বলিউডের অন্যতম经典 চলচ্চিত্র “করণ অর্জুন” ২২ নভেম্বর ২০২৪-এ পুনঃমুক্তির জন্য প্রস্তুত হচ্ছে, যা এই ধরণের সিনেমার মধ্যে সেরা। পরিচালক রাকেশ রোশন ৯০-এর দশকের সাহসী সময়ের কথা স্মরণ করেছেন, যখন শাহরুখ এবং সালমানের সঙ্গে কাজ করা ছিল সরল ও আনন্দময়। সেই সময়ে অভিনয়ে কোমলতা ছিল, যা এখন পরিবর্তিত হয়েছে। এই পুনঃমুক্তির ফলে প্রযোজকদের জন্য এক নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচিত হয়েছে, তবে বাজারের চাপে সেটা কতটা কার্যকর হবে তা প্রশ্নসাপেক্ষ।
কালের স্রোতে হারিয়ে যাওয়া: ‘করণ অর্জুন’-এর পুনরায় মুক্তিতে বলিউডের নতুন মাত্রা
এক সময়ের জনপ্রিয় ছবি ‘করণ অর্জুন’ ২২ নভেম্বর, ২০২৪-এ পুনরায় মুক্তির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। শাহরুখ খান এবং সালমান খানের প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা এই ছবিটি ভারতের চলচ্চিত্র জগতের একটি অগ্রণী সৃষ্টি। পরিচালক রাকেশ রোশনের কথায়, এটি হবে হিন্দি ছবির ইতিহাসে সবচেয়ে বড় পুনঃপ্রকাশ।
রাকেশ রোশন বলিউড Hungama-র সাথে আলাপচারিতায় পুরনো স্মৃতিচারণ করেছেন। তিনি উল্লেখ করেন, “আমরা ১৯৯০-এর দশকে ছবি বানানোর সময়গুলোকে সত্যিই মনে পড়ে। তখনকার সময়ের কাজের সহজতাও আজকের সময়ের তুলনায় ভিন্ন ছিল।”
শাহরুখ ও সালমানের শৈশবের মতো প্রভাতিকতা
রাকেশ রোশন জানান, “আমি সকালে শাহরুখ এবং সালমানকে যেমন জাগাতাম, সেটা যেন শিশুদের ডাক দেয়ার মতো ছিল। শাহরুখ যেমন অর্জুনের মতো আচরণ করতো, সালমান ঠিক তেমনই করণ। আমি সকাল ৬টায় তাদের ঘরে গিয়ে বলতাম, ‘শাহরুখ, ওঠো’। সালমান আমাকে দেখে বালিশ টেনে মুখের ওপর দিত, বলতো, ‘আমি তো প্রস্তুত হচ্ছি’।”
সেই পুরনো দিনের সাদৃশ্য এবং নতুন সিনেমার পরিবেশ মিলে কিভাবে সিনেমার শিল্পটি পরিবর্তিত হচ্ছে, এটাই আজকের বলিউডের মূল প্রশ্ন।
নতুন প্রজন্মের অপেক্ষা
‘করণ অর্জুন’-এর পুনরায় মুক্তির ট্ৰেলারে কণ্ঠ দিয়েছেন হৃতিক রোশন, যিনি ছবিটির নতুন ট্ৰেলার প্রকাশে উচ্ছ্বসিত। তার সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত পোস্টে তার আগ্রহ ও সংযুক্তির উক্তি স্পষ্ট। চলচ্চিত্রের মহিমা এবং প্রজন্মের পরিবর্তনকে অনেক তরুণ দর্শকরা আজকের ছবির মাধ্যমে উপভোগ করছে।
পুনঃপ্রকাশের উপকারিতা ও সংকট
তবে রাকেশ রোশন আরও একটি বিষয় উদ্ধার করেছেন সেটি হলো, মাল্টিপ্লেক্সগুলো পুনঃপ্রকাশের সময় ছবি থেকে ৬৫-৭০% রাজস্ব তুলে নেয়। এই কারণে প্রযোজকরা খুব বেশি লাভ করত্তেন না। তিনি জানান, “এটি নির্মাতাদের জন্য সম্মান এবং সন্তোষ্টির জন্য।” এই বিতর্কিত বিষয়টি আজকের বলিউড ইন্ডাস্ট্রির বাস্তবতা তুলে ধরা উচিত।
এখন প্রশ্ন দাঁড়ায়, বর্তমান বলিউডের এই ব্যাপারগুলি কি দর্শকদের প্রয়োজনীয়তার সাথে মানানসই? একদিকে যেমন স্থানীয় কাহিনীগুলো, অন্যদিকে আন্তর্জাতিক স্টাইল… শেষে কি হতে চলেছে? আর কবে চোখে দেখা যাবে আরো নতুন ও বর্ণময় গল্পগুলো? এই প্রশ্নগুলি আমাদের সামনে থেকেই যাচ্ছে।