Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

সাত দিনের সাপেক্ষে রেলের লাইনচ্যুতি: সরকারী ব্যর্থতা, যাত্রীদের জীবন ও রাজনীতির খেলায় কি সহস্রিক নীরবতা?
দক্ষিণ-পূর্ব রেলওয়ের একটি লাইনচ্যুতির ঘটনায় যে ক্ষণিকের বিপর্যয়, তা যেন আমাদের রাজনৈতিক অঙ্গনের বৃহত্তর দুরবস্থার প্রতিবিম্ব। নেতাদের প্রতিশ্রুতির অতলে যেমন খুঁজে পাওয়া যায় না প্রশাসনিক সুস্থতা, তেমনি সাধারণ মানুষের নিরাপত্তা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা আমাদের চোখে। সিডরিত বিদ্রোহী উপাখ্যান হয়ে উঠছে প্রতিটি ঘটনা, যখন সৈনিকের মত আমরা আমাদের বিবেকের উল্লাসে রাজনৈতিক ক্রীড়াদেখি, সমাজে চিন্তার উত্তরণ আশা করেই।

“রাজারহাটের নার্সারিতে বেড়া স্পর্শে যুবকের উৎখাত, রাজনৈতিক নৈতিকতার মুখোমুখি সমাজের ব্যাকরণ!”
রাজাহাটের নার্সারিতে ঘটে যাওয়া একটি যুবকের দুর্ঘটনা, বেড়ার স্পর্শ করতে গিয়ে ছিটকে পড়ার ঘটনা, যেন আমাদের সমাজের ওপর রাজনৈতিক বেড়াগুলোই স্পষ্ট করে চলে আসে। এতোদিনে কতো নেতা আমাদের নিরাপত্তার অঙ্গীকার করেছিলেন, অথচ বেড়ার প্রান্তে দাঁড়িয়ে আমরা আঁকড়ে ধরলাম অসহায়ত্ব। গণতন্ত্রের আলোয় নিষ্প্রাণ হয়ে উঠছে প্রত্যাশাগুলি, অথচ আলোর উৎস আজ নিজেই আঁধারে। এ ভাবেই কি আমরা এগিয়ে যাব?

“বাঙালির নারীর নিরাপত্তায় প্রশ্ন, রাজ্যে মেডিক্যাল কলেজে র্যাগিংয়ের প্রেক্ষিতে আত্মপরিচয়ের খোঁজে ক্ষুব্ধ জনতা!”
গত অগস্টে তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের রক্তাক্ত ঘটনায় বাংলার রাজনীতিতে সৃষ্টি হয়েছে তীব্র তরঙ্গ। মেডিক্যাল কলেজে থ্রেট কালচারের অভিযোগে ৭ পড়ুয়ার বিরুদ্ধে উঠেছে বিক্ষোভের ডাক। সমাজের মৃৎশিল্প, নেতৃত্বের অদূরদর্শিতা এবং মিডিয়ার বিচরণে আজ জনগণের মনে প্রশ্ন, ‘শিক্ষার প্রতি আমাদের এই তাজ্জব স্বীকৃতি কি কেবলই ছল?'

“মমতা সেতু’র পাঁচ বছর: রাজনৈতিক ইতিহাসের গতি, কুণাল ঘোষের কথায় নেতাদের প্রতিশ্রুতি ও দর্শনের নাটক”
আজ 'মমতা সেতু'র পাঁচ বছর উদযাপন নিয়ে তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ কুণাল ঘোষ আলোচনায় বললেন, সেতুর পেছনের ইতিহাস এবং সৃষ্টির উদ্দেশ্য। তবে, রাজনীতির জলচ্ছাসে এ এক সেতু, যে শুধু নদী নয়, বরং শাসনের সমসাময়িকতারও প্রতিনিধিত্ব করে। জনগণের আস্থা ও বিরোধিতা, উভয়ের মাঝে এখন ভিড়ের যাত্রা, আর রাজনৈতিক মহল যেন সেতু গড়তে ও ভাঙতে ব্যস্ত।

“মহার্ঘ ভাতার দাবিতে আন্দোলন, প্রশাসনের বাধায় কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের সংকট!”
মহার্ঘ ভাতার দাবিতে গ্রুপ–ডি ঐক্য মঞ্চের ধরনায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে পুলিশ, যেন নিরঞ্জনের ভেতরে রেখেছে বিবেকবিচারের কোদালে; কলকাতা হাইকোর্টের দিকে দৃষ্টি ফেরানো এক অব্যক্ত প্রশ্ন, সরকারি ক্ষমতার খোঁজ? আর ভাবুন, কবে নবান্নের সামনে জনগণের চিৎকার들 হবে স্বাধীন সুরে, নাকি শাসকদের দৈন্যদশার প্রতিধ্বনি হয়ে থাকবে?

“বিএড কলেজের ভর্তিতে প্রশ্ন: কোন মানবিক চেতনার উৎস? এনসিটির নির্দেশিকা কেমনভাবে উপেক্ষিত?”
দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার অবনতির চিত্র ফুটে উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে ৬০০-৬৫০ টি বিএড কলেজের বাস্তবতা নিয়ে। নিয়মের তোয়াক্কা না করে ভর্তি চলছে, অথচ পর্যাপ্ত পরিকাঠামো নেই। গণতন্ত্রের রঙিন অধিকার কেবল মুখের কথায়; বাস্তবে কেমন অদ্ভুত মোহেরা! শিক্ষার নামে কি চণ্ডালাচার?

ফালাকাটায় রাজনৈতিক মহড়ায় সময়ের বাঁধন, কবে মুক্তি মিলবে অনিশ্চয়তার জালে?
বাংলার আকাশে রাজনীতির হাওয়ায় নতুন এক নাটক শুরু হয়েছে। প্রযুক্তি নির্ভর কাজের মহড়া যেন নিতান্তই এক অভিনয়—সময়সাপেক্ষ, তবু অজ্ঞাত শুধু নিয়মের গতি। ফালাকাটা টাউন ক্লাবের মাঠে এই চিত্র দেখা যায়, যেখানে নেতা-নেত্রীরা আধিকারিকের ক্রমবর্ধমান জীবনের নাটুকে নাট্যশালায় অভিনয় করছেন। সাধারণ মানুষের দিনযাপন কি এই প্রযুক্তির অঙ্গীকারের ছায়াতলে ঢুকবে?

“পুলিশের তদন্তে দুর্ঘটনা: নিরাপত্তার বেহাল দশা ও বন্দরের প্রশাসনিক ব্যর্থতার সামনে সমাজের প্রশ্নবোধক চিহ্ন!”
পুলিশ দুর্ঘটনার সময় উপস্থিত সবার সঙ্গে কথা বলে আসল কারণ খুঁজতে বাধ্য হচ্ছে, যেন নিরাপত্তার অভাবের চিত্র পরিষ্কার হয়। কলকাতা বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতি প্রশ্ন উঠেছে; কিন্তু নেতাদের তালে তালে কি নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে, নাকি আবারও কেবল কসেরী কথা? রাজনীতির অঙ্গনে, যে সংকটগুলো খালি চোখে দেখা যায় না, সেগুলোই কি আমাদের সভ্যতার রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবল সংকট বয়ে নিয়ে আসছে?

“মহামিছিলের অনুমতি না পেয়ে বিজেপির শাহরুখ খানের ‘তোরা কোথায়’– শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠকে রাজনৈতিক নাটকের নতুন থিম”
মহামিছিলের জন্য আবেদন করে বিজেপি, অথচ অনুমতি পেতে বেগ পেতে হচ্ছে, যেন রাজনীতির পীঠস্থানে শাসকদল নিজের পায়ের নিচে মাটি নেই। শুভেন্দুর সাংবাদিক বৈঠক যেন নাটকের পর্দার আড়ালে গভীর নিরাশার ছবি ফুটিয়ে তোলে, যেখানে গণতন্ত্রের স্বরূপ তবুও অধরা, এবং সত্যি-মিথ্যের খেলা সুখকর নয়।

রাজস্ব ঘাটতি: কলকাতা পুরসভার আয়ে ৭৮ কোটি টাকার পতন, কি বলবে নেতারা?
কলকাতা পুরসভার রাজস্ব আদায়ে ভাঁটা পড়েছে, নির্মম সত্য ফুটে উঠেছে যে, ৭৮ কোটি টাকা আয় কমেছে। এই সংকটে কি আর্থিক শৃঙ্খলার অভাব, নাকি নেতৃত্বের দৃষ্টিভঙ্গির অন্ধকার? জনমানসে প্রতিফলিত হচ্ছে শাসনের অন্তর্নিহিত দুর্বলতা, যেখানে সরকারী খরচের অলঙ্কারে জনগণের আশা করজালে জড়িয়ে যাচ্ছে। সত্যিই কি লালসার মোহে আমাদের নেতারা অন্ধ হয়ে পড়ছেন?