Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“মদ্যপ পেরেশানির চাষ: কৃষকদের অভিযোগে উন্মোচিত প্রশাসনের উদাসীনতার চিত্র”
মদ্যপান করে চাষের জমির প্রতি এই অমানবিক অত্যাচার যেমন সমাজের অবক্ষয়ের ছাপ, তেমনি এটা আমাদের শাসকদের নীরবতার একটি বিভীষিকা। স্থানীয় প্রশাসনের নিস্তব্ধতায় চাষীর দুঃখের বায়নাটি যেন মদের বোতলে বন্দী, আর সেই বোতলগুলি দেশের কৃষক সমাজের অসহায়ত্বের কাহিনি বলছে। ধর্ম, নৈতিকতা সব ভুলে রাজনীতির এই বিকৃতি, জীবনের জন্য লড়াই করে চলা কৃষকের চিৎকারে কি আমরা এখনও অবিরাম মাতাল নই?

“মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ: কেন্দ্রের বাধায় রাজ্যের উন্নয়ন, অব্যবহৃত আবাস যোজনায় মানুষের আশা কি হতাশায় রূপ নেবে?”
একশো দিনের কাজের বকেয়া টাকায় রাজ্য সরকারের সাফল্য, কিন্তু কেন্দ্রের দাবি আটকে রাখা আবাস যোজনার টাকা যেন রাজনীতির খেলার এক অদৃশ্য সুতো। মন্ত্রীদের অভিযোগে প্রতিধ্বনিত হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ, আর জনগণের সমর্থনে ফুটে উঠছে এক শূন্যতা; উন্নয়নের প্রতিশ্রুতিতে নেতাদের মধ্যে চলছে অদ্ভুত দ্বন্দ্ব, যেন প্রলয়ের আঁচ লোপাট হচ্ছে কৌশলী ব্যবস্থাপনায়।

নারীশক্তির আরাধনায় ধর্মীয় বিসর্জনে মদের আক্রমণ: সমাজের চিত্র বোঝাতে বাধ্য রাষ্ট্রীয় সৃষ্টির নতুন স্রোত?
বাংলার এই দৃশ্যে নারীশক্তির আরাধনা আর বিড়ম্বনার মিশেল—একদিকে শোভাযাত্রায় মহিলার গায়ে মদ ঢালার ঘটনা, অন্যদিকে বৃহত্তর সমাজের চোখে রাজনীতির ক্লীবতা। কি আশ্চর্য, নারীর আবেগের বন্দনা করতে গিয়ে, সুবাসিত সংসারের ঐতিহ্য ভেঙে পড়ছে। সেখানেই কি সত্তার শক্তি আর স্বাধীকারের পরিমাণ নির্ভর করে?

বাগডোগরার নাম বদল: রাজনৈতিক জটিলতায় নাটকীয়তা ও গণমানসের দোলাচলে সমাজের প্রবাহের এক উলট-পালট!
বাগডোগরা বিমানবন্দরের নাম বদলের খবরে রাজনীতির শেকড় উথলে উঠেছে। নতুন নামের তালিকায় নানা সংস্কৃতি ও রাজনীতির ছোঁয়া। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, নাম বদলাতে কেমন করে বদলাবে আমাদের জীবন? নেতাদের আগামী প্রজন্মের জন্য তুলে রাখা বা নামের পালে বাতাস লাগানো—এ যেন রসিকতা এবং বাস্তবের এক অভূতপূর্ব মিলন!

“রাজ্যপালের দুই বছরের পালা: ‘আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল’ কর্মসূচিতে সরকারের মুখোশ উন্মোচনের সময়!”
এখনো দু'দিন বাকি, পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস তাঁর পদে দুই বছর পূর্ণ করতে চলেছেন। এই উপলক্ষে শুরু হচ্ছে 'আপনা ভারত, জাগতা বেঙ্গল' কর্মসূচি, যেন রাজনীতির নাট্যমঞ্চে আমাদের যেতে হবে দেশের ইতিহাস, সেই কথার আলাপ করতে। তবে সত্যিকারের আগুন জ্বলছে বাস্তবতায়, যেখানে উপস্থিতিরা নেতাদের চমৎকার কথায় মোহিত, অথচ নাটকের পেছনে লুকানো সমাজের ক্ষতির গল্পগুলো উত্তাল।

“রাজনীতির কড়া কথার মধ্যে বিস্ফোরণের ধোঁয়া: পাটুলির বোমা ও সমাজের অস্থিরতায় অবস্হান”
পাটুলিতে ঘটে যাওয়া বিস্ফোরণ নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে, যখন পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কিন্তু কর্তৃপক্ষের অযোগ্যতা প্রশ্নবিদ্ধ করে। সমাজে নিরাপত্তাহীনতা ও অবিশ্বাসের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে, আর রাজনীতির মঞ্চে কেবল খেলা চলছে। কি মজার! বিশ্বাসঘাতকতার এই খেলা কোনদিন শেষ হবে?

“তালিকা থেকে বাদ পড়েছে ৩.৫ লক্ষ নাম, সরকারী গোলমাল ও জনমানসে ক্রমবর্ধমান অস্বস্তি!”
নবাবদের দীনতা যেন সমাজে নতুন এক নাটক রচনা করেছে; তালিকা থেকে ৩.৫ লক্ষ নাম বাদ পড়লো, আর এ যেন শাসকের গা-গোছানোর অদ্ভুত খেলা। মালদা, মুর্শিদাবাদ ও নদিয়ার মতো জেলাগুলোতে কত মানুষের পরিচয় ভুলে গেছে প্রশাসন, সেই প্রশ্নে এখন সবার মুখে হাসি, আর হাসির আড়ালে লুকানো চিৎকার। রাজনীতি যেন নতুন ছক কষছে, কিন্তু জনগণের অনুসন্ধানের প্রতি কি তাদের অন্তর এই অন্ধকারে আলো জ্বালানোর সাহস পাবে?

তৃণমূল বিধায়কের গাড়িতে ইটের আঘাত: রাজনৈতিক নাটকের পেছনে সমাজের আধুনিক কালীপুজোর সন্ধানের আড়াল!
শুক্রবার রাতে, তৃণমূল বিধায়ক সুকুমার মাহাতোর গাড়ির প্রতি ইট ছোড়ার ঘটনা যেন প্রকৃতির প্রতি মানবজাতির উন্মাদনার প্রতিফলন। ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং রাজনৈতিক নেতৃত্বের মেলবন্ধনে অশান্তির এই নিদরমণ, আমাদের সমাজের সাংস্কৃতিক সুস্থতার গভীর সংকটের সংকেত। ক্রমবর্ধমান পরিবর্তনশীল জনমন, যেখানে নেতাদের প্রতি আস্থার অভাব এবং উপাসনা-পরিচায়ক বিদ্বেষ একদিকে, অন্যদিকে রোষের বাতাসের নির্দেশিকা হিসাবে ইটের সজাগ নিক্ষেপ। বাস্তবে, রাজনৈতিক শিল্পীর পুশ্পমালার মধ্যে এমন সংকটের অবস্থান যে, একদা শৃংখলার আশোশকালে আমরা আজ বিরূপতার অঙ্গে প্রবাহিত হচ্ছি।

“রাজনীতির কালিকালে আবারও হামলা: বিধায়কের গাড়িতে ঝড় তুলল আবদুল খালেকের দল, গণতন্ত্রের সুরক্ষা কোথায়?”
মিনাখাঁ থানায় কালীপুজোর নিমন্ত্রণে গিয়ে বিধায়কের ওপর হামলা, যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন পর্ব। আবদুল খালেক মোল্লার দলের হাতে আক্রান্ত নেতা প্রতিফলিত করছেন আমাদের সমাজের অসাংবিধানিক সংঘাতের চিত্র। ক্ষমতার লোভে রাজনীতি যখন নৃশংস হয়ে ওঠে, তখন সাধারণ মানুষের মঙ্গল কেমন করে শনাক্ত হবে? বাস্তবতাকে চিনতে বাকি নেই।

“সমুদ্রগড়ে হত্যাকাণ্ড: প্রশাসনের নীরবতা, সমাজে উত্তাল প্রতিবাদের স্বর!”
সমুদ্রগড়ের ডাঙাপাড়ার সেলিম মোল্লা, বাক্কর মণ্ডল, নওয়াজ মণ্ডল ও আরিফ শেখের মৃত্যু, সমাজের চিত্রকে যেমন প্রতিফলিত করে, তেমনি রাজনৈতিক নেতাদের ব্যাকুলতা ও প্রশাসনের নাকরজনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে। একটি সভ্য সমাজে নিরাপত্তা ও ন্যায়ের প্রতিশ্রুতি আজও যে অধরা, তা কি আমাদের ভাববার সময় হল না?