Bengal
পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতির সর্বশেষ আপডেট, নির্বাচনের খবর, রাজনৈতিক দলগুলোর কৌশল এবং বিশ্বজুড়ে চলমান ট্রেন্ডিং খবর একসাথে পান।

বাইসনের হামলায় গুরুতর আহত নৃপেন: স্থানীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে নতুন বিতর্ক উত্তেজনা সৃষ্টিকারী
নৃপেন বর্মনের উপর বাইসনের হামলা যেমন আমাদের সমাজের প্রাণীজগতের চিত্র উল্কার মতো স্পষ্ট করে তুলেছে, তেমনই রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি অদৃশ্য দায়িত্বহীনতারও রূপক। সমাজের এই অবক্ষয়ে জনগণের নিরাপত্তা নিয়ে আলোচনা বাড়ার বদলে, নেতাদের হাত পরিবর্তনের খেলা এক ভিন্ন আঙিনায় প্রবাহিত হতে থাকে। কোথায় আমাদের মনুষ্যত্ব, যখন মানুষ তাঁদেরই সামনে নিপীড়িত?

স্থানীয়দের ক্ষোভে ফুঁসছে, ভাগাড়ের বিরুদ্ধে আন্দোলন এবং পুলিশের আচরণের প্রতিবাদে তীব্র বিক্ষোভ!
স্থানীয়দের ক্ষোভের আগুন এখন ক্ষোভের বিক্ষোভ, পুলিশ ও পুরসভার বিরুদ্ধে তাদের প্রতিবাদের ঢেউ। মানুষ জেগে উঠেছে, ভাগাড়ের সম্ভাবনা গ্রহণ করবেনা তারা। অথচ, রাজনৈতিক ভূতেরা নিশ্চল—সুর না তুললেও কিচ্ছু ঘোরে। দুর্নীতি ও অদূরদর্শিতার চলমান নাটকে, জনতার নেতিবাচক বিপরীতে একটি প্রেমময় সমাজের সম্ভাবনা গুরুতর রুদ্ধ।

“কলকাতা পুরসভার নতুন ভবন: তৃণমূলের প্রশংসা-সমালোচনা, ইতিহাসের স্মারক হবে চ্যাপলিন সিনেমা হল”
কলকাতা পুরসভার পুরনো ভবনে অফিসের ভিড় বেড়েছে, অথচ নতুন ভবনের মহাপ্রজেক্টের কাহিণী যেন দেরিতে আসে চ্যাপলিনের হাসির মত! ২০১৬ সালে শিলান্যাস, ২০২০ সালে কাজ শুরু, আর এখন ফলক উন্মোচনের অপেক্ষায়—এটা কি কৌতুক, নাকি শাসনের নাটক? তৃণমূলের হাত ধরে ভবন তৈরির প্রচেষ্টা যেন সমাজের অব্যবস্থার এক প্রতীক, যেখানে প্রথমে পরিকল্পনা, পরে কানা খোঁজা, আর শেষে ইতিহাসের গর্ভে চাপা পড়ে যায় যথার্থতা।

“বারাবনির অফিসার ইন চার্জ মনোরঞ্জন বাবুর সাসপেনশন: শাসন ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ ও জনগণের ক্ষোভ!”
বারাবনি থানার অফিসার ইন চার্জ মনোরঞ্জন বাবুর সাসপেনশন চিঠি হাতে পেয়ে তিনি বুঝতে পারলেন, রাজনীতির এই খড়কুটোর মধ্যে পেশাদারিত্বের ধারকাটার খেলা চলছে। কয়লা ও বালি ব্যবহারের চাতুরীতে মানুষের স্বার্থের কেয়ার কোথায়? সমাজের দূর্বলতম স্তরে যখন নিশ্বাস নিতে দেখা যায় প্রভাবশালী মহলের ছলনাকে, তখন হাসির আড়ালে কেঁদে উঠে মানবিকতার খোঁজে।

গোটা রাজ্যে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা বৃদ্ধি, প্রশাসনিক ব্যর্থতা নাকি সামাজিক অবক্ষয়? জরুরি আলোচনা প্রয়োজন।
গোটা রাজ্যে নাবালিকা প্রসূতির সংখ্যা বাড়ছে, আর স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান যেন বিরক্তির এক আড়ালে লুকানো চিত্র। শাসকেরা মুখে শুধু উন্নয়নের গুনগুন করেন, কিন্তু বাস্তবে সুস্থ সমাজ গড়ার দায়বদ্ধতা কোথায়? নেতাদের রাজনৈতিক নাটক আর কল্পনালোকের গল্পে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন। সমাজের এ জাগরণ কি শেষ পর্যন্ত কেবল কথা, না কি কোন পরিবর্তনের সূচনা?

নোয়াপাড়া জংশনে ট্রেনের সম্ভাবনা: যাত্রী নিরাপত্তা বনাম উন্নয়নের বাস্তবতা
নোয়াপাড়া জংশন স্টেশন নিয়ে যাত্রীদের ভিড় ঠেলার চিন্তায় সরকার শেষ মুহূর্তের গড়িমসি করছে। যদিও মেট্রোপথ প্রস্তুত, কিন্তু ট্রেন চলাচল না হলে ভোগান্তি লাঘব হবে না। বরং এটি রাজনীতির মিষ্টি তেলে সিদ্ধ, যেখানে প্রতিশ্রুতির ফুলঝুরি আরও প্রসারিত। জনগণের দৃষ্টি এড়িয়ে, উন্নয়নের কচুরি আজও লুটোপুটি করছে।

তৃণমূলে রদবদল: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্ত কি বদলাবে রাজনৈতিক চিত্র?
তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতরে রদবদলের গুজব যেন এক নাটকের চিত্রনাট্য, যেখানে সুব্রত বক্সি ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বৈঠক তাঁকে দেবে ভিন্ন মাত্রা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে পৌঁছানো তালিকার দেখা না পেলে, প্রশ্ন উঠছে—ছুরি কাঁচি চলে না কি শাসকশ্রী মৃন্ময়ী মূর্তির গোপনে সাজছে? রাজনীতির এই জটিল তাসের খেলায় জনগণের আশা কি অমলিনেই রবে?

“বিধবা ভাতার মাধ্যমে ২০ লক্ষ নারীর পাশে, সরকারের ৩ হাজার কোটি টাকার বোঝা! কেন এমন নিশ্চিন্ত?”
বাংলার বিধবা ভাতা প্রকল্প নতুন করে ৪৩ হাজার ৯০০ মহিলা উপকারিতা পাচ্ছেন, তবে স্তন্যপানকারী রাজকোষে ৩ হাজার কোটি টাকার বোঝা এখন হাত থেকে ছুটবে কি? রাষ্ট্রের উদ্বেগ নিয়ে চিন্তা বাড়ছে, যখন বিশেষ দক্ষতার ১৯ হাজার জনকে সাহায্য দেওয়া হচ্ছে। তবে, এ যেন এক সমাজের অশান্ত সুরে, যেখানে রাজনৈতিক দানশীলতা পকেটের ফাটলের সমান!

“ছাত্রদের জন্মদিন পালনে প্রাণহানির ঘটনায় উত্তাল রাজনীতি: সরকারের ওপর ক্ষোভ ও নিরাপত্তা প্রশ্নের উথ্থান!”
বাংলাদেশের সাম্প্রতিক কিশোর মৃত্যুর ঘটনায় প্রশাসনের উদাসীনতা ও সামাজিক মূল্যবোধের দুর্বলতা আবারও সামনে এসেছে। ছয় তরুণের জন্মদিন উদযাপনের মুহূর্তে তাদের নিখোঁজ হওয়া এবং বাড়িতে না জানানো চিত্তাকর্ষক প্রশ্ন সৃষ্টি করে; কীভাবে যুবসমাজের এ বৈপরীত্য দেশের শাসনকর্তাদের খারাপ কাজের প্রতিফলন? আমাদের সমাজের অন্ধকার চরিত্র কি নতুন করে উন্মোচিত হচ্ছেনা?

চা-বাগানের এলাকায় হাতির উপস্থিতিতে অবাক স্থানীয়রা, বন দফতরের দায়িত্বহীনতা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন!
অরণ্যের রাজনীতির খেলা যেন টিকটিকির মতন; হাতির দলছুট হওয়ার ঘটনায় সরকার আবারও অক্ষমতার ছবি তুলে ধরেছে। দুটি সাইলি চা-বাগানের প্রান্তে জনতার মোড়লরা স্মার্টফোনে বন্দি করেছে হাতির কাণ্ড, অথচ সরকারী কর্মীরা ঠোঁটকাঁপানো আশ্বাস ছাড়া কিছুই দিতে পারছে না। খুবই দুঃখজনক, তবে এ যেন প্রতিবাদের এক নতুন রূপ; জনতা হাতির আনন্দে বুঁদ, আর শাসকগণ বসে দেখছে তাদের নৈশভোজ।