বলিউডের দুনিয়ায় এক হৃদয়বিদারক সংবাদ এসেছে; দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার প্রখ্যাত সম্পাদকের মৃত্যু হয়েছে। ৪২ বছরের নিশাদ ইয়ূসুফ, যার নামটাই স্বর্ণাক্ষরে লেখা ছিল থালুমালার সম্পাদনার জন্য, কুলকাতা অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া গিয়েছে। তাঁর অকাল মৃত্যুর ফলে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে একটি শূন্যতা সৃষ্টি হয়েছে। আসন্ন সিনেমা ‘কাংগুভা’-তে তাঁর কাজ এখন সমালোচকদের কপালে চিন্তার রেখা ফেলবে, যেহেতু এটি তাঁর প্রথম পোস্টহিউমাস রিলিজ হবে। চলচ্চিত্রের শক্তি, শিল্পীর দক্ষতা ও সমাজের প্রতিফলন — এসবই যেন এই ঘটনায় নতুনভাবে প্রশ্ন তুলছে।
নবীন মেধার প্রস্থান: বলিউডের বর্তমান চিত্রে নৈমিত্তিকতা এবং উৎসব উদযাপন
মালয়ালাম চলচ্চিত্র সম্পাদক নিশাদ ইউসুফ, যিনি দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে তার সুপ্রসিদ্ধ কাজের জন্য পরিচিত, বুধবার সকালে কেরালার কোচিতে তার অ্যাপার্টমেন্টে মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছেন। রিপোর্টটি নিশ্চিত করেছে মালয়ালাম মিডিয়া প্রতিষ্ঠান ম্যাধ্রুভূমি। ৪২ বছর বয়সে, ইউসুফ ইতিমধ্যেই শিল্পে একটি উল্লেখযোগ্য চিহ্ন রেখে গেছেন, তার কাজগুলো যেমন ‘থল্লুমালা’, ‘উন্ডা’, এবং ‘সৌদী ভেল্লাকা’। তাঁর সম্পাদনার কাজ ‘থল্লুমালা’ তাকে কেরালা রাজ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার এনে দিয়েছে।
সাফল্যের কাহিনি, দুঃখের গাথা
নিশাদ ইউসুফকে দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্রের একটি নৈপুণ্যশীল মেধা হিসেবে বিবেচনা করা হতো এবং ‘কান্গুভা’-তে তার কাজের জন্য আগ্রহ ছিল। তার মৃত্যু থেকে কয়েকদিন আগে, তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় ‘কান্গুভা’-র একটি প্রচারমূলক অনুষ্ঠানে তার ছবি साझा করেছিলেন। “এক্সাইটিং 3D কাজ হচ্ছে #Kanguva, দারুণ এবং চিত্তাকর্ষক অভিজ্ঞতার জন্য উল্লাসিত,” ইন্সটাগ্রামে তিনি একটি ছবির ক্যাপশনে লিখেছিলেন।
একটি বেদনাদায়ক অতৃপ্তির সূচনা
‘কান্গুভা’ এখন ইউসুফের প্রথম পার্ষবর্তী মুক্তি হবে, যা তার কর্মজীবনের একটি স্মৃতিকাতর মাইলফলক হয়ে দাঁড়াবে। এর মধ্য দিয়ে পাঠকরা বুঝতে পারেন চলচ্চিত্রের শক্তি, যা শিল্পীকে জীবনের শেষেও চিরকাল বাঁচিয়ে রাখবে এবং তার কর্মের মূল্যকে আরো বাড়িয়ে দেবে। শিল্পে তাঁর অবদান শুধু টেকনিক্যাল নয়, সামাজিক প্রভাব সৃষ্টি করতে সক্ষম।
জানা গেছে, ইউসুফ ‘বাজুকা’ নামে একটি মালয়ালাম অ্যাকশন-থ্রিলারেও কাজ করছিলেন, যেখানে অভিনয় করছেন প্রখ্যাত অভিনেতা Mammootty। এই সিনেমা ডিসেম্বর মাসে মুক্তি পাওয়ার কথা, যা ইউসুফের শেষ কাজের একটি উদাহরণ।
চলচ্চিত্রের প্রচারে বাংলাদেশি অভিনেত্রীদের ভূমিকা
এছাড়া দিেশা পাটানির মতো অভিনেত্রীরা ‘কান্গুভা’র পরিচালক শিবা প্রিয়াংকিকে সমর্থন জানিয়েছেন এবং সামাজিক মিডিয়াতে আলোচনা হয়েছে চলচ্চিত্রের সম্পর্কিত নানা দিক নিয়ে। এর ফলে দর্শকদের মধ্যে চলচ্চিত্র সম্পর্কে নতুন ধারণা তৈরি হয়েছে।
শেষপর্যন্ত বলিউড ও দক্ষিণ ভারতীয় চলচ্চিত্র শিল্পে ইউসুফের মৃত্যুতে একটি শূন্যতা তৈরি হয়েছে যা সহজে পূরণ হবে না। তার কাজ এবং অবদান না শুধুমাত্র শিল্পকে প্রভাবিত করেছে, বরং এটি নতুন প্রতিভাদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করবে।