Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে অর্চনা থাপার মৃত্যু: সরকারী উদাসীনতায় প্রশ্নবিদ্ধ জীবন ও মৃত্যুর মূল্য!”
দার্জিলিংয়ের অর্চনা থাপার মৃত্যুর সংবাদ এক গভীর শোরগোল তুলেছে। শিলিগুড়ির নার্সিংহোমে কর্মরত এই মহিলার অকাল প্রয়াণ শুধুমাত্র এক individu-র দুঃখ নয়, বরং সমাজের ওপর শাসকদের অবহেলা ও দায়বোধের প্রশ্ন তোলে। কোথায় গেল প্রশাসনের মানবিকতা? সঙ্গীতের মতো সুরেলা অঙ্গীকার আর বন্ধুর এই রাজনৈতিক মেজাজ—সত্যিই কি অদৃশ্য?

রাহুলের কৃষ্ণনগর সফর: ফোনে কথোপকথনে কি খোঁজ মিলবে গরিবের কেবিনের গল্পের?
রাজনীতির খেলা যেন অনেকের কাছে এখন এক গোপন নিযুক্তি। রাহুলের কৃষ্ণনগরের উপস্থিতি, ফোনে কথা বলা — এই সবই কি শুধু প্রতীকী নাটক? জনসমর্থনের নামী রাজনৈতিক কাহিনী, যেখানে মুখোশ পরা নেতাদের সামনে জনগণের আশা গোপনে বিনষ্ট হচ্ছে। মানবিক সম্পর্কের অবনতি, ভাষার বদলে কর্পোরেট যোগাযোগের দৌড়ে, সত্যিই কি নেতারা জনগণের ধরা ছোঁয়ার?

“সন্দীপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ: হাসপাতালের বর্জ্য থেকে শবদেহ পাচার, শাসনের নৈতিকতা কেমন?”
বাংলার রাজনীতিতে আবারও একটি হাহাকার, সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে ওঠা আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ যেন সমকালীন সমাজের আবর্জনা। হাসপাতালের মেডিক্যাল বর্জ্য থেকে শুরু করে শবদেহ পাচারের মতো কলঙ্কের গন্ধে কি আমাদের শাসকদের মুখোশ উন্মোচিত হচ্ছে? সিবিআইয়ের তল্লাশি কিংবা পুলিশের সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন – সবই যেন আজকের গণতন্ত্রের নাট্যমঞ্চে গাঢ় এক অক্ষমতার চিত্র। জনগণ কি তবে চুপ থাকবে, না কি তারা তাদের ভোটের অধিকারকে অস্ত্র হিসেবে গড়ে তুলবে? রাজনীতি, মানুষের জন্য, না মানুষের নামেই রাজনীতি?

“এক বিধায়ক স্যান্ডুইচ-চকোলেটের অভাবে আন্দোলনে, বাকিরা কি রাজনীতি না খাবার নিয়ে!?”
একজন বিধায়কের স্যান্ডুইচ আর চকোলেট অনশনে অংশ না নেওয়া, আর বাকিদের “অপমানজনক” রাজনৈতিক ফটোগ্রাফি—এই নাটকীয়তায় কেমন যেন এক নতুন দ্বন্দ্ব ফুটে উঠছে। রাজনীতির মঞ্চে কেমন যেন বিলাসিতা আর দর্শনীর কুৎসিত চিত্র, যেখানে জনতার গড় চিত্রটাই যেন নষ্ট। রাজনীতির এই টানাপোড়েনের মধ্যে, সাধারণ মানুষের সত্যিকার দাবি কোথায়?

“হেনস্থার শিকার সিভিক ভলান্টিয়ার: দিনের বেলায় দ্বিগুণ জ্বলে ওঠার সাহস!”
একজন সিভিক ভলান্টিয়ার, যিনি কর্মস্থলে হেনস্থার শিকার হয়েও কাজ ছাড়তে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন, যেন সমাজের নৈতিক দায়িত্বের ভার বুকে চাপিয়ে নিয়ে চলেছেন। পার্কস্ট্রিট থানায় তাঁর নতুন ডিউটি দিনের বেলায়, হয়তো একটি 'দর্শনীয় পরিবর্তন' হলেও, ভাবা উচিত—কীভাবে ক্ষমতায় থাকা নেতৃত্ব অতীতে কেবল কথার ফুলঝুরি টেনে, এই মহৎ চেষ্টাকে তুছ মনে করে!

অধ্যক্ষের বৈঠকে অফিস স্থানান্তরের নির্দেশ, ছাত্র সংগঠনের উপর চাপ—সামাজিক আন্দোলনের নতুন অধ্যায় কি শুরু হচ্ছে?
এক সপ্তাহের মধ্যে অফিস সরানোর সিদ্ধান্তে ডাক্তারি পড়ুয়াদের হতাশা এবং অধ্যক্ষ মানস বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্বিকার মুখভঙ্গি যেন আমাদের শাসকদের অমোঘ গভীরতার প্রমাণ। সিদ্ধান্তের মোড়কে জানা যাচ্ছে, সুসংগঠিত ছাত্র সংগঠনের আশা-আশঙ্কাকে উপেক্ষা করেই এক তৎপরতা, যা রাজনীতির জন্য নতুন অভিনব পাঠ। পথচলতি সমাজে এখন বোঝা যাচ্ছে, নাগরিক প্রাণতার আহ্বান নীরব হচ্ছে, অথচ ক্ষমতার চেয়ারে বসা অদৃশ্য শক্তির নির্লিপ্ত হাসি সম্বলিত!

“মৌসুমী বাতাসের পর ঝড়ের ঢেউ; রাজনীতির অঙ্গনে আবহাওয়া পরিবর্তনের প্রতিচ্ছবি!”
মৌসুমী বায়ু সরে যাওয়ার পর বঙ্গোপসাগরে আছড়ে পড়া ঘূর্ণিঝড়ের ঘটনা যেন আমাদের সমাজের রাজনৈতিক দুরদর্শিতার অভাবের প্রতীক। আবহাওয়াবিদদের মতে, বর্তমানে কিছুই অস্বাভাবিক নয়। রাজনীতির মাঠেও ঝড় উঠেছে, খেলোয়াড়েরা নিজেদের মূল্যের জন্য লড়ছে, অথচ জনগণের নিরাপত্তা যেন এক দুর্লভ কাব্য—কেউ শুনছে না।

“রাজ্যে আন্দোলন: দুঃখের পরও পুলিশ যেন কণ্টকাকীর্ণ পথের পাহারাদার!”
আরজি কর হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের নির্যাতন ও হত্যাকাণ্ডের পরে রাজ্যের মাটিতে আন্দোলনের পাতা উল্টে যাচ্ছে, যেখানে সরকারি সৌন্দর্যায়নের পাশাপাশি মানুষের চেতনাকে স্তব্ধ করার চেষ্টা চলছে। পুলিশের অনুমতি ছাড়াই উঠতে থাকা মিছিলে বিজেপির চাপ বেড়ে চলেছে, যেন সরকারের জিলিপি রাজনীতির মধ্যে নতুন স্বাদের আস্বাদ পাওয়ার লোভ! একদিকে নৃশংসতার নীরব প্রতিবাদ, অন্যদিকে গভীরভাবে বিন্যস্ত রাজনৈতিক খেলা। গায়ে মাথা খোঁজার এই সংসারে যেন মানবতাকেও পাওয়া যায়।

“জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন: দাবি মানার পরও কি আসবে শান্তির সুবাস, নাকি চলছেই দ্রোহের ঝড়?”
জুনিয়র ডাক্তারদের আন্দোলন নতুন অধ্যায় লিখে চলেছে, যেখানে সরকারের সঙ্গে কঠিন দেনদরবারের পরও অচলাবস্থা কাটছে না। মুখ্যসচিবের প্রতিশ্রুত সাতটি দাবি মানলেও, অনশনের ঢেউয়ের কাছে নিঃসঙ্গ তথাকথিত নীতি। আমাদের সমাজের স্বাস্থ্য সেবা নিয়ে এমন সংকট, যেন নীরব জনগণের চিৎকার মিডিয়ার পর্দায় আবৃত। তবে কি ক্ষীণ আশার আলো দেখা দিয়েছে, নাকি প্রাচীরের অন্যপাশে অপেক্ষমাণ এক নতুন নাটক?

“গভীর সংঘাত: সাহিত্যের ছাত্রের ওপর হামলা, শৃঙ্খল বাংলা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিফলন!”
নবীন সাহিত্য শিক্ষার্থীদের মধ্যে এক অবাঞ্ছিত সঙ্কটের চিত্র ফুটে উঠেছে, যখন সিনিয়রদের হাতে আক্রান্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়েছে। এই ঘটনা শুধু আহত ছাত্রের দুর্ভোগ নয়, বরং আমাদের সামষ্টিক প্রতিবিম্ব; অশান্তির বাজারে, সরকারি নজরদারির অভাব স্পষ্ট হচ্ছে। কে জবাবদিহি করবে? মানবিকতার সংকট, নাকি নেতৃত্বের শূন্যতা?