বলিআর্টের নতুন প্রবণতা ‘ভিকি বিদ্যার কা সেই ভিডিও’ নামক সিনেমাটি সেন্সর বোর্ডের অনুমোদন পেয়েছে, যা ২৫ বছরের পুরনো ৯০-এর দশককে নতুন করে ধরেছে। রাজকুমার রাও এবং ত্রিপ্তি দিমরি-এর অভিনয়ে সাজানো এই কমেডি ড্রামা আগামী ১১ অক্টোবর মুক্তি পাচ্ছে, আলিয়া ভাটের ‘জিগরা’র সঙ্গে মুখোমুখি হবে। নভেল এন্টারটেইনমেন্টের প্রেক্ষাপট পরিবর্তন তরুণ প্রজন্মের স্বপ্ন ও আশা ধরা দিচ্ছে, যেখানে অভিনেতাদের প্রতিভা এবং গল্প বলার নতুন ধারার নেতিবাচক দিকগুলোও তুলে ধরা হচ্ছে।
বোলীউডে হাস্যকর ভঙ্গিতে ফেরার যুগান্তরের আভাস
নির্মাতা রাজ শাণ্ডিল্যার নতুন চলচ্চিত্র “বিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও” সকলের নজর কেড়েছে। অদ্ভুত এবং উদ্ধত নামের জন্য এর আগেই আলোচনা শুরু হয়েছিল। কিছু সপ্তাহ আগে ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার পর, রাজকুমার রাও এবং তৃতী দিম্রির অভিনয়ে পরিচালিত এই ছবিটি দর্শকদের মধ্যে আরও আগ্রহ তৈরি করেছে। রাজ শাণ্ডিল্যার স্বস্তিদায়ক হাস্যরসের পাশাপাশি, ১৯৯০ দশকের স্মৃতিচিহ্নকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছে যা হিন্দি চলচ্চিত্র প্রেমীদের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়।
সেন্সর বোর্ডের তরফে ছাড়পত্র
এখন খবর এসেছে যে কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড (CBFC) “বিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও”কে U/A সনদ দিয়েছে। আর্থাৎ, ছবিটি সব বয়সের মানুষের জন্য দেখার অনুমতি পাওয়া গেছে, তবে অপ্রাপ্তবয়স্কদের অবশ্যই একজন বড় মানুষের সাথে থাকতে হবে।
ছবির দৈর্ঘ্য ও মুক্তির দিন
ছবির মোট সময়কাল 152.05 সেকেন্ড বা 2 ঘণ্টা 32 মিনিট 5 সেকেন্ড। এই হাস্যকর নাটকটিতে আরও আছেন মালিকা শেরাওয়াত, বিজয় রাজ, অর্শনা পুরণ সিংহ এবং টিকু টলসানিয়া। ছবিটি আগামী শুক্রবার, ১১ অক্টোবর মুক্তি পেতে যাচ্ছে এবং একই দিন আলিয়া ভাট ও বিদাং রাইনার “জিগরা” ছবির সাথে বক্স অফিসে আসন্ন দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করবে।
সমালোচনার সম্মুখীন তৃতী দিম্রি
এদিকে, তৃতী দিম্রি ‘মেরে মেহবূব’ গানটির নাচের জন্য হওয়া সমালোচনা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানাতে গিয়ে বলেছেন, “কেউ সব কিছুতে ভালো হতে পারে না।” ছবির প্রতিটি দিক বাংলার চলচ্চিত্রপ্রেমীদের ওপর প্রভাব ফেলবে, বিশেষ করে এর কৌতুক এবং সমসাময়িক সমাজের প্রতিফলনের গঠনশীলতা।
বাংলা চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য বিশেষ কিছু
বোলlywoodের বর্তমান অবস্থার প্রেক্ষাপটে, এই ছবির মুক্তি শুধু বিনোদন নয় ইউজারদের এক বিশেষ সামাজিক বার্তাও পাস করবে। বর্তমানের নানান সংকট এবং বিনোদনের বিচিত্র প্রাপ্যতা নিয়ে বিশ্লেষণ করতে হবে। রাজ শাণ্ডিল্যার নতুন প্রচেষ্টায় কিভাবে আমাদের সমাজের এক শ্রেণীর চাহিদা পূরণ হচ্ছে, সেটাই সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ এবং চিন্তার উদ্রেককারী।
সুতরাং, এটি স্পষ্ট যে “বিকি বিদ্যা কা ওহ ওয়ালা ভিডিও” শুধুমাত্র একটি চলচ্চিত্র নয়; এটি একটি নতুন যুগের সূচনা, যেখানে দর্শকরা উত্তরাধিকার সূত্রে প্রাপ্ত মানসিকতা এবং আধুনিক কাহিনীর মধ্যে সদা পরিবর্তনশীলতা দেখতে পাচ্ছেন। বোলিউডের এই নতুন মোড় সম্ভবত চলচ্চিত্রের দর্শকদের মধ্যে একটি নতুন সংলাপ শুরু করবে।