Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

গোপালনগরে দৃষ্টিহীন শিক্ষিকার চাকরি: প্রশাসনের মানবিকতার গল্প নাকি রাজনৈতিক নাটক?
পূর্ব মেদিনীপুরের গোপালনগরে সদ্য চাকরির সুপারিশপত্র হাতে পাওয়া সরস্বতী কর, যিনি ৭৫ শতাংশ দৃষ্টিহীনতায় ভুগছেন, তাঁর শিক্ষাদানের মাধ্যমে সমাজে একটি নতুন আলো জ্বালানোর লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছেন। সরকার যে গোপনে অক্ষমতার সীমারেখা দ্বীর্ণ করেছে, তা যেন আবার একবার স্পষ্ট হচ্ছে; যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও, সাফল্যের ঝলক দেখা যাচ্ছে শুধুমাত্র সুবিধাবাদীর রাজনৈতিক খেলার অন্ধ গলিতে।

“রাসের শোভাযাত্রায় বিপত্তির মাঝে শাসক দল ও নেতাদের দ্বন্দ্ব; পুণ্যভূমির চেতনা নষ্টের আশঙ্কা!”
রাসের শোভাযাত্রার আবহে যখন আনন্দের ধূমধামে চারপাশ রঙিন, সেই লাস্যে ভস্মীভূত হচ্ছিল বড় শ্যামা মা। রাজনীতির সুরে সুর মিলিয়ে নেতারা নিপুণ, কিন্তু বিপদের সঙ্গে ক্লান্তি লুকিয়ে। জনতার চোখে প্রশ্ন, উচ্চারণে বিদ্রূপ, কবে শেষ হবে এই অসংগঠিত সমাবেশ? সবার মনে, কেবল ভাস্বীভূতির দিকে পদার্পণের প্রত্যাশা।

“টয় ট্রেনের যাত্রা: বিদেশি পর্যটকদের আগমনে সরকারের উন্নয়নের নেপথ্যে কী লুকিয়ে আছে?”
আজ ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে দার্জিলিঙের উদ্দেশে টয় ট্রেনের যাত্রা শুরু হল, যেখানে বিদেশি পর্যটকও অন্তর্ভুক্ত। তবে এই উদ্ভাসিত ছবির আড়ালে প্রশাসনের অব্যবস্থাপনা ও অবকাঠামোগত ঘাটতির বিবর্ণ কাহিনী লুকিয়ে। রাজনীতির নাট্য মঞ্চে সংক্ষিপ্ত সাফল্য ও সমকালীন অসঙ্গতি নিয়ে ভাবনার আহ্বান তুলে এনে, বার্তা দিচ্ছে, সবুজ পতাকা তুলে ধরার সাথে সাথে কি আদৌ পরিবর্তনের বাতাবরণ তৈরি হচ্ছে?

শহরের ভরা বাজারে সোনার দোকানে ডাকাতি: পুলিশ ও ব্যবসায়ীদের প্রশ্ন, সমাজের নিরাপত্তা কোথায়?
রাজধানীর একটি ব্যস্ত বাজারে প্রকাশ্য ডাকাতির ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে, যা স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে। শহরের শান্তিপ্রিয় চিত্রে এ রকম ঘটনার সম্মুখীন হয়ে ব্যবসায়ীরা আতঙ্কিত। প্রশ্ন উঠেছে, প্রশাসন কি আদৌ দৃষ্টি রেখেছে, নাকি সবসময়ই মুখোশ পরে থাকে?

“সুকান্তের ক্ষোভে লুক্কায়িত রাজ্য সরকারের নাকের ডগায় রেলের কাজ শুরু, হিলি রেললাইন নিয়ে বিতর্ক সমালোচনায় নতুন মোড়!”
হিলি থেকে রেললাইন পাতার জন্য জমি অধিগ্রহণ নিয়ে শুরু হয়েছিল হট্টগোল, সুকান্তের বাগাড়ম্বরেও সরকার চুপ। অথচ, রেল নিজেদের কাজ শুরু করে দিয়েছে, যেন তারা সমাজের চিত্রকল্পে একটি নতুন প্রেক্ষাপট রচনা করতে চলেছে। ঠিক যেমন একটি কবিতায় প্রতীত হতে পারে, রাজনৈতিক নাটকেও যে সত্যতার রেশ থেকে যায়, তা বুঝতে পারে কে? এখানে শাসনের সারল্যে কি কেবলই রাষ্ট্রের বিশালতার গল্প, না কি জনগণের চিৎকারে দ্রোহের সুর লুকিয়ে?

“রিজেন্ট পার্কে গোলমালে পুলিশের ওপর হামলা: সমাজের অস্থিতিশীলতার করুণ ছবি ফুটে ওঠে”
রিজেন্ট পার্কের গলফগ্রিনের স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে পেয়িং গেস্টদের তুমুল বিবাদে এক প্রমাণিত সাংস্কৃতিক সংকটের চিত্র ফুটে উঠেছে। পুলিশ যখন শান্তি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছে, তখন গোলমালের মুখে তাদের উপর চড়াও হয়ে যাচ্ছে কিছু মানুষ, যেন তাঁরা সরকারের সাহায্য পাওয়ার চেয়ে আরও অশান্তির জন্ম দিতে আগ্রহী। এই পরিস্থিতি এমন প্রশ্ন তুলছে—আসলে আমাদের সমাজের ‘শান্তি’ কতটা ভঙ্গুর?

“গরীবের কল্যাণ, কার স্বার্থে? কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের খাদ্য বিতরণের নাটক; সমাজে কি প্রকৃত পরিবর্তন আসছে?”
সরকারের গরীব কল্যাণ অন্ন যোজনার আলোকে ৬ কোটি রেশন গ্রাহকের মধ্যে খাদ্য বিতরণের ঘটনা যেমন একদিকে আশার প্রদীপ, অন্যদিকে সরকারের চাল ও গমের খরচ বহনের অসুবিধা জনতার মাঝে প্রশ্ন জন্ম দেয়। সত্যিই কি মহৎ পরিকল্পনা, বা কেবল বাহ্যিক রূপের আড়ালে এক কৌতুকে? চাষিদের প্রাপ্য দানের কথা মিথ্যের আবরণে ঢাকা পড়ে গেলে সমাজের ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র উদ্বেগগুলি কোথায় যাবে? এই রাজনৈতিক নাটকেও মানুষের মৌলিক চাহিদা কেন সদা উপেক্ষিত?

“দুর্গাপুর মাইনিং সংস্থার ৪৮% মালিকানা: প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের হাতে, রাজনীতির নাটুকে পর্দা উঁচু হচ্ছে!”
দুর্গাপুরের মাইনিং অ্যালায়েড মেশিনারি কর্পোরেশনের ৪৮ শতাংশ মালিকানা যখন কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা মন্ত্রক অধিকারী ভারত আর্থ মুভার্সের হাতে, তখন কি নিরাপত্তার ব্যবসা এবং রাজনীতির মর্মান্তিক সখ্যতা সত্যিই জনগণের কল্যাণে? সমাজের মূলধারার মধ্যে জেগে উঠছে সংশয়, আর নেতৃত্বের দক্ষতার জানান দিচ্ছে অন্ধকারের নৈতিক আগুন।

বাংলাদেশ কায়দায় ‘হিন্দু নিধন’ জরুরি প্রশ্ন: মমতাকে সুকান্তের চ্যালেঞ্জ, পশ্চিমবঙ্গ কি সত্যিই বাংলাদেশে বদলে যাচ্ছে?
সুকান্তর বিস্ফোরক অভিযোগে সাড়া দিয়ে পশ্চিমবঙ্গ রাজনীতিতে নতুন চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে; তিনি দাবি করেছেন, বেলডাঙায় হিন্দুদের ওপর নিপীড়ন চলছে, যা বাংলাদেশের তালুর ভেতর সীমাবদ্ধ নয়। মমতার প্রতি প্রশ্ন উঠেছে, সরকার কি এক অজানা কৌশলে বাংলাকে বাংলাদেশ বানানোর পাঁয়তারা করছে? রাজনীতির এই নাটকীয়তার পেছনে জনগণের অসন্তোষ রয়েছে, যা সময়ের সাথে সাথে ফুঁসে উঠছে।

“হিমঘর মালিকদের নোটিশ: আলুর দুষ্যন্তি ও শাসনের নতুন অধ্যায় কি দিচ্ছে সমাজকে?”
রাজ্যের হিমঘর মালিকদের পুরনো নোটিশের ছক যখন ব্যবসায়ীদের লক্ষ্য করে, তখন প্রশ্ন উঠছে—আলুর মজুতের এই অশান্তিতে সরকারের পলিসির কতটা গ্রহণযোগ্যতা আছে? ১০ লক্ষ টন আলু পাহাড়ের মতো দাঁড়িয়ে, কিন্তু জনগণের পেট কাঁপছে ক্ষুধায়। রাজনৈতিক নেতাদের গূঢ় ব্যবসায়ের আঁচে কি আমরা বুঝতে পারব মানুষের সঠিক খাদ্যের অপরিসীম অনলাইন ক্লাস?