Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“দিওয়ালিতে গ্যাসের দামে রক্ষা পেলেও কলকাতার গৃহস্থের পকেটে খអ្នក তলানি, Subsidy পেতে ব্যাংকেও মৃত্যু?”
দিওয়ালির অছিলায় ঘরোয়া গ্যাস সিলিন্ডারের দাম অপরিবর্তিত রাখা হলেও, কলকাতার গৃহস্থরা যেন পকেটে ছেঁড়া কাপড় নিয়ে দিন কাটাচ্ছেন—কারণ ঋণ নিয়ে চালাতে হচ্ছে রান্না। সরকারের অঙ্গীকারে কেবল ফাঁকা শ্লোগান, গ্যাসের ভর্তুকি সে সঙ্গে আজকের ঘটনা; অথচ ব্যাঙ্কে গ্যাসের ভর্তুকি নেই। এই অবস্থায় কি ভাগ্যবান আমরা?

“দিওয়ালির ছুটির মাঝে সরকারের কর্মচারীদের আধুনিকতার ছোঁয়া: রাজনীতির পাণ্ডিত্য না কি নাগরিকের দুর্ভোগ?”
হালফিলে রাজনৈতিক দৃশ্যে যেন এক মহান রন্ধনশালা। দিওয়ালির ছুটির মধ্যে স্টক মার্কেটের বন্ধ থাকা আর পশ্চিমবঙ্গের সরকারি অফিসের বন্ধের সিদ্ধান্ত মিলিয়ে বর্ষে বর্ষে ছুটি নিয়ে আলোচনা হলেও, নেতাদের কর্মফল জনগণের খরচা। ফলে, এই অপেক্ষা কবে শেষ হবে, তা নিয়ে সাধারনের প্রশ্ন উঠছে। সত্যি, আর কতদিন শূন্যতার মুর্তিতে আমাদের চলতে হবে?

মমতার রান্নাঘরে মা কালীর ভোগ: রাজনীতির মুখোশের তলে স্পষ্ট পিতৃসুলভ ধর্মানুষ্ঠান, জনগণের নীরব প্রতিক্রিয়া!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার বাড়ির রান্নাঘরে মা কালীর জন্য ভোগ প্রস্তুতের মনোমুগ্ধকর ছবি শেয়ার করে রাজনৈতিক মঞ্চে একটি নতুন সুর লক্ষ্য করেছেন। সরকারের কাজের সমালোচনার মাঝে ধর্মীয় অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে যে প্রকাশ্য নিপুণতা, তা দেশের সংকটময় রাজনৈতিক বাস্তবতার প্রতি একটি নির্মম চিরকূট বয়ে আনে। সমাজের নান্দনিকতাকে আঁকড়ে ধরে, নতুন করে ভাবার সময় এসেছে কি?

মমতার কালীপুজোয় অভিষেকের আগমন: ধর্মের নামের আড়ালে রাজনীতির নানা রঙ!
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোয় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের আসা যেন এক বিচিত্র নাটক; রাজনীতির অঙ্গনে, যেখানে মন্ত্রীরা ঘণ্টা বাজান, ভোগ রান্না করেন, আর সমাজের বাস্তবতা থেকে পালিয়ে গিয়ে দেবদূতদের মতো পূজা করেন। কিন্তু এই উজ্জ্বল অনুষ্ঠানে কি আসলেই রাজনীতির সুর বাজছে, নাকি ভোগের আড়ালে লুকিয়ে আছে জনগণের কষ্টের অশ্লীলতা?

কলকাতা পুলিশের নারীকনস্টেবল নিয়োগ: নতুন প্রজন্মের নারী শক্তির প্রবেশ ও রাজনীতির নাটকীয় পরিবর্তন!
গোটা সমাজে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে যারপরনাই কথা হচ্ছিল, সেই প্রেক্ষাপটে কলকাতা পুলিশের ৭৭৩ জন মহিলা কনস্টেবল এখন মাঠে। প্রশিক্ষণের মঞ্চে গড়া, এই নারী শক্তির থানায় পোস্টিং কেমন হবে, সেটাই এখন ভবিষ্যতের জল্পনা। কর্তব্যপালনের আড়ালে কি শক্তি আর দায়িত্বের আসল চিত্র ফুটে উঠবে?

এমন বিরোধ যখন পুলিশের পদে হুমকি, মহিলা এসআই’র ধরনায় শাসকদের অসহায়ত্বের চিত্র ফুটে উঠেছে!
নাদিয়াল থানায় ওসি ও এসআই সোমা তরফদারের মধ্যে চরম মনোমালিন্য, প্রশাসনিক অসহিষ্ণুতার এক নতুন চিত্র তুলে ধরেছে। দুর্ব্যবহারের অভিযোগে সেই মহিলা এসআই যখন ধরনায় বসেন, তখন মনে হয়, শাসন ব্যবস্থার কোঠাদৃষ্টির ঘরছাড়া অবস্থা আমাদের গণতন্ত্রের ঘৃণ্য রূপটাকেই ফুটিয়ে তোলে। নেতাদের উদাসীনতায় জনসাধারণের সংকোচ প্রকাশ পাচ্ছে, আসলে কে কার জন্য?

“শ্রদ্ধার চাইতে রাজনৈতিক শত্রুতার সামনে ধর্মগুরুর ‘সেন্ট্রাল ফোর্স’: নেতাদের মানসিকতা ও সমাজের সত্যি চিত্র”
রাজনৈতিক মহলে ধর্মগুরুদের নিয়ে আলোচনার ঝড় ওঠেছে, যেখানে একজন নেতা ব্যক্তিগত সম্মান দেখিয়ে বলেন, ‘সাধুদের তো শত্রু থাকে না’। তবে কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপস্থিতি কি তাদের নৈতিকতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে? সমাজের আধ্যাত্মিকতা ও রাজনৈতিক চালাকির এই ঠাট্টা, মানুষের বিবেকের গহীনে কি এক নতুন আলো ফেলার চেষ্টায়?

শোভনদেবের প্রশ্ন: ‘ডাক্তারদের টাকার উৎস কী?’— রাজনীতির মঞ্চে উঠছে নতুন সংশয় ও সমাজের অন্ধকার রূপরেখা।
দেগঙ্গায় তৃণমূলের বিজয়া সম্মিলনীতে রাজ্যের মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের প্রশ্ন, ‘কোথা থেকে আসছে এই টাকা?’ বাস্তবে রাজনৈতিক অভিনয়ের খোলসের অন্তরালে লুকিয়ে থাকা দুর্নীতির অন্ধকার দিকের প্রতি ইঙ্গিত করে। সমাজের মূলে উত্তেজনা এবং অসন্তোষের ঢেউ ছড়িয়ে পড়ে, যখন জনগণ শেখরে পৌঁছায় সরকার ও চিকিৎসকদের মধ্যে আদান-প্রদানের রহস্যজনক সূত্র খুঁজতে।

বিজেপির বর্ধমানে ভরাডুবি: অভিজিৎবাবুর পদত্যাগ নিয়ে পোস্টার, রাজনৈতিক অস্থিরতায় সমাজের পরিবর্তন কি?
বর্ধমানে বিজেপির বিধানসভা ও লোকসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরও দলটি সংগঠিত হতে পারেনি, আর এ পরিস্থিতিতে জেলা সভাপতির পদত্যাগ নিয়ে পোস্টার পড়ার ঘটনা গভীর প্রশ্ন তোলে। অভিজিৎ বাবুর নেতৃত্বে দলের ভেতরে সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে, যা স্পষ্টভাবে রাজনৈতিক ক্লান্তি ও নেতৃত্বের অপ্রাসঙ্গিকতার চিত্র তুলে ধরে। সমাজের প্রত্যাশা ও রাজনৈতিক বাস্তবতার মধ্যে যে এই দূরত্ব, তাতে হাস্যকরভাবে ইতিহাস নিজেকে পুনরাবৃত্তি করে যাচ্ছে।

রাজ্যে আরজি কর হাসপাতালের প্রভাব: ভোটের মাঠে তিন বিরোধী দলের চতুর্মুখী লড়াইয়ের নাটকীয়তা!
আরজি কর হাসপাতালের ঘটনায় যেন রাজনীতির মঞ্চে নতুন নাটকের সূচনা হয়েছে। প্রথম নির্বাচন সামনে, যেখানে প্রধান বিরোধী দলগুলি এই ঘটনার রেশ ধরে ভোটের বাক্স ভরতে চাচ্ছে। সিপিএম, কংগ্রেস, আর বিজেপির দ্বান্দ্বিকতায় মানুষের মনের গভীরে কোন আদর্শের প্রতিফলন ঘটবে, সে প্রশ্ন এখন গুরত্বপূর্ণ। তবে সমাজের চাহিদা আর নেতাদের শ্লথ গতির মধ্যে যে গাফিলতি, তা কি ভোটের কূটনৈতিক খেলায় প্রতিফলিত হবে? রাজনৈতিক কলাকৌশল ও মানুষের হতাশার মাঝে, ভাবুন তো—অবশেষে আমরা কি পাব এই নির্বাচনে?