Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

“শমীক ভট্টাচার্যের সৌভ্রাতৃত্বের ধর্মের বাণী: রাজনৈতিক পটভূমিতে সমাজের গভীর দ্বন্দ্বের প্রতিচ্ছবি”
রাজ্যসভায় বিজেপি সাংসদ শমীক ভট্টাচার্য ইসলামকে 'সৌভ্রাতৃত্বের ধর্ম' বলে অভিহিত করেই বুঝিয়ে দিলেন, রাজনীতির পঙক্তিতে ধর্মের রঙিন খেলায় স্বপ্ন ও বাস্তবতা উভয়ই খুঁজে পাওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই মন্তব্যের পেছনে গভীরতা থাকে, কিন্তু রাজ্যের গমনে কতটুকু সৌম্যতা, তা ভাববার বিষয়। সমাজের মর্মে বিশৃঙ্খলার অলিগলি সত্ত্বেও, কি হবে এই সৌভ্রাতৃত্বের?

“রত্নগর্ভা সমাজের মূর্তি: জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদে সরকারের শিরদাঁড়ায় শক্তি ও দুর্বলতার খেলা”
রাজ্যে জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদের অঙ্গ হিসাবে মূর্তিটি প্রদর্শন করা হচ্ছে, যেন একদিকে চলমান প্রশাসনিক উদাসীনতার নিন্দা করা হয়, অন্যদিকে সমাজের অসংবেদনশীলতা প্রকাশ পায়। মনে হচ্ছে, রাজনীতির ক্রীড়াঙ্গনে চিকিৎসার আশা আজ শুধুমাত্র অভিনেতাদের খেলার ক্ষেত্র। জনতার মনের অন্তর্দৃষ্টি কি এক সময়ে সত্যিই মূর্তি পাবে?

“এখনকার রাজনীতিতে অশোক স্তম্ভের পরিবর্তে হাওয়াই চটি; সুকান্তের বিতর্কিত মন্তব্যে নির্বাচন কমিশনের নোটিশ!”
নির্বাচন কমিশন সুকান্ত মজুমদারকে নোটিশ পাঠিয়েছে তার অশোক স্তম্ভ নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যের জন্য, যেখানে তিনি তৃণমূলকে দালালি করার অভিযোগ তুলে অশোক স্তম্ভের ছোট খাটো অপমান করেছেন। এই মন্তব্যে ধরা পড়েছে আমাদের রাজনৈতিক দৃশ্যে গভীর হতাশা, যেখানে নেতাদের মুখে জাতির আভিজাত্য হারিয়ে যাচ্ছে এবং রাজনৈতিক চেতনা হাওয়াই চটির সমতলে দেবে যাচ্ছে। অসহিষ্ণুতা ও অবজ্ঞার এই নাটকে, জনগণের অনুভূতির প্রতি অদৃষ্টবিহারী নেতাদের উদাসীনতা এক নতুন ধরনের সাংস্কৃতিক সংকট সৃষ্টি করছে।

“আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০ সিসিটিভি: ৩ লক্ষ ৫২ হাজারে স্বচ্ছতার আড়ালে অস্বচ্ছতার মিছিল!”
আরামবাগ মেডিক্যাল কলেজে ৫০টি সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য ১ কোটি ৭৬ লক্ষ টাকা ব্যয়ের খবরটি শুধু আর্থিক অপচয়ের গল্প নয়, বরং শাসনের অদৃশ্য হাতের পরিচয়। তিন লক্ষ ৫২ হাজার টাকা প্রতি ক্যামেরায়, আমরা কি নিরাপত্তা পাচ্ছি, নাকি রাজনৈতিক দৃষ্টিক্ষেপ? প্রশ্ন জাগে, ক্যামেরার পেছনে কি আমাদের বিশ্বাসের অভাব নাকি নেতৃত্বের অযোগ্যতা?

দূষণের বাতাসে উৎসবের আনন্দ, শাসকদল কি ভুলে গেল জনগণের সুস্থতা?
উৎসবের মরশুমে কলকাতার বাতাসের শুদ্ধতা নিয়ে গরম আলোচনা চলছে, যখন নেতৃবৃন্দ পরিবেশের কথা বলছেন, কিন্তু চুপ করে মেনে নিচ্ছেন নিজেদের দায়বদ্ধতা। গবেশনানো প্রলাপ, আর সাধারণ মানুষের কষ্ট যেন মাধুরী পেতে পেয়ে গিয়ে গরজে বাজিতেছে। সমাজের স্বাস্থ্য ও রাজনীতির অপদার্থতা, এক অদ্ভুত দ্বন্দ্বের নাটক।

মমতার উত্তরবঙ্গ সফরে ভোটযুদ্ধের প্রস্তুতি; উপনির্বাচনে শাসকের আবেদন: জনগণের আসল মুখচ্ছবি কী?
উত্তরবঙ্গের পল্লিগ্রামগুলো এখন মুখ্যমন্ত্রীর পদধ্বনিতে মগ্ন, যিনি ১৩ নভেম্বরের উপনির্বাচনে জনতার মন জয় করতে সদা প্রস্তুত। কিন্তু এই কার্যক্রমের মাঝে তার আবেদন যেন রাজনৈতিক নাটকের এক বিস্তৃত স্ক্রিপ্ট। নির্বাচনের ফলাফল ২৩ নভেম্বর প্রকাশ হবে, সেইসঙ্গে গণমানুষের আশা আর হতাশার ঝিলমিল। কি নির্মম! নির্বাচনী তপ্ত বাতাসে তার বার্তা যেন প্রতিশ্রুতির মায়াজাল, যেখানে সমাজের বিভিন্ন স্তরের লড়াইয়ের আকুতিও ভাসমান। কতটুকু পরিবর্তন আসবে এই সাধনার মাধ্যমে? কষ্টে লেখার সময়ে, আমাদের রাজনীতির রঙ্গমঞ্চে বন্দী থাকা কি সত্যিই নতুন পথের সূচনা?

শিক্ষার্থীদের ট্যাবের প্রতিশ্রুতি, সরকারী প্রতারণা নিয়ে ক্ষোভে ছাত্র সংগঠন: মেদিনীপুরের জনতায় অস্থিরতা!
শিক্ষা দফতরের চিঠিতে উঠে এসেছে পূর্ব মেদিনীপুরের ছাত্রদের ট্যাব কেনার আশ্বাস, যা এখনও কেবল আশাও রইল। অথচ, এ পরিস্থিতিতে তাদের হয়রানি বেড়ে চলেছে, চাপ বাড়ছে। নেতৃত্বের প্রতি নিদারুণ অনীহা, কিন্তু জনতার আশা এখনও জেগে; সত্যিই কী মিতভাষী আমাদের শাসকেরা?

নাবালিকার বিরুদ্ধে দাদুর ধর্ষণের অভিযোগ: সমাজের গতি ও নৈতিকতার সংকটের চিত্র ফুটে উঠল!
রবিবার একজন কিশোরী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়ার পর তার দাদুর বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ তুলেছে, যা সমাজের গভীর অন্ধকারের প্রতিফলন। এই দুর্বিষহ ঘটনার মাধ্যমে আমরা বুঝতে পারি, যেখানে দায়িত্বশীলতার অভাব, সেখানে আইন ও প্রশাসন কেবল কাগজে কলমে, কোনো মানবিক সত্তা নয়। কি বিস্ময়! সমাজের এই চিত্র আমাদের রাজনৈতিক নেতাদের দায়বদ্ধতা নিয়ে প্রশ্ন তোলে, যখন টিভির পর্দায় সাজানো আলোচনায় অশান্তির পাবলিসিটি ফলো করা হচ্ছে।

“প্রধান শিক্ষকদের ওপর চাপ: শিক্ষার টাকা বিলম্বে প্রশাসনিক গাফিলতি, নেতৃত্বের ব্যর্থতা ও সমাজের অসন্তোষের প্রেক্ষাপট”
শিক্ষকদের সংগঠন দাবি করছে, ট্রেজারি কিংবা শিক্ষা দফতর যে ভুল করেছে, সে দায় নিতে তারা প্রস্তুত নয়। এর ফলে, যে সব স্কুলের ছাত্রছাত্রীরা এখনও অর্থ পায়নি, তাদের ওপর চাপ বাড়ছে। সমাজে এই অস্থিরতার মাঝে, গভীর প্রশ্ন উঠছে—শিক্ষার দায়িত্ব নেবেন কে? নেতা না, না ভাবনা?

“২০২৫ সালের মাধ্যমিক পরীক্ষা আগেভাগে, বিদ্যালয় পর্ষদের বিপরীতে ছাত্র-ছাত্রীদের চিৎকারে গলদঘর্ম রাজনৈতিক নাটক!”
আগামী বছরের মাধ্যমিক পরীক্ষা ১৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে, যা তারিখের অগ্রগতির চিত্র তুলে ধরছে, যেন governance’র সঠিক পথ খোঁজার মরিয়া চেষ্টা। শিক্ষার এই চতুর খেলায়, কর্তৃপক্ষের কঠোর আচরণ সত্ত্বেও, সমাজের উৎকণ্ঠার মাঝে কি শিক্ষা কেবল পরীক্ষার খাতায় সীমাবদ্ধ? জ্ঞানের চাইতে সমালোচনার রাস্তা কি উন্মুক্ত?