Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

ভেদাভেদ আরেকবার: উত্তরবঙ্গের যানজট মুক্তির নাটক আর রাজনীতির স্রোতে ভেসে যাচ্ছে জনগণের আশা!
উত্তরবঙ্গের যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ নানামুখী উদ্যোগে ব্যস্ত, তবে কি প্রশাসনিক কৌশল, না কি সাধারণ মানুষের দুর্ভোগের প্রতি সরকারের অগুরুত্ব? কলকাতার বাইপাস ও জাতীয় সড়কে যাতায়াতের এই পরিকল্পনার পিছনে গার্হস্থ্য রাজনীতির চালচলন কি প্রকাশ পায়? জনতার মনে বিবেকের আলো জ্বালতে পারলে, হয়তো প্রশাসনের এই ব্যস্ততা একটি সার্থক রাজনৈতিক কাহিনি হয়ে উঠতে পারে।

“কেতুগ্রামে তৃণমূলের অনুষ্ঠানে অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী সম্বোধন: রাজনীতির নতুন নাটক ও বিতর্কের জন্ম!”
গতকাল পূর্ব বর্ধমানে তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে বিধায়ক শেখ শাহনাওয়াজ মণ্ডলের অভিষেককে মুখ্যমন্ত্রী বলে অভিহিত করায় রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে। গদির লোভে গোপালকৃষ্ণ বংশের এ যেন নতুন নাটকের মহড়া, যেখানে জনগণের চাহিদা আড়ালে পড়ে যায়, অথচ স্বপ্নগুলো জ্বলজ্বলে থাকে। এই নামকরণের প্রেক্ষিতে জনতার মনে ক্ষোভ কি না, তা সঙ্গত প্রশ্ন। পলিটিক্সের এই বিবর্তনে আসলে আমরা কোথায় অবস্থান করছি?

“রাজ্যের কালোবাজারির বিরুদ্ধে টাস্ক ফোর্সের যুদ্ধ: মুখ্যসচিবের নির্দেশে কি প্রকৃত পরিবর্তন আসবে?”
মুখ্যসচিবের তত্ত্বাবধানে টাস্ক ফোর্সের সদস্য কমল দে জানিয়েছেন, কালীপুজো ও ভাই ফোটার সময় বাজারে কালোবাজারির বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কিন্তু, ক্ষমতার খেলার মাঝে কি সত্যিই সাধারণ মানুষের কল্যাণ উপেক্ষিত হবে? এই প্রশ্নটি আজকের রাজনৈতিক নাটকে বিবেকের কণ্ঠস্বর হয়ে ওঠে।

“অনুব্রতের হাত ধরে মমতার জয়ের থমথমে যাত্রা: কর্মী থেকে নেতা, রাজনীতি কি আদৌ দামি?”
বর্তমানে অনুব্রত মণ্ডল ভেবে দেখছেন, নেতা তো হওয়ার নয়, বরং তিনি তৃণমূলের এক সাধারণ সৈনিক। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে জিতিয়ে, রাজনীতির মায়া কাটিয়ে চলে যেতে চান—এ যেন এক নতুন গান! কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নেতার পদ থেকে বিদায়ের সুরটা কি আসলেই ভিন্ন। এ ভাবে জনগণের সেবা নিয়ে কতদিনের এই নাটক? সমাজের দাবি কি সংবাদমাধ্যমের চেয়ে বেশি নয়? শাসকের রাজনীতির চালে সমাজ সঙ্কটে আর কত দিনের নীরব প্রহর?

বিজেপি নেতার গাড়িতে হামলা: পার্থর বিতর্কিত দায়ভার ও তৃণমূলের নতুন স্বপ্নের যাত্রা!
নৈহাটির ঐকতান মঞ্চে তৃণমূলের বৈঠক, যেখানে পার্থবাবু সনৎ দে’র প্রশংসা করে বলেন, "গাড়িতে হামলা ও বোমা উদ্ধারের ঘটনা যেন নাটকের একটি অধ্যায়!" বিজেপির নীরবতা প্রকৃতপক্ষে মুখোশ দেখার মতো। রাজনীতির এই অঙ্গনে নেতা ও নাটকের চরিত্রবিভাজন, জনগণের মানসিকতায় পড়েছে নিশ্চিত। অতীতের নাটক বাকি থাক ঠিকই, কিন্তু সনৎরা যে সমর battlefield চালাচ্ছেন, তা কি রাষ্ট্রীয় ধারার একটি নতুন রঙ?

“আমাদের নেতারা কর্মী, কি হাস্যকর! মুখ্যমন্ত্রী হতে চান, রাজনীতি ছাড়ার ঘোষণা; তৃণমূলের ভবিষ্যৎ কি অন্ধকার?”
অনুব্রত কেমন 'কর্মী' বলে নিজেকে নামে নামিয়ে রেখেছেন, যেন রাজনৈতিক স্রোতে কোন বালতি বন্দুক নয়, বরং এক অসহায় মাছ ধরার জালের কাহিনী। মমতার জয় চান, কিন্তু তার পর মোহনালালীদের ব্যবসায়িক সুরোনিমন্ত্র আরও গতে গড়ে উঠেছে। রাজনীতির পাটে, 'মহান নেতা' মমতা ছাড়া সবাই কেবল দলের সৈনিক—হায় রে, কখনো না সমগ্রজীবনের নেতা হয়ে যাওয়ার ভান। এ যেন বঙ্গবন্ধুর দেশ থেকে কেবল বিরস্যি নাম।

“গো-সেবার নামে অমানবিক নাটক: আদালতে খুঁজে পাওয়া কি হবে পশুর হিত?”
অখিল ভারতীয় কৃষি গো সেবা কেন্দ্রের আবেদনে উঠে এসেছে বর্বরতার মাঝে মানবতার কল্যাণ চাওয়ার অদ্ভুত অসঙ্গতি। সরকার আর প্রশাসনের দলবাজিতে, পশুউদ্ধারের অঙ্গীকার মরে গেছে মন্দিরের অন্ধকারে। কি বিচিত্র, এই ক্ষেত্রেই তো 'গোবিন্দ ভজন' রহস্যময় কিছু হতে পারে, যখন আসল কর্তৃপক্ষ নির্বাক!

“রাজ্য বনাম দেশ: দুই স্কিমের পার্থক্যে বাজেটের খেলা, দেবাংশুর পোস্টে উঠল নতুন বিতর্ক!”
দেবাংশুর পোস্টের পর সবার মুখে একটাই প্রশ্ন—কীভাবে রাজ্যের জন্য বরাদ্দ আর কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দের মধ্যে এত বিস্তর ফারাক ঘটছে? একজন সদা সচেতন নেটিজেন অর্থের এই অদ্ভুত খেলা তুলে ধরার পর, সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের মধ্যে সরকারের নীতির প্রতি অসন্তোষ ক্রমেই বেড়ে যাচ্ছে। কবিগুরু যেন বলেন, এই সরকার ও শাসকেরাই আমাদের ভবিষ্যৎ তৈরির কৌশলিদিলেন—তবে মনে হয়, সেই কৌশলটি আরও গভীরতার সঙ্গে ভাবার সময় এসেছে।

“চিকিৎসা রিপোর্ট নিয়ে টানাপড়েনে তৃণমূল, বঙ্গ রাজনীতির নাট্যমঞ্চে নতুন অধ্যায়!”
মঙ্গলবার, আরজি করের প্রিন্সিপাল সপ্তর্ষি চট্টোপাধ্যায়ের পরীক্ষার রিপোর্ট সামনে আসতেই চিকিৎসকদের প্রতি তৃণমূলের তীব্র সমালোচনা শুরু হয়েছে। আর যেন সমাজের স্বাস্থ্যকর রাজনীতির খোঁজে জনগণ অস্থির, প্রভূত বিতর্কের মধ্যে যেন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে চিকিৎসাব্যবস্থা, আর নেতাদের কথার ফুলঝুরির মধ্যেও সাধারণ মানুষের আশঙ্কা ক্রমশ আরও গভীর হচ্ছে।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামিন এবং অর্পিতার কারাবাস: রাজনৈতিক নাটকের পংক্তিতে দুর্নীতি ও সমাজের দ্বন্দ্ব!
বাংলার রাজনৈতিক আকাশে এখন অশংকা এবং অস্থিরতা; পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বান্ধবী অর্পিতা, যিনি টাকার পাহাড়ের ভেতর আটকা, সেই সঙ্গে জ্যোতিপ্রিয়ও অসুস্থ। পার্থ হাইকোর্টে জামিনের জন্য আবেদন করেছেন, কিন্তু এই নাটকের পেছনে কি আমাদের শাসকশ্রেণীর আসল মুখটা উন্মোচিত হচ্ছে? দুর্গাপুজোর আগে সৎ governance-এর স্বপ্নের জাল কি ভাঙতে চলেছে? পাবলিকের কৌতূহল করোনায় আক্রান্ত প্রতিবেদন হতে গোপনীয় বিষয়গুলিকে আরও প্রকট করে তুলছে।