Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

অভিষেকের কলকাতা প্রত্যাবর্তন, মমতার কালীপুজোতে উপস্থিতি; জন্মদিনের রাত পোহালে রাজনীতির নতুন সমীকরণ!
বহির্বিশ্ব থেকে চোখের অস্ত্রোপচার সেরে কলকাতায় ফিরেছে অভিষেক, আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ির কালীপুজোতে তাঁর উপস্থিতি যেন রাজনৈতিক নাটকের পাতা। শনিবারের আমতলার সভা এবং কুণাল ঘোষের মন্তব্যে উল্লেখযোগ্য হয়ে উঠছে যে, তাঁর জন্মদিনে রাজনীতির রঙ্গমঞ্চ প্রস্ফুটিত হবে। তবে, এ বেলায় কি ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান রাজনৈতিক আবরণের পাশাপাশি ভোগান্তির প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়ে?

“অভিষেকের বিজয়া সম্মিলনী: বিশ্রামের পরও কি পরিবর্তন ঘটবে রাজনীতির অবস্থানে?”
অভিষেক গত কিছুদিন চিকিৎসকদের নির্দেশে বিশ্রামে ছিলেন, কিন্তু এখন আমতলায় বিজয়া সম্মিলনীর অনুষ্ঠানে যোগ দিতে প্রস্তুত। এই পরিবর্তন যেন রাজনৈতিক নাটকের নতুন সংস্করণ—যেখানে নেতাদের অবস্থান হয়ে ওঠে প্রফুল্লতা ও বিপত্তির এক অভিনব সম্মিলন। কবে তাদের নেতৃস্থানীয় কাজের মর্যাদা বুঝবে জনতা? প্রশাসনের জটিলতা ও মানুষের আশা-আশঙ্কার পারস্পরিক সম্পর্ক যেন এক অদ্ভুত কবিতার ছন্দ, যেখানে কখনও দ্রষ্টব্য, কখনও গৌণ।

“হাওড়ার ট্রেন দুর্ঘটনা: নেতৃত্বের অস্থিরতা, প্রশাসনের অক্ষমতা, সমাজের অনুন্নতি!”
হাওড়ার স্টেশনে ট্রেনের ব্রেক বিকল হয়ে গেলে যেন পুরো সমাজও দাঁড়িয়ে যায়, গন্তব্যের কুহেলিকা যেন এক অদ্ভুত রূপ নেয়। সাধারণ মানুষের ভোগান্তি মন্ত্রী ও প্রশাসনের কাছে গোপন কোনো কিসসা, অথচ জনগণের দুর্ভোগেরে কেউ দেখছে না। এ যেন আমাদের রাজনীতির পরিচয়—একমাত্র মালিকানা নিয়ে গৌরবিত তাদের সাফল্য, কিন্তু বোঝা যাচ্ছে, চাকা পেছনের দিকে ঘুরে বন্ধুর পথে।

“বাংলায় জয়ের জন্য নানা অঙ্গীকার, বিতর্কিত বক্তৃতায় মিঠুন বললেন – ‘বিজেপি প্রস্তুত যেকোনও কিছুর জন্য'”
অমিত শাহের উপস্থিতিতে বিজেপির সদস্যপদ অভিযানের সূচনা, মিঠুন চক্রবর্তীর কথায় যেন এক অমোঘ সংকেত, ‘বাংলায় জয়ের জন্য প্রস্তুত যেকোনও কিছুর জন্য’, পর্যবেক্ষকরা ভেবে দেখেন, কতটা গভীর হতে পারে রাজনীতির এই চরিত্র। এই চলমান নাটকের জন্য কি আমন্ত্রিত হয়েছে সমাজ? প্রশ্ন উঠেছে, হানাহানি আর প্রতারণার মাঝে বাংলার দরজায় কী প্রত্যাশা নিয়ে যেতে চায় বিজেপি?

যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে মদ্যপান ও মাদক সেবনের ঘটনার পর কতটা স্বাধীনতা ও নিয়মে পরিবর্তন আসবে?
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের কারণে মদ্যপান ও মাদক সেবনের অভিযোগে অন্ধকারতম দিনগুলোর ছায়া পড়েছে, আর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশিকা যেন এক বিচিত্র সুরক্ষা কবচ। সমাজের অভিজাততন্ত্র অঙ্গীকার করে, কিন্তু কবে ফিরবে শুদ্ধতার আলো? নেতৃত্বের ব্যর্থতা, জনমানসে অসন্তোষ—এ যেন কাব্যিক নাটকের এক অনাবিল দৃশ্য।

“যান নিয়ন্ত্রণের অজুহাতে পুজোর ধ্বংসাত্মক শব্দবাজিতে সরকারের কড়া অপারেশন – সমাজের শান্তি, কোথায়?”
শহরের রাস্তার যান নিয়ন্ত্রণের কথা উঠেছে যেন পুজোর আনন্দ নষ্ট না হয়, কিন্তু বাস্তবে কি এ সব ‘নিয়ন্ত্রণ’ আর ‘আইন’ জনগণের নিরাপত্তা, নাকি রাজনৈতিক নাটকের লেবাস? ছোট লরির শব্দবাজি, প্রশাসনের উদ্দেশ্যহীন সতর্কতা—এসব কি কেবল আবহমানের খেলা, যেখানে রাজনীতির বায়োস্কোপ দেখানো হয়, আর সাধারণ মানুষ শুধুই দর্শক?

“তৃণমূলের বস্ত্রদান: নেতা ও বিডিওর মুখোমুখি চিত্রের মাঝে সমাজের বাস্তবতাও কি ফুটে উঠছে?”
তৃণমূলের বস্ত্রদান কর্মসূচিতে বিডিওর উপস্থিতি যেন এক নিকৃষ্ট নাটক, যেখানে শীতল পোশাকের মধ্য দিয়ে অভিনয় হচ্ছে জনগণের বোকামির। সুশৃঙ্খল শাসনের উদাহরণ হিসেবে হাজির হলেও, আসলে এ সব কিছুই তথাকথিত 'সমাজসেবা'র আড়ালে রাজনৈতিক স্বার্থের গন্ধ। জনতার দরদ দেখানোর কোলাহলে, আদর্শের স্তম্ভগুলো কেমন করে তার ভিত্তি খুঁজছে, তারই প্রতিফলন।

“রতন টাটার কালীপুজোর শোভাযাত্রা: রাজনীতির নাটকীয় দৃশ্যে নতুন গল্প, জনগণের মনোজগতে প্রশ্নের ঢেউ!”
রতন টাটার কালীপুজোর ভাসানে তৃণমূল নেতার শোভাযাত্রা যেন এক রঙ্গীন নাটক, যেখানে রাজনীতির মঞ্চে জনতার অশ্রু-বর্ষণ চিরকালীন। ধর্মের পুজোতে যেন অবলম্বন, অথচ শাসকদের প্রতি বৈরাগ্যের বাতাস—শুভ এবং অশুভের মধ্যকার নাচনে কি সত্যিই মেলে সমাজের মেট গন্ধ? টাটার মুখে সুখের আলোকচ্ছবি, অথচ করুণার ছায়া কি অদৃশ্য?

“রেফারেল সিস্টেমের পরিবর্তন: রোগীর অধিকার, সরকারী ব্যবস্থার অমানবিকতার পালা!”
বর্তমান সরকার রোগীদের রেফারেল সিস্টেমের খোলনলচে বদলানোর চেষ্টায় রয়েছে, যেন বেহালা থেকে বাহারী হাসপাতালের পথে রোগীদের হয়রানির পাঁকে পড়তে না হয়। কিন্তু প্রশ্ন জাগে, কি তবে এই সকল বদলাচ্ছে—শুধু নীতির শ্রীবৃদ্ধি, না নীতির আড়ালে লুকানো পুরনো ভাঁওতাবাজি? বাস্তবতা জানে, ব্যবস্থা কেবল দেখতে সুন্দর হলেই তো হয় না।

“নিজের অতীতকে আলিঙ্গন করে সিপিএম: নকশালদের সাথে অস্থায়ী প্রেমের খেলা!”
রাজনীতির অমলিন চালে, সিপিএম আজ নকশালদের সাঙ্গ করে ভোটের দলে নামার চেষ্টা করছে, একসময় যাদের কাঁকসাল বলে খোঁচা দিত। ডাক্তারদের আন্দোলনে ইন্দ্রিয়ম্মাল এই জোটের প্রমাণ দেয়, সরকারী কার্যকলাপের খোলসের ভেতর তালাশ করছে শক্তিপরীক্ষা। দুর্বলের হাত ধরার এই নাটক আদর্শের বদলে বর্তমানের রঙিন রাজনৈতিক প্যালেটে জীবনের তীব্রতা ইউনিসুনে বাঁধছে।