কাল্পনিক বলিউডের চিত্রে এক চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটেছে, যখন খ্যাতনামা অভিনেতা বিক্রান্ত মেসি ৩৭ বছর বয়সে অভিনয় থেকে অবসর নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। তাঁর সিদ্ধান্তে ভক্তরা হতবাক, কারণ তিনি পরিবারে ফোকাস করার কথা জানিয়েছেন। শিল্পের পরিবেশনাগত পরিবর্তনে, মনে হচ্ছে, অভিনেতারা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনকেও প্রথমে গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই পরিবর্তনের ফলশ্রুতিতে, সিনেমার গল্প এবং অভিনেতাদের মনোভাবের ওপর নতুন আলো পড়ছে, যা দর্শকদের কাছে আরো গভীরতা নিয়ে আসছে।
ভিক্রান্ত মাসসির অবসরের ঘোষণা: বলিউডের উজ্জ্বল তারা কি হারাতে চলেছে?
ভিক্রান্ত মাসসির ঘোষণা
একটি চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত নিয়ে ভক্তদের স্তব্ধ করে দিয়েছেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেতা ভিক্রান্ত মাসসি। মাত্র ৩৭ বছর বয়সে অভিনয় থেকে অবসর নেন তিনি। “১২তম ফেল,” “সেক্টর ৩৬,” এবং “দ্য সাবরমতি রিপোর্ট”-এর মতো বিভিন্ন চলচ্চিত্রে তাঁর অসাধারণ অভিনয় তার অনেক ভক্ত অর্জন করেছে। ইনস্টাগ্রামে একটি আবেগপূর্ণ নোটের মাধ্যমে এই অপ্রত্যাশিত খবরটি জানান তিনি, যেখানে স্পষ্টতই ব্যক্তিগত জীবনের দিকে মনোনিবেশ করার ইচ্ছার কথা উল্লেখ করেছেন।
ভিক্রান্তের আবেগময় বক্তব্য
নিজের ইনস্টাগ্রাম পোস্টে তিনি লিখেছেন, “গত কয়েক বছর এবং তার বাইরের সময়টি চমৎকার ছিল। আমি আপনাদের সকলের অকৃত্রিম সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ জানাই। তবে আমি যখন এগিয়ে যাচ্ছি, তখন অনুভব করছি যে বাড়িতে ফিরে যাওয়ার সময় হয়েছে। একজন স্বামী, বাবা এবং পুত্র হিসেবে। এবং তাই অভিনেতা হিসেবে।”
তিনি যোগ করেছেন, “তাহলে ২০২৫ সালে আমরা শেষবারের মত দেখা করবো। যতক্ষণ না সময় সঠিক মনে করে। শেষ ২টি সিনেমা এবং অনেক স্মৃতি নিয়ে। আবারও ধন্যবাদ। সবকিছুর জন্য এবং সবকিছু এর মাঝে। চিরকাল আপনার কাছে ঋণী।”
ভক্তদের প্রতিক্রিয়া: মিশ্র আবেগ
ভিক্রান্তের এই ঘোষণায় তার ভক্তদের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। অনেকেই অক্ষম বলছেন এবং তাকে পুনর্বিবেচনা করার জন্য অনুরোধ করছেন। একজন ভক্ত মন্তব্য করেছেন, “আমি আশা করি এটি সত্য নয়।” একজন অন্যজন লিখেছেন, “আপনার কাপ পূর্ণ করুন, তারপর ফিরে আসুন।” আরেকটি আবেগপূর্ণ প্রতিক্রিয়া ছিল, “আপনি বলিউডের পরবর্তী ইমরান খান কেন হতে চান? আমরা ইতিমধ্যেই একজন অসাধারণ অভিনেতাকে হারিয়েছি শুধু তিনি পরিবারকে বেছে নিয়েছিলেন।” অনেকেই তার ক্যারিয়ার উন্নতি নিয়ে আলোচনা করেছেন, যেমন, “ভাই, তুমি শিখরে আছো… তুমি কেন এমন ভাবে ভাবছো?”
ভিক্রান্তের পরবর্তী পদক্ষেপ
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ভিক্রান্ত বর্তমানে দুটি শেষ প্রকল্পঃ “ইয়ার জিগ্রি” এবং “আঁখোঁ কি গুস্তাখিয়ান” নিয়ে কাজ করছেন, যা ২০২৫ সালে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এই চলচ্চিত্রগুলো তার অভিনয় জীবনের সমাপ্তি হবে, যা টেলিভিশন থেকে শুরু করে সিনেমা এবং ওটিটি প্ল্যাটফর্মে বিস্তৃত হয়েছে।
শেষের কথা
বর্তমানে বলিউডের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। একদিকে ভিক্রান্তের মতো প্রতিভাবান শ্লেষা ও পরিবারকে অগ্রাধিকার দিতে দেখা যাচ্ছে, অন্যদিকে চলচ্চিত্র শিল্পে বাহাল ভাব আর আস্থা কমে গেছে। ভিক্রান্তের এই সিদ্ধান্ত যথার্থই আমাদের ভাবতে বাধ্য করছে—বাস্তব জীবন ও আভিজাত্যের মধ্যে ভারসাম্য খুঁজে বের করা কি আদৌ সম্ভব?