিকুলি উঠে আসছে। কুণাল ঘোষের মন্তব্যে, সমাজের বিচ্ছিন্ন কুৎসা ও অপরাধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের আবেগ ফুটে উঠেছে; তবে, নেতাদের বাগ্মিতায় কি ন্যায়ের সুর খুঁজে পাওয়া সম্ভব? সেটাই তো এখন প্রশ্ন।

কলকাতা হাইকোর্টের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ স্থগিত, পুলিশের হেফাজতে মারধরের অভিযোগে রাজনীতির নীতিহীনতার প্রতিফলন!
কলকাতা হাইকোর্ট মহিলাদের পুলিশি নির্যাতনের ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল, কিন্তু অবকাশকালীন ডিভিশন বেঞ্চ সেই নির্দেশকে স্থগিত করে দেখা যাচ্ছে, যে শাসন ব্যবস্থার ফিরিস্তি ছাড়া আর কিছুই নয়। জনগণের অধিকারে সুরক্ষা না দিয়ে টানাহেঁচড়া করে চলেছে রাজনৈতিক নেতারা, যেন জনতার অশ্রু ও ক্ষোভের সুরেও তাদের গান গাওয়ার ক্ষমতা হারাচ্ছে।

মহিলাদের সুরক্ষা বিপন্ন: বিজয়ের রাতে যুব তৃণমূল সভাপতির লোমহর্ষক অপরাধে রাজনৈতিক অতীতের কালো মুখোশ উন্মোচিত!
এক তরুণীর সঙ্গে ঘটে যাওয়া এই ঘটনার পর রাজনীতির মঞ্চে আবারও উঠে এসেছে নেতাদের দ্বিচারিতা। রবিবারের বিজয়া দশমী যেন নতুন এক বিজয়ের গল্প, যেখানে ধর্ষণের মতন নির্যাতনও রাজনৈতিক হিংস্রতার একটি রূপ হয়ে দাঁড়িয়েছে। দেশের প্রগতি আর সংস্কৃতির দাবি কতটুকু মিথ্যা আড়ালে? সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে পুঁজিত শাসকের নৈতিক অবক্ষয় আজ প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।

শিশুর নিরাপত্তা প্রশ্নে পুলিশের রহস্যজনক নিরবতা: শুভেন্দুবাবুর উদ্বেগ প্রকাশ, সমাজের জন্য ভাবনার খোরাক!
শুভেন্দু বাবুর অভিযোগে উঠে এসেছে এক অন্ধকার চিত্র, যেখানে ফরাক্কার থানার পুলিশ শিশুটির পরিবারের অভিযোগকে গুরুত্ব দিতে অস্বীকৃতি জানায়। পকসো আইনের সুরক্ষা কেমনভাবে অবহেলিত হচ্ছে, তা প্রকাশের মাধ্যমে সমাজের নৈতিকতা প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে। আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের চোখে যেন দৃষ্টি নেই, এই অব্যবস্থায় জনগণের নিরাপত্তা সঙ্কটে।

“ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ প্রতিহত করতে সরকারের সক্রিয়তা: ধর্মতলায় মানববন্ধন ও ন্যায় সংহিতা আরোপ”
ধর্মতলায় ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ আটকাতে প্রশাসনের আইনি চালাকি, যেন সলিলকাব্যেও ভেসে উঠছে শাসকদলের নাস্তিক্যবাদ। মানববন্ধনের বদলে আইনজীবীর শ্রদ্ধা, অথচ ঢেউয়ে ভেসে যাচ্ছে জনমানসের চেতনা। গরিমা হারিয়েছে গণতন্ত্র, আর ন্যায়বিচারের প্রতীক রূপে দাঁড়িয়ে থাকা ডাক্তাররাও এখন লড়াইয়ের পথে।

“ধর্মতলায় চিকিৎসকের অসুস্থতা: স্বাস্থ্য সেবায় বেহাল দশা, কোথায় সরকারী দায়িত্বশীলতা?”
ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আবারও এক চিকিৎসকের হাসপাতালে ভরতির খবর নতুন এক রাজনৈতিক নাটকে রূপ নিল। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তার তনয়া পাঁজা, যিনি গভীর সংকটে, আমাদের সভ্যতার নৈতিক রন্ধ্রে প্রশ্ন তুলছেন—শাসকের কর্তৃত্ব আর চিকিৎসকের মানবিক দায়িত্বের মাঝে কোথায় হারালো মানবতা? স্বাস্থ্য ব্যবস্থার এই অরাজকता, কি দেখাবে ভবিষ্যৎ?

ডাক্তারদের ‘দ্রোহের কার্নিভাল’ আজ, পুজো কার্নিভালের ছায়ায় কি নতুন রাজনৈতিক নাটক উন্মোচিত হবে?
আজকের পুজো কার্নিভালের সঙ্গে সমান্তরালে ডাক্তারদের 'দ্রোহের কার্নিভাল' যেন সমাজের অসন্তোষের প্রতীক; আর ধর্মীয় উৎসবের মুখোশে লুকানো কঠিন বাস্তবতা। জুনিয়র ডাক্তারদের আমরণ অনশনের প্রত্যকে সরকারকে প্রশ্ন করে, সভ্যতার এই দ্বন্দ্বে কেমন করে উৎসবে মাতবে জনতা, যখন চিকিৎসকদের দুঃখকে উপেক্ষা করা হচ্ছে। ঠিক যেন রবীন্দ্রনাথের কাব্যের মতো, যারা গান গায়, তারা ভুলে গেছে সত্যের কঠিন সুর।

“রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে পুজো কার্নিভাল: গাড়ি চলাচল নিয়ন্ত্রণের নামে কি যেন আঁধার ও আয়োজন!”
আজ কলকাতার রেড রোডে পুজো কার্নিভাল হচ্ছে, একদিকে রাজনীতির মিছিল, অন্যদিকে ধর্মের উৎসব। প্রশাসন গাড়ি চলাচলে নিয়ন্ত্রণ সাধন করে যেন জনগণ বাঁচে, অথচ কি নিখুঁত বিরোধীতা তারা চালায় না। সরকার আর উৎসবের মাঝে বলাবলি হয়ে ওঠে, জনতার মনের গুঞ্জন কি দুর্গার নৃত্যে ঢেকে যাবে, নাকি আরেকবার সত্য প্রকাশ পাবে?

কলকাতা মেট্রোতে রেকর্ড যাত্রী, রাজনৈতিক নাট্যশালায় অংশগ্রহণের প্রমাণ—গণতন্ত্রের পেটোয়া কি শুধু একটি সেলফির খোঁজে?
কলকাতা মেট্রোর পুজোর সময়ে যাত্রী সংখ্যা আশ্চর্যজনকভাবে বেড়ে গিয়ে রেকর্ড ছুঁয়েছে, অথচ আমাদের রাজনীতির ঢং যেন সেই প্রাচীন খেলার মতো—একদিকে ভিড়, অন্যদিকে স্থানীয় নেতাদের আবেগী ভাষণ। যাত্রীদের স্বপ্নসাধের চেয়ে নেতাদের নিকটই মনে হচ্ছে প্রহসনটি বড়, যেখানে সত্যিকার চেতনা হারিয়ে যাচ্ছে।