Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“কালীপুজোর রাতে রেল নীতি: মেট্রোর উন্নয়ন নাকি ভোটের খেলা?”
কালীপুজোর রাতে কালীঘাট ও দক্ষিণেশ্বরের ভিড় বাড়াতে বিশেষ মেট্রোর ব্যবস্থা, যেন ধর্মের ফুলে ফুলে সাজানো এই রাজনীতির চাষবাসে আরও এক দানা যোগ হয়। জনগণের চাহিদা আর শাসকের উদ্যোগে যখন এমন খেলোয়াড়ি চলছে, তখন প্রশ্ন জাগে—পূজা বলতে কি শুধু বিশেষ টিকিটের ব্যবস্থা? সমাজের অন্তর্দৃষ্টি কি সত্যিই এই মন্দিরে পৌঁছাবে, নাকি স্রেফ মেট্রোর চাকা হেঁটেই ভিড় বাড়বে?

বৃষ্টি, নদী ভাঙন ও সবার নজরে লাপাত্তা ফল বিক্রেতারা: কি জানালো আমাদের শাসন ব্যবস্থা?
পাঁশকুড়ার ফল বিক্রেতাদের জীবনে ভিন্ন বৃষ্টি ভাসানোর বদলে এই সরকারের উন্নয়নের ঢাকের শব্দ শুধুমাত্র কথারই আবরণ। শিলাবতী নদীর জল বাড়ার খবরে, রাজনীতির আবহে যেন নির্বিকার গুণগুন। অথচ ফলের বাণিজ্যে তারা কল্পনাও করেনি, যে স্রোত তাদের নিয়মিত জীবনে এনে দেবে সংকটের ঢেউ। সত্যিই কি এই প্রতিকূলতার মাঝেও আমরা নিজেদের কূটনীতির সাজগোজে মাজা জঙ্গলে মগ্ন আছি?

“শিক্ষার নতুন মায়া: সরকারি স্কুলের সংখ্যা বাড়লেও, কেদ্র সরকারী নিয়মে ছোটদের ভবিষ্যৎ কি বিপন্ন?”
বাংলার প্রাথমিক স্কুলে নতুন নিয়ম চালুর ঘোষণা রাজনীতির অঙ্গনে সৃষ্টি করেছে এক অস্থিরতা; ৫০ হাজারেরও বেশি স্কুলে, শুধু দু'হাজার স্কুলেই এই পরিবর্তন আসছে। সরকারী পদক্ষেপের এই বিশাল পরিবর্তন, সমাজের বিচিত্র স্তরের শিক্ষার মান উন্নয়ন করবে কি না, তা নিয়ে চলছে বিতর্কের আবহ। আসল বিষয়টা হলো, সঠিক শিক্ষার অভাবে কি কেউ এখনও উচ্চ প্রাথমিকের অন্তর্ভুক্ত?

“কালীর প্রতিমার করুণ বীরত্ব: উৎসবের আগে দুর্ভোগের দাগ, রাজনীতির নাটকে পুজো উদ্যোক্তাদের হতাশা!”
কালীপুজোর প্রাক্কালে প্রতিমা পড়ে যাওয়াটা শুধু দুর্ঘটনা নয়, বরং একটি সমাজের অসংরক্ষিত আত্মার ক্রন্দন, যেখানে ধর্ম ও সংস্কৃতির বাণী রাজনৈতিক বাস্তবতা দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, পুজো বন্ধ হোক এ অপিৎ, কিন্তু প্রশ্ন করতেই হবে—কীভাবে চলছে আমাদের শাসনব্যবস্থা? এ এক নৈরাজ্য, যেখানে দেবীর সাথে আমরা নিজের মৌলিক অধিকারকেও চড়ে বলি, আমরা সব সহ্য করব।

“কালীপুজোয় আকাশের খবর এবং রাজনীতির আসরে, শঙ্কার মেঘ কি সরকারের ওপরেও থাকছে?”
কালীপুজোতে আবহাওয়ার পূর্বাভাস যেমন অস্পষ্ট, তেমনই রাজনৈতিক দৃশ্যপট। নেতাদের আগ্নেয়গিরির মতো অঙ্গভঙ্গি কিন্তু জনগণের মধ্যে শ্রীচৈতন্যের প্রেম, নাকি আতঙ্ক? বৃষ্টির ছাঁটাকেও যেন আর বিবেচনা করা হচ্ছে না। দুর্নীতির সুনামি আর স্বান্তনা ভাষণ—ভালোবাসা আর রাজনৈতিক নাটকের সুর যেন অবিরাম চলছেই।

“রাজনীতির আলো-বাতাসে বাজির শব্দ: পাটুলি থেকে ভবানীপুরে উচ্চারণশীল প্রতিবাদের ঢেউ!”
ঢাকার পরিপ্রেক্ষিতে, ইএম বাইপাস লাগোয়া বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজি ফাটানোর অভিযোগের ঢেউ উঠেছে, যা গত রবিবারের পর ক্রমান্বয়ে বাড়তে শুরু করেছে। সমাজের এ পৃষ্ঠপোষকতা,Governance এর দুর্বলতা, এবং রাজনৈতিক নেতাদের ভাবমূর্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলে। বাজির আওয়াজে কি জনগণের আসল সমস্যা চাপা পড়ছে, নাকি এই শব্দই সরকারের নীরবতার প্রতিবিম্ব?

রাজ্যের নিজস্ব অর্থে আবাস প্রকল্পে মমতা প্রশাসনের বিতর্কিত পদক্ষেপ: ঘরে ঢুকে আসে সমাজের সত্তা!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রশাসন এবার আবাস প্রকল্পের মাধ্যমে জনগণের টাকায় ঘর দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে, কিন্তু নবান্নের মুখের কথা ও ভুরি ভুরি অভিযোগের মাঝে কি আদৌ সাধারণ মানুষের উন্নতি হবে? রাজনীতির নতুন নাটকীয়তার অন্তরালে, সরকার ও জনগণের মাঝে সম্পর্কের জটিলতা যেন শুদ্ধ কবিতার মতো, আক্রমণাত্মক অন্তর্নিহিত প্রশ্ন তুলে ধরছে।

মেদিনীপুরের নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ: প্রশিক্ষণ শেষ, কিন্তু পদের জন্য কারা নেবে দায়িত্ব?
মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের নিরাপত্তারক্ষী নিয়োগ নিয়ে গুঞ্জন নতুন মাত্রা পেয়েছে, যখন ৭৪ জন প্রার্থীর প্রশিক্ষণের পরও তাঁদের কাজে যোগ দেওয়ার পালা স্থবির হয়ে উঠল। কী বিচিত্র, একদিকে সরকার চাকরি দেবে, অন্যদিকে প্রয়োজনে লোকজনের আগ্রহও টানতে পারছে না! যেন নাদান নাটকের পাণ্ডিত্য; এখানে নেতৃত্বের গুণাবলী পরীক্ষার বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়িয়েছে।

“রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে ভুয়ো প্যাডে টাকা হাতানোর কাহিনি: কার্ড দুর্নীতিতে নৈতিকতাহীনতার এক নতুন অধ্যায়!”
বাংলার মানুষজন এখন কাটাকাটি করছে যে কিভাবে ক্রেডিট ও ডেবিট কার্ডের পিন নম্বর চুরি হয়ে যাচ্ছে, সেই সঙ্গে ভুয়ো মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কে টাকা হাতানোর বিচিত্র কাহিনী। সামাজিক নিরাপত্তার অভাব এবং প্রশাসনের ব্যর্থতা সামনে এসে দাঁড়িয়ে। এই দুর্নীতির ভেতর দিয়ে আমাদের সমাজের গাঢ় সংকট, অর্থনীতির পৃষ্ঠপোষকতা এবং জনগণের অসহায়ত্ব প্রতিধ্বনিত হচ্ছে। সরকারী ও বেসরকারি স্তরে কোনো প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা আরোপিত হচ্ছে না; ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে অস্থিরতা বাড়ছে, যেন একটি সাংস্কৃতিক দুর্বলতা আমাদের চেতনাকে আচ্ছন্ন করছে।

“কারখানায় আগুন: নিরাপত্তাহীনতার রাজনীতি এবং কালীপুজোর প্রাক্কালে সরকারের দায়িত্বহীনতার চিত্র”
কারখানার অগ্নিকাণ্ডে অভিযোগ উঠছে যথাযথ নিরাপত্তা ব্যবস্থার অভাব নিয়ে, যা রাজনীতির অদূরদর্শীতার একটি চিত্র তুলে ধরছে। দমকল বাহিনী তদন্তে রত, অথচ কর্তৃপক্ষের চুপ থাকা যেন সরকারের নীরবতায় সাড়া দেয়। কালীপুজোর ঠিক আগে এ ঘটনার জন্য ক্ষতির ছাপ বলতে বাধ্য করছে সমাজ, যেখানে মানবিকতার চেয়ে বিত্তিকুশলতা বিরাজমান।