সোনম কাপূর আবারও এমএমআই মুম্বাই ফিল্ম ফেস্টিভ্যালের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন, “ওয়ার্ড টু স্ক্রীন” প্রকল্পের মাধ্যমে। বই ও সিনেমার সংযোগ প্রতিষ্ঠায় এই উদ্যোগ লেখক ও নির্মাতাদের একটি নতুন প্ল্যাটফর্ম দেয়। সোনম বলছেন, ভাল সিনেমার পেছনে চমৎকার স্ক্রিপ্টের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকে। এর মাধ্যমে সমাজের নানা রূপ ও গল্পের গভীরতা উন্মোচিত হচ্ছে, যা দর্শকদের পরিবর্তিত মানসিকতার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে।
ছবির পাতায় বইয়ের কথোপকথন: বলিউডে নতুন দিগন্তের সন্ধানে সোনম কাপূরের আর্তি
নতুন বছরের শুরুতেই বলিউডে চলছে একের পর এক নতুন উদ্যোগ। এ বছরের MAMI মুম্বাই চলচ্চিত্র উৎসবে সোনম কাপূরের সহযোগিতা, “ওয়ার্ড টু স্ক্রীন” এর মাধ্যমে সিনেমা ও সাহিত্য জগতের মানসিকতার একটি নতুন সংযোগ সৃষ্টি করছে। এই প্ল্যাটফর্মে প্রকাশকেরা সিনেমা নির্মাতাদের সঙ্গে সরাসরি ঝগড়া করতে পারবেন, যা চলচ্চিত্র, টিভি এবং ডিজিটাল মাধ্যমের জন্য গল্প আদানপ্রদানের সুযোগ দেয়।
সোনম কাপূরের সাহিত্যপ্রেম ও সঠিক গল্পের জন্য তাঁর প্রায় তৃষ্ণা, যা তাঁর চলচ্চিত্রের নির্বাচনে প্রতিফলিত হয়, তাকে ওয়ার্ড টু স্ক্রীন এর জন্য একটি আদর্শ মুখ। উনি বলেন, “একজন অভিনেত্রী হিসেবে, আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে একটি চলচ্চিত্র তার স্ক্রিপ্টের মতোই ভাল। লেখকদের এবং প্রকাশকদের উৎসাহিত করা অত্যন্ত জরুরি।”
লেখকদের সমর্থনে: সোনম কাপূরের অভিব্যক্তি
সোনম আরও জানান, “ওয়ার্ড টু স্ক্রীন আমার প্রিয় শিল্পে ফিরে দেওয়ার চেষ্টা। আমি আনন্দিত মুম্বাইয়ের এই আয়োজনটির সঙ্গে যুক্ত হয়ে কলম এবং স্ক্রিপ্টের কথা তুলে ধরতে।” তিনি শিশুদের চরিত্রগুলোর গভীরতার কথাও উল্লেখ করেন, যা কাহিনীর বিবর্তনে প্রয়োজনীয়।
আমাদের দর্শকদের রুচির পরিবর্তন
বর্তমান সময়ে গল্প বলার ধরণে পরিবর্তন আসছে। দর্শকরা এখন শুধু বিনোদনই নয়, বরং মানসম্পন্ন গল্পও চায়। সোনমের উক্তির মাধ্যমে স্পষ্ট, ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিতে সাহিত্য ন্যারেটিভের গুরুত্ব বাড়ছে। উনার জনপ্রিয়তা এবং গল্পের মধ্যে সংযোগ স্থাপন দর্শকদের জন্য নতুন চ্যালেঞ্জ তৈরি করেছে।
কৌতূহল সৃষ্টি করে: বলিউডের বর্তমান অবস্থা
অন্যদিকে, সোনমের সহযোগিতার পাশাপাশি বলিউডে কিছু পরিবর্তন লক্ষণীয়। ঔপন্যাসিকাদের কাজকর্মে বৈচিত্র্য আসছে, এবং সেখান থেকেই সম্ভাব্য নতুন সিনেমার গল্পের উৎপত্তি হতে চলেছে। এটি আমাদের মানসিকতা, সমাজের বিকাশ এবং সিনেমার বিষয়বস্তুতে গভীরতা আনতে সহায়ক হতে পারে।
অবশেষে, সোনম কাপূরের কথায়, আমাদের সমাজের নিপীড়ন এবং রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রভাব চলচ্চিত্রের মাধ্যমে সমাজের সাধারণ মানবিক বিষয়গুলোতে গুরুত্বপূর্ণ জায়গা রাখছে। “ওয়ার্ড টু স্ক্রীন” এর এই উদ্যোগের ফলশ্রুতিতে আমরা নতুন সম্ভাবনা এবং নতুন গল্পের মুখোমুখি হবো।