বলিউডের হাস্যকর ধারাবাহিকতা ‘হাউজফুল ৫’ এখন মুম্বইতে শেষ শুটিংয়ের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। মহৎ ক্রুজের সেটে নির্মিত এই ছবির ক্লাইম্যাক্সে অক্ষয় কুমার, রিতেশ দেশমুখ ও অভিষেক বচ্চনের মতো তারকারা অংশগ্রহণ করবেন। তবে, ভিসা সমস্যার কারণে চরিত্রে যোগ দিতে পারা সঞ্জয় দত্ত এখন সঙ্গী হয়েছেন। প্রযোজনা সংস্থা ক্রিসমাসের আগেই সবকিছু শেষ করার পরিকল্পনা করছে। ছবির উপস্থাপন এবং সামাজিক প্রভাবের দিকে নজর রাখলে বোঝা যায়, দর্শকের পছন্দ ও গল্প বলার ধারা বদলাচ্ছে—এতে কি নৈতিক মানচিত্র তৈরি করা যাবে?
বলিউডের নতুন কাহিনীর মঞ্চস্থ, হারানো সে দিনগুলোর ব্যঙ্গ!
অতিবৃষ্টি আকাশের তলে, জনপ্রিয় কমেডি ছবি ‘হাউসফুল ৫’ এবার শেষ শুটিং শিডিউলে কলকাতা থেকে মুম্বাইয়ের চিত্রকূট মাঠে। আগামী মাসের প্রথম দিকে শুরু হতে যাওয়া এই শুটিংয়ের পূর্বে, ছবির ট্রেলার উপভোগ করতে প্রস্তুত দর্শকরা অতি আগ্রহের সাথে অপেক্ষারত। ইউরোপের এক বিলাসবহুল ক্রুজে ৪০ দিনের শুটিং শেষ হওয়ার পর, এই অংশে থাকবে ছবির ক্লাইম্যাক্স এবং একটি জাঁকজমকপূর্ণ গান, যা টারুণ মানসুখানির পরিচালনার নতুন অধ্যায়ের হাইলাইট হিসেবে ধরা হচ্ছে।
হাউসফুল ৫-এর ক্লাইম্যাক্সের জন্য বিলাসবহুল সেট
মাঝে মাঝে লেখালেখির হাতের অন্যদিকে ফিরিয়ে নেওয়া যায় জনগণের চোখের সামনে, কিন্তু ‘হাউসফুল ৫’ যেন থেমে যেতে রাজি নয়। মিড-ডে-এর একটি রিপোর্টে উদ্ধৃত একটি সূত্র জানাচ্ছে, “সেটটি বিলাসবহুল ক্রুজের কিছু অংশের উপসামগ্রী হিসাবে নির্মাণ করা হচ্ছে, যা ছবির বিষয়বস্তু মেনে হবে। আধুনিক জায়গার ভিতরে একটি grand bungalow তৈরি করা হচ্ছে, যাতে ঐসব সমস্ত প্রধান শিল্পীর সমন্বয়ে এক চমৎকার দৃশ্য নিয়ে আসা যায়।” ক্রিসমাসের আগে চূড়ান্ত শুটিং শেষ করার লক্ষ্যেই তারা প্রস্তুত।
জ্যাকিকে যুক্ত করেছেন হাউসফুল ৫-এর শেষ শুটিংয়ে
স্টার-কাস্ট আবারও একসাথে, যেখানে যোগ দিচ্ছেন সঞ্জয় দত্ত এবং জ্যাকী শ্রফ। বৃটেনের ভিসা সমস্যা, তাদের গত শুটিংয়ে অংশগ্রহণ করতে ব্যর্থ থাকার কারণে, এবার শেষ শুটিংয়ের জন্য দত্তকে নিয়ে আসা হচ্ছে। ডিসেম্বরে যখন সেট প্রস্তুত হবে, তখন হবে একটি বর্ণাঢ্য গানও। ছবির ভিজ্যুয়াল সচেতনতা এবং বিপণন কৌশলগুলো হয়তো দর্শকদের মধ্যে এক অদ্ভুত দুষ্টু হাসির সূচনা করবে।
এবার নতুন দিনের প্রত্যাশা
হাউসফুল ৫-এর চূড়ান্ত শুটিং ডিসেম্বরের শেষের দিকে শেষ হওয়ার আশা করা হচ্ছে। বলিউডের এধরণের কমেডি ফ্র্যাঞ্চাইজিতে এটি পঞ্চম কিস্তি, যা দর্শকদের মধ্যে উদ্দীপনা তৈরি করছে। কিন্তু বাস্তবতা হলো, যে হাসির জন্য তারা এতটা আগ্রহী, সেটিও হয়তো আর অতীতের মতো সত্যিকারের উচ্চশিখরে নেই। ছবির গল্পগুলো এখন কিভাবে প্রকাশ পাচ্ছে, এবং এই ধরণের সিনেমার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে ভেবেচিন্তে বলার সুযোগ বাড়ছে।
সমাপ্তি টানার আগে প্রশ্ন থাকে—প্রবাহিত স্মৃতি কী তবে হারিয়ে গেছে?
যদিও বলিউডের এই কমেডি ধারাটি দর্শকদের মধ্যে জনপ্রিয়তা ধরে রেখেছে, স্থানীয় অঙ্গীকারেরও একটি সতর্ক দৃষ্টি রাখতে হবে। যেন গল্প বলার কৌশল এবং মিডিয়া উপস্থাপনার মধ্যে বর্তমান প্রজন্মের সমান্তরাল তিন ভূমিকা গঠন করতে পারে। তাহলে কি আমরা একটি নতুন বলিউড দেখার প্রহর গুনছি, যেখানে গল্প এবং চরিত্রেরা যুক্ত হবে পরিবর্তিত দর্শকের প্রত্যাশার সাথে? মানবিক অনুভূতিকে ভুলে যাওয়ার আগেই আমাদেরকে বাধাবিপত্তির সংগ্রামের মাধ্যমে এগিয়ে যেতে হবে।