পাকিস্তানি ব্লকবাস্টার ‘দ্য লিজেন্ড অফ মৌলা জাট’ ভারতের মুক্তি আবারও অনিশ্চিত। ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খানের এই সিনেমা, যা রাজনৈতিক চাপের কারণে বারবার বাধাগ্রস্ত হচ্ছে, দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি করেছিল। সংস্কৃতির এই বাধাবিপত্তির মধ্যে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের চলমান চ্যালেঞ্জগুলি স্পষ্ট হচ্ছে, যা ভারত-পাকিস্তান সম্পর্কের জটিলতার প্রভাব ফুটিয়ে তোলে। চলচ্চিত্রের এই ধরনের গণমাধ্যম প্রতিনিধিত্বের ফলে সমাজে ভিন্নতর চিন্তাভাবনাও দেখা দিতে পারে।
আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে ‘দ্য লেজেন্ড অব মৌলা যত’ – বলিউডের এক নতুন দোলন!
পাকিস্তানের সংলগ্ন ব্লকবাস্টার ‘দ্য লেজেন্ড অব মৌলা যত’, যে ছবির জন্য ভারতীয় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা ছিল চরমে, এবার আবারও নতুন সংকটে। ছবির মুক্তি অনির্দিষ্টকালের জন্য মুলতবি হয়ে গিয়েছে। নির্মাতাদের পক্ষ থেকে সঠিক কারণ জানানো না হলেও, ছবিটির ডিসট্রিবিউটর জি স্টুডিয়োসের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল অক্টোবর ২ তারিখে ছবিটি মুক্তি দেওয়া। কিন্তু এখনও ভারতীয় সরকারের নিকট থেকে প্রয়োজনীয় ছাড়পত্র আসেনি, যা মুক্তির তফসিলকে প্রভাবিত করেছে।
পঞ্চম শ্রেণির চলচ্চিত্র: রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের ফালতু খেলা
মিড-ডে’র প্রতিবেদনের ভিত্তিতে, জি স্টুডিয়োসের পক্ষ থেকে এখনও কোনো অফিসিয়াল বিবৃতি দেওয়া হয়নি, তবে সূত্রের মতে, মুক্তির দেরিতে রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পক্ষ থেকে বিরোধ আর প্রতিবাদের সম্ভাবনাই মূল কারণ হিসেবে সন্দেহ করা হচ্ছে। গত ডিসেম্বরেও ছবির মুক্তি একই কারণে বাতিল হয়েছিল। একটি সূত্র জানিয়েছে, “সেপ্টেম্বর ২৭ তারিখে ছবিটির ছাড়পত্র পাওয়ার কথা ছিল, কিন্তু তা এখনও দেওয়া হয়নি।”
প্রেম-অভিনয়-সমাজের সমীকরণ
এবার এই চলচ্চিত্রের বাতিল হওয়া সত্ত্বেও, ফাওয়াদ খান ও মাহিরা খানের অভিনয় দর্শকদের মধ্যে যে আবেগ সৃষ্টি করেছে, তা সহজে ম্লান হবে না। ছবিটি বাংলাদেশে মুক্তি পেলে সম্ভবত এটি ১০ বছরের মধ্যে প্রথম পাকিস্তানি চলচ্চিত্র হিসেবে মুক্তি পেত। একজন ট্রেড বিশ্লেষক মন্তব্য করেছেন, “সরকারের চাপ বোঝা যায় না, বরং এটি ফ্রিঞ্জ গ্রুপের পক্ষ থেকে সম্পত্তির ক্ষতির ঝুঁকির কারণ হতে পারে।”
শিল্পীদের সৃষ্টিশীলতার সংকট
পাকিস্তানি নির্মাতাদের ভারতীয় বাজারে প্রবেশের সংকট নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে। দুই দেশের রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক জটিলতাগুলি চলচ্চিত্র আধিকারিকদের জন্য অন্তরায় হয়ে দাঁড়ায়। ডিসেম্বরের সেই ঘটনার পর জি স্টুডিয়োস নতুন করে মুক্তির পরিকল্পনা করেছিল, কিন্তু সম্প্রতি আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে যে, চলচ্চিত্রটি থিয়েটারে মুক্তি দেওয়া যাবেনা।
ডিজিটাল ঐতিহ্যের প্রস্তুতি
অভ্যন্তরীণ সূত্রে জানা গেছে, “সম্পত্তির ক্ষতি হওয়ার ঝুঁকি নেই। আমরা থিয়েটার মুক্তির জন্য ঝুঁকি নিতে পারি না, তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মের দিকে নজর দিচ্ছি।” এই অবস্থা বলছে যে ছবিটির মুক্তি এই সপ্তাহে সম্ভব নয়। চলচ্চিত্রপ্রেমীদের জন্য এটি একটি হতাশাজনক খবর, তবে ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কীভাবে অভিজ্ঞতা অর্জন হতে পারে, তাও এখন সময়ের অপেক্ষা।
নতুন দর্শক এবং গল্প বলার পরিবর্তন
স্পষ্টত: ‘দ্য লেজেন্ড অব মৌলা যত’ শুধু একটি চলচ্চিত্র নয়, বরং এটি একটি সামাজিক মহল, একটি পরিচিতি যা দুই অপরাপর সংস্কৃতির মধ্যে সেতুবন্ধন সৃষ্টি করতে পারতো। বর্তমান বলিউডের অবস্থায়, এটি একটি নতুন ধারণা, যা একদিকে রাজনৈতিক সীমাবদ্ধতা ও অন্যদিকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে চলমান প্রতিপক্ষের চাপ মানিয়ে চলার সংকটকে পরিষ্কার করে।