অকষ্য কুমার, স্ত্রী টুংক্ল খন্না ও শাশুড়ি ডিম্পল কাপাডিয়া ‘গো নোনি গো’ সিনেমার প্রিমিয়ারে হাজির হয়ে পারিবারিক বন্ধনের চিত্র দেখিয়েছেন। টুংক্লের লেখা এবং প্রযোজিত এই চলচ্চিত্রের কেন্দ্রবিন্দুতে প্রবীণ নায়িকার অভিনয়। সামাজিক পরিবর্তন এবং প্রজন্মের সম্পর্কের দৃষ্টান্ত হিসেবে এটি চলচ্চিত্রের নতুন কাহিনী বলার ধরণকে তুলে ধরছে, যেখানে কৃতিত্ব দেওয়া হচ্ছে নতুন প্রজন্মের চলচ্চিত্র নির্মাতাদের।
বঙ্গবন্ধুর চলচ্চিত্র: ‘গো নোনি গো’র প্যারেডে এক নতুন অধ্যায়
বলিউডের গোবর্ধন, অক্ষয় কুমার, স্ত্রী টুইঙ্কল খন্না এবং শাশুড়ি ডিম্পল কাপাডিয়ার হঠাৎ উপস্থিতি দেখা গেল ‘গো নোনি গো’র প্রিমিয়ারে, যা MAMI মুম্বই চলচ্চিত্র উৎসবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০২৪ সালে। এই চলচ্চিত্রটি টুইঙ্কল খন্নার লেখা ছোট গল্প ‘সলাম নোনি অ্যাপা’র উপর ভিত্তি করে নির্মিত। তিনি ছবির প্রযোজনাও করেছেন এবং ছবিতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন ডিম্পল কাপাডিয়া। অসাধারণ এই পারিবারিক সম্মেলনে অক্ষয় এসেছিলেন তার পরিবারের উদ্দেশ্যে উৎসাহ দিতে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্য অতিথিদের মধ্যে ছিলেন অভিনেতা মানব কৌল, রোহান মেহেরা, পরিচালক সোনাল দব্রাল এবং সিনিয়র প্রযোজক সমীর নায়ার, অতুল কাসবেকর এবং তানুজ গার্গ। ছবির পর এক সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর পর্বও অনুষ্ঠিত হয়।
সুত্রধার কফি ‘বাসন্তী’: এক অভিনব কল্পনার প্রকাশ
অবশ্যই মজাদার একটি তথ্য হল ‘গো নোনি গো’ চলচ্চিত্রের সুত্রধার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রযোজক-পরিচালক করণ জোহর, যিনি ছবির নায়ক নোনির গাড়ির কণ্ঠও দিয়েছেন। এই গাড়িটি একটি পুরনো লাল রঙের ফিয়াট, যার নাম রাখা হয়েছে ‘বাসন্তী’!
সমীর নায়ার যখন জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল, কিভাবে করণ জোহরকে গাড়ির কণ্ঠস্বর হিসেবে নেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল, তিনি উত্তর দেন, “এটা অবশ্যই তানুজের পরিকল্পনা ছিল।” তবে তানুজ এই বিষয়টি অস্বীকার করলে সমীর স্পষ্ট করেন, “কিন্তু তুমি তো আমার কাছে এই কথাটা বলেছিলে!”
ভালোবাসা ও হাস্যরসের মিশ্রণে ঢেকে যাওয়া একটি শিল্প
কি বিভ্রান্তি! শেষতক এটা জানা যায়নি যে এই উদ্ভাবনটি টুইঙ্কল খন্নার চিন্তা না তানুজ গার্গের? এই নিয়ে টুইঙ্কল মন্তব্য করেন, “আমরা শুধু অভিনয় করি যে আমরা মনে করতে পারি না যে সিদ্ধান্তটি কাদের ছিল!”
অতুল কাসবেকরের সাথে কথা হলে, তিনি জানালেন ‘গো নোনি গো’ মুক্তির পরিকল্পনা নিয়ে, “এটি একটি OTT প্ল্যাটফর্মে প্রিমিয়ার হবে। এর ঘোষণা শীঘ্রই করা হবে।”
প্রথমবারের মতো মহাত্মাদের সঙ্গে নিজেদের দক্ষতা প্রদর্শন
অভিনেতা রোহান মেহেরার গম্ভীর কণ্ঠে চলচ্চিত্রটিতে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করতে গিয়ে বলেন, “এই প্রবাদপ্রতিম মানুষের সাথে স্ক্রীন স্পেস শেয়ার করা সত্যিই একটি অভিজ্ঞতা। আমি জানতাম যে আমার চরিত্রের মাত্র দুটি দৃশ্য রয়েছে কিন্তু কেনাকাটা করতে হলো সেটি সত্যিই উত্তেজনাপূর্ণ অনুভূতি ছিল।”
এছাড়া, মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে ‘গো নোনি গো’র প্রিমিয়ার চলাকালে টুইঙ্কল খন্না বৃদ্ধ বয়সে পৌঁছানোর প্রসঙ্গে বলেন, “বয়স বাড়ার সাথে সাথে অনেক কিছু বদলে যায়; মনে হয় যেন আপনার স্তনের সঙ্গে হাঁটুর বন্ধুত্ব গড়ে উঠে…”
সমাজের বিবর্তন ও বিনোদনের আধুনিকতা
এই ছবির মাধ্যমে আমাদের সমাজের বিবর্তন, চলচ্চিত্র শিল্পের অন্তর্নিহিত সমস্যাগুলি এবং দর্শকদের আগ্রহের পরিবর্তন সম্পর্কে আলোচনা হচ্ছে। বর্তমানে পরিবারের সংযোগ শক্তিশালী করে তুলতে এবং নারীদের ভূমিকা পুনর্নির্মাণে এই ছবি এক অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ দ্যোতক।
বরাবরের মতো, বলিউড এখন নতুন উচ্চতায়! আসে আসুক নতুন ইতিহাস, পরিবর্তিত হোক আরও চলচ্চিত্রের কাহিনি। তাই, ‘গো নোনি গো’ কে শুধু একটি চলচ্চিত্র হিসেবে নয়, বরং সমাজের প্রেক্ষাপটের এক মাইলফলক হিসেবে দেখা উচিত।