দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্যশিল্পী জানি মাস্টার বর্তমানে যৌন হয়রানির অভিযোগে জেলে, যা তাকে ২০২২ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের জন্য চূড়ান্ত মনোনয়ন থেকে বিপর্যস্ত করেছে। ২১ বছর বয়সী এক নারী দীর্ঘদিনের অভিযোগ উঠিয়েছে যে জানি তাকে তার উচ্চারণে নির্যাতন করেছে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের অন্ধকার দিকগুলোর দিকে আঙুল তুলছে। এবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের আয়োজনেও অনিয়ম ঘটেছে, যেখানে সাসপেন্ড করা হয়েছে তার মনোনয়ন। তাহলে কি চলচ্চিত্রের এই জগতে ন্যায় ও নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠার সময় এসেছে?
বলিউডের মর্মান্তিক ঘটনা: যৌন হিংসার অভিযোগে আটক কিংবদন্তি নৃত্যশিল্পী জানি মাস্টার
দক্ষিণ ভারতীয় নৃত্যশিল্পী জানি মাস্টার সম্প্রতি যৌন নিগ্রহের অভিযোগে আটক হওয়ার পর সংবাদ শিরোনামে পরিণত হয়েছেন। তিনি ৮ অক্টোবর দিল্লিতে অনুষ্ঠিত হতে চলা জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে দানুশের চলচ্চিত্র “থিরুচিত্রম্বলম” (২০২২) এর জন্য সেরা নৃত্যশিল্পীর পুরস্কার গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত ছিলেন। তবে, চলমান তদন্তের কারণে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের সেল পুরস্কার স্থগিত করেছে এবং অনুষ্ঠানে তার আমন্ত্রণও প্রত্যাহার করেছে।
অভিযোগের বিস্তারিত বিবরণ
এই স্থগিতকরণ ২১ বছর বয়সী এক নারীর দ্বারা উত্থাপিত গুরুতর অভিযোগের পর হয়েছে, যিনি জানি মাস্টারকে কয়েক বছর ধরে যৌন নিগ্রহের অভিযোগে অভিযুক্ত করেছেন। প্রতিবেদন অনুযায়ী, alleged offenses ঘটেছিল যখন ভুক্তভোগী একটি তিমি ছিল। নৃত্যশিল্পীকে ২০১২ সালের শিশুদের বিরুদ্ধে যৌন অপরাধ প্রতিরোধ আইন (পোকসো) এর সংশ্লিষ্ট ধারার আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে।
পুরস্কারের আমন্ত্রণ প্রত্যাহার
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার সেলের একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, “অভিযোগের গম্ভীরতা এবং বিষয়টি আদালতের বিবেচনায় থাকায়, সক্ষম কর্তৃপক্ষ ২০২২ সালের জন্য সেরা নৃত্যশিল্পীর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার স্থগিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।” জানি মাস্টারের ৭০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণও প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শিল্পীর প্রতিক্রিয়া এবং অতিরিক্ত ব্যবস্থা
এই গুরুতর অভিযোগের প্রেক্ষাপটে, তেলুগু ফিল্ম চেম্বার অফ কমার্স জানি মাস্টারের বিরুদ্ধে অভিযোগের তদন্ত করার জন্য একটি প্যানেল গঠন করেছে। তাছাড়া, তাকে জানসেনা পার্টির সাথে সংশ্লিষ্ট সকল ইভেন্টে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, যার জন্য তিনি हालের নির্বাচনে প্রচারণা চালিয়েছেন।
অনলাইন মিডিয়া এবং চলচ্চিত্রের ভবিষ্যৎ
এদিকে, এই ঘটনায় তেলেগু ও বলিউডের মিডিয়াতে ব্যাপক আলোচনা চলছে। অভিনেতাদের পারফর্ম্যান্স এবং চলচ্চিত্র সম্পর্কে সমাজের মনোভাব এই মুহূর্তে রূপান্তরিত হচ্ছে। চলচ্চিত্র শিল্পের মর্মান্তিক ঘটনা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, শিল্প ও মানবিক মূল্যবোধের মধ্যে এক সুস্পষ্ট পার্থক্য করতে হবে।
“ব্ল্যাক ফ্রাইডে: যখন চলচ্চিত্রের তির্যক বিশেষণ হয়ে ওঠে নিষিদ্ধ”
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানটি এবার প্রায় অন্য এক পরিস্থিতিতে চলছে, যেখানে শিল্পীর কৃতিত্ব ও সমাজের নৈতিকতা পাশাপাশি আসছে। কেবল একটি পুরস্কার নয়, বরং একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা হতে পারে চলচ্চিত্র শিল্পের জন্য।