Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“শমীক ভট্টাচার্যের বঙ্গধনীত্ব: দুর্গাপুজোর পর জোরালো কর্মসূচির আত্মপ্রকাশে রাজনৈতিক হিসাব-নিকাশের খেল!”
দুর্গাপুজোর পর বিজেপির সাংসদ শমীক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে নতুন কর্মসূচির শুরুতে আবারো শ্রীঘরে কৃষ্ণবন্ধনে শাসকশ্রেণীর প্রতিশ্রুতির জাদুদণ্ড দেখতে হচ্ছে। সল্টলেকের বৈঠকে কেন্দ্রীয় নেতা সুনীল বনসলের উপস্থিতি, শাসনের এক অভিনব নৃত্য—অস্থায়ী কাঠামোর ভেতরকার গোপন অসহিষ্ণুতা যেন নতুন রঙে আবির্ভূত। জনগণের কপালে ছিটকে পড়া প্রশ্ন, এই কল্পনার নাটক আসলে কার উদ্দেশ্যে?

“রাজনৈতিক ঝাঁপাঝাঁপির মধ্যে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ ও খুন: সিবিআই তদন্তের উত্তাল বাস্তবতা”
রাজনৈতিক নাটকের পালে আবারও জোয়ার এসেছে, যখন জেলা নেতৃত্বকে উপনির্বাচনের জন্য নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে, আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনার পর সিবিআইয়ের হাতে তদন্তের ভার চলে যায়। মূল অভিযুক্ত শুধু দোষী সাব্যস্ত, কিন্তু প্রশ্নটি থেকে যায়, সমাজের এই অন্ধকারের কোলে নেতৃত্বের কাণ্ডজ্ঞান কতটা? রাজনৈতিক বক্তৃতার বাহুল্য আর অপরাধের শাসন– দুইয়ে কি আর জনগণের নিরাপত্তা রক্ষা করা সম্ভব?

“পুরুলিয়ার নদীর চর থেকে উদ্ধৃত এক অজ্ঞাত তরুণীর মৃত্যু: নীরব শাসনের গূঢ় প্রশ্ন তুলে দিল!”
পুরুলিয়ার নদীর চর থেকে এক অজ্ঞাত পরিচয়ের তরুণীর দেহ উদ্ধার করা হয়েছে, যা আবার প্রমাণ করে আমাদের সমাজের অন্ধকার দিকগুলো। ঘাটের পাশে রক্তের দাগ দেখার পর স্থানীয়দের মনে প্রশ্ন ওঠে—কীভাবে রাজনৈতিক মরা মাছের মতোই দায়সারা মনে এই ঘটনা পাশ কাটানো হচ্ছে? পুলিশ বলছে, খুনের আশঙ্কা। কিন্তু এই হত্যাকাণ্ড শুধু একটি জীবন গন্তব্য নয়, বরং সরকারের অক্ষমতা এবং আমাদের বিবেকবোধের স্থবিরতা প্রকাশ করে। নদীর জলপ্রবাহে আমরা কি শুধুই খেলনা হয়ে রইলাম?

“কৃষ্ণনগরে তরুণীর অর্ধনগ্ন মৃতদেহ: রাজনৈতিক অঙ্গনে চরম অস্থিরতা ও নৈতিক বোধের অবক্ষয়ের নতুন অধ্যায়!”
বুধবার সকালে কৃষ্ণনগরের রামকৃষ্ণ মিশন আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে উদ্ধার হওয়া তরুণীর অর্ধনগ্ন ও অর্ধদগ্ধ দেহ, একটি দুঃস্বপ্নের স্থান, যেখানে রাষ্ট্রের গায়করা কবির কলমের স্বরকে অগ্রাহ্য করে নিজেদের নৃত্য পরিবেশন করে। নিহতের মা-বাপ যে কষ্টে দীর্ঘদিন ধরে চেনা মুখের শান্তি খুঁজছিলেন, তা আজ সমাজের দরিদ্র মুখোমুখি হবার স্থান দর্শন করে অশান্তি আর অস্থিরতা নামক বিষবৃক্ষ রোপণের খোঁজে। এ যেন ভোটের বাক্সে শুধু প্রতিশ্রুতি, বাস্তবে গোপন এক ভয়ানক রসিকতা।

“তৃণমূলের ‘নতুন বন্ধু’ ট্রুডো; শুভেন্দুর ক্যামেরার সামনে অভিযোগের কাল্পনিক নৃত্য!”
ভারত-কানাডা দ্বন্দ্ব ইস্যুতে তৃণমূল সাংসদ সাগরিকা ঘোষের সমর্থনে পোস্ট দেখিয়ে শুভেন্দু অধিকারী সুপ্রিমোর দিকে তির ছুঁড়লেন, যেন রাজনৈতিক নাটক চলতেই থাকবে। সমাজের মঞ্চে যেভাবে নেতাদের পারফরম্যান্সে প্রশ্ন উঠছে, তাতে মনে হয়, আসলে মৃত্যুর আগে ইংরেজি নাটকের শেষ দৃশ্যের মতো—কারও কিছু বোঝার সময় নেই!

“রোগী রেফারেল ব্যবস্থা: স্বাস্থ্য ভবনের নতুন উদ্যোগ, কিন্তু দেবাশিসদের অভিযোগে রাজ্য রাজনীতির চেহারা কি বদলাবে?”
রাজ্যের স্বাস্থ্য ভবন কেন্দ্রীয় রেফারেল পদ্ধতি চালু করেছে, চিকিৎসকদের ১০ দফা দাবির প্রেক্ষাপটে। কিন্তু বাস্তবে দেবাশিসদের অভিযোগ, এই সিস্টেমে স্বচ্ছতার অভাব ও শাসনের দুর্বলতা প্রতিফলিত হচ্ছে। এদিকে, সমাজের অসন্তোষ কি শুধুই শব্দের খেলা, নাকি আসল পরিবর্তনের ডাক? সত্যি বলতে, রাজনীতির এই পটভূমিতে একরকম ফানুস হয়ে দাঁড়িয়ে আছি আমরা, আলো ছড়াতে গিয়ে যা-তা উড়িয়ে নিয়ে যাওয়া থেকে কিছুই পারছি না।

“মুখ্যমন্ত্রী ব্যস্ত কার্নিভালে, নির্যাতিতার মা পুলিশ ও প্রশাসনের বিরুদ্ধে তুলে ধরলেন অব্যবস্থার কালিমা!”
মুখ্যমন্ত্রীর ব্যস্ততা কার্নিভালে, কিন্তু নির্যাতিতার মা তার মেয়ের হত্যার ন্যায়বিচারের আর্জি জানাচ্ছেন। চিকিৎসকদের অনশন নিয়ে প্রধানের উদাসীনতা সমাজের দিক পরিবর্তনশীল চিত্র তুলে ধরছে। কেন তাদের সমস্যার সমাধানে সময় নেই, অথচ উৎসবের জাঁকজমক তীব্র? এটা কি আসল প্রশাসন, নাকি এক বিভ্রান্তির নৃত্য?

“চিকিৎসকদের প্রতিবাদে পুলিশের ক্ষমা চাওয়ার দাবি, তপোব্রত রায়ের মুক্তির মাঝে কি খেলছে সমাজের নাটক?”
পুলিশ ডাঃ তপোব্রত রায়কে ছেড়ে দেওয়ার মধ্য দিয়ে এক নতুন নাটকের রাস্তা খোলল, কিন্তু ময়দানে মানুষের প্রতিরোধে বোঝা গেল সরকারের প্রতি ক্ষোভের আগুন। ক্ষমা চাওয়ার দাবিতে জনতা, গুণগুণে কল্পনাও করে না রাজনীতির খেলা আর কতটা বিদ্রুপ করছে আমাদের মানবিকতার ধারা। প্রার্থনা নয়, এখন দৃষ্টান্ত প্রতিষ্ঠার সময়।

“সুজিত বসুর গাড়ির মাঝে মানববন্ধনে মন্ত্রীর গাড়ির বিরুদ্ধে জনতার স্লোগান: রাজনীতির নাটকে বিরল এক দৃশ্য!”
সুজিত বসুর গাড়ি যখন মানববন্ধনের মাঝে ভিড়ের মধ্যে ঢুকে পড়ে, জনতা তখন মন্ত্রীর গাড়ির প্রতি উড়ে এসে স্লোগান দিতে থাকে। এ যেন রাজনীতির অদ্ভুত নাটকে জনগণের বিক্ষোভ ও সরকারের দূরত্বের এক জীবনদর্শনের প্রতিফলন। নেতাদের সুরস্রোতের মধ্যে জনমানুষের অশ্রু খুঁজে পাওয়া মুশকিল, অথচ সেই সলঙ্গা শব্দের তালে তালে গড়ে ওঠে সমাজের সমালোচনার নতুন দিগন্ত। বাস্তবতা ও অভিনয়ের মাঝে, সভ্যতার এই স্রোতে মহৎ সুন্দরীর খোঁজে সমাজের কোন্ মুখাকৃতি ফুটে উঠবে?

“মমতার উৎসবে নাচ, কিন্তু সাধারণ মানুষের স্বর বন্ধ—রাজনীতির মঞ্চে কার্নিভাল ও সমাজের নিঃশব্দ গান”
জুনিয়র চিকিৎসকরা নন, সমাজের নানা স্তরের মানুষ যখন কার্নিভালে যোগ দেন, সেখানে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাততালি আর শিল্পীর নৃত্যের তালে গণমানুষের কষ্ট আর আনন্দ যেন এক কৌতুকের ভাষা। কঠোর নিরাপত্তার অভিজ্ঞান হঠাৎ করেই কি নতুন করে প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠল? ইতিহাসের নাট্য মঞ্চে গাঢ় সঞ্চারণ—শাসকদের মনে প্রশ্ন জাগায়, এই সাম্প্রতিক উজ্জ্বলতা সমাজের অন্ধকার দিকগুলোকে ঢেকে দিতে সক্ষম কি না।