দিলীপ জোশী, ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ এর জেঠালাল চরিত্রে পরিচিত, সম্প্রতি প্রযোজক আসিত মোদির সঙ্গে alleged ঝগড়ার জুড়ে ওঠা গুজবগুলি নাকচ করেছেন। তিনি জানান, এসব মিথ্যা খবর কেবল তার এবং দর্শকদের জন্য নয়, পুরো শোয়ের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। জোশী বলেন, show’s সফলতার প্রতি বিদ্বেষের কারণে এসব গুজব ছড়াচ্ছে। পুরো টিমের প্রতি তার প্রতিশ্রুতি অব্যাহত রয়েছে এবং তিনি শোটি নিয়ে যে আনন্দ ও পজিটিভিটি, সেটির উপরই গুরুত্ব আরোপ করতে বলেছেন, যা কোটি কোটি দর্শকের মুখে হাসি এনে দেয়।
বিশ্ব সিনেমার অন্তর্দ্বন্দ্ব: দিলীপ জোশী এবং ‘তারক মেহতা’র গল্প
দিলীপ জোশী, যিনি ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ সিরিয়ালে প্রখ্যাত জেঠালাল চরিত্রের জন্য পরিচিত, সাম্প্রতিক সময়ে প্রকাশিত গুজব নিয়ে মুখ খুলেছেন। শোনা যাচ্ছে, তিনি শো-এর প্রযোজক আসিত মোদি’র সাথে একটি তীব্র বিবাদে জড়িয়ে পড়েছেন। তবে, দিলীপ এইসব প্রতিবেদনকে ভিত্তিহীন ও ক্ষতিকর হিসেবে অভিহিত করেছেন।
মিডিয়ার মিথ্যে খবরের কষ্ট
আসিত মোদি’র সাথে তার দাবি করা তর্ক-বিতর্কের বিষয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে দিলীপ বলেছেন, “মিডিয়ায় আমাদের ব্যাপারে কিছু গল্প সম্পূর্ণ মিথ্যে, এবং এর ফলে আমি সত্যিই কষ্ট পাই। ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ একটি শো যা আমার এবং লক্ষ লক্ষ দর্শকের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, এবং যখন মানুষ ভিত্তিহীন গুজব ছড়ায়, তা শুধু আমাদেরই নয়, আমাদের বিশ্বস্ত দর্শকদেরও আঘাত করে।”
নেগেটিভিটির প্রভাব
এছাড়াও, তিনি উল্লেখ করেছেন যে, এ ধরনের গুজব তারকারা, কাজের দল এবং শো-এর অনুরাগীদের উপর কীভাবে নেতিবাচক প্রভাব ফেলে। তিনি বলছেন, “এতো বছর ধরে মানুষকে আনন্দ দেওয়া শো সম্পর্কে নেতিবাচক কিছু শোনা আসলে খুব হতাশাজনক। এইসব গুজব উঠলে, প্রতিবার আমাদের ব্যাখ্যা করতে হয় যে এগুলো সম্পূর্ণ অকারণ। এটা ক্লান্তিকর এবং বিরক্তিকর।”
শো থেকে বিদায় নেওয়ার পরিকল্পনা নেই
শো থেকে তার বিদায়ের গুজবও উড়িয়ে দিয়ে, দিলীপ জোশী তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। তিনি বলেন, “আগে শোনা গিয়েছিল যে আমি শো ছাড়তে চলেছি, যা সম্পূর্ণ মিথ্যা। আমরা সবাই একত্রে দাঁড়িয়ে আছি এই শোটিকে সর্বোত্তম করার জন্য। আসুন, আমরা সেই আনন্দ এবং ইতিবাচকতার প্রতি মনোনিবেশ করি যা এই শো আমাদের জন্য নিয়ে এসেছে।”
পূর্ববর্তী বিতর্কের আবহ
এটি প্রথমবার নয় যখন ‘তারক মেহতা কা উল্টা চশমা’ খবরের শিরোনামে এসেছে। বিভিন্ন প্রাক্তন সদস্যদের যেমন শৈলেশ লোধা, জেনিফার মিস্ট্রি, এবং পালক সিন্ধওয়ানি অভিযোগ করেছেন হয়রানি, অত্যাচার এবং বকেয়া বেতনের। জেনিফার মিস্ট্রি আসিত মোদি’র বিরুদ্ধে যৌন হয়রানির অভিযোগও তুলেছেন। কিন্তু দিলীপ, আসিত মোদি’র সাথে তার সম্পর্কের বর্তমান অভিযোগগুলোকে ভিত্তিহীন বলে মনে করছেন।
সমসাময়িক চলচ্চিত্র শিল্পের অবস্থা: ব্যঙ্গ ও বিবাহের কাহিনী
এই ঘটনার পটভূমিতে, চলচ্চিত্র শিল্পের বর্তমান বিশৃঙ্খলা এবং বিতর্কগুলিও মূর্ত হয়ে উঠছে। শিল্পের অন্দর মহলে ঘটে চলা এই কাহিনীসমূহ কি কেবলই গুজব, নাকি এর পিছনে গভীর সম্প্রতি রয়েছে? দিলীপ জোশী’র মতো শিল্পীরা কি সত্যিই ঘনিষ্ঠ এবং নিরাপদ? আমাদের উচিত এই সব বিষয়ে আরো গভীরভাবে চিন্তা করা। চলচ্চিত্রের সামাজিক প্রভাব, গুজবের ছায়ায় থাকা বাস্তবতা, এবং শিল্পীদের সামাজিক অবস্থান সম্পর্কে আমাদের আরও সজাগ হওয়া উচিত।