বলিউডে সাম্প্রতিক সময়ে উঠেছে নতুন জোয়ার—লাইক প্রোডাকশনস ‘বিনির এবং পরিবারের’ তেলুগু ও তামিল রিমেক অধিকার অর্জন করেছে। ছোট বাজেটের হলেও এই ছবিটি দর্শক ও সমালোকদের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছে। বিশেষভাবে বৈচিত্র্যপূর্ণ ঘরানার গল্প এবং অনবদ্য অভিনয়ের মাধ্যমে পরিবারগুলোর কাছে গ্রহণযোগ্যতা অর্জন করেছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরণের কাহিনী বিশ্বজুড়ে পরিবার দর্শকদের মনে গভীর প্রভাব ফেলবে।
বিনীর পরিবার: কি আমাদের বলছে বলিউডের নতুন সিনেমা?
লাইক প্রোডাকশনস, একটি শীর্ষস্থানীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ সংস্থা, সম্প্রতি তাদের উদ্যোগে একটি ছোট বাজেটের পরিবার-ভিত্তিক চলচ্চিত্র “বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি”র তেলেগু এবং তামিল রিমেক অধিকার কিনেছে। বিশাল বাজেটের ব্লকবাস্টার নির্মাণের জন্য পরিচিত এই কোম্পানির বিখ্যাত চলচ্চিত্রগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজিনীকান্ত এবং অক্ষয় কুমারের “২.০” (২০১৮), মনী রত্নামের “পন্নিয়িন ছেলভান – পার্ট ১” (২০২২) এবং “পন্নিয়িন ছেলভান – পার্ট ২” (২০২৩)। যদিও “বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি”টি একটি সীমিত প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে, এতে দর্শক এবং সমালোচকদের কাছ থেকে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে।
লাইক প্রোডাকশনস ইন্ডিয়ার প্রধান তামিল কুমারান জানিয়েছেন, “আমাদের গ্রুপ চেয়ারম্যান ছবির বিষয় এবং অনুভূতিগুলিকে খুব পছন্দ করেছেন। আমরা মনে করি এটি এমন এক ধরনের বিষয়বস্তু যা বিশ্বের পারিবারিক দর্শকদের মনে ছোঁয়া দিতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “ছবিটির সার্বজনীন আবেদন এবং দর্শকদের সমর্থন আমাদের জন্য একটি আদর্শ সংযোজন।”
বিনী অ্যান্ড ফ্যামিলির গল্প: পারিবারিক সম্পর্কের নতুন জোর
ছবিটি ২৭ সেপ্টেম্বর সিনেমা হলে মুক্তি পেয়েছে এবং এটি শ্রাবণী ধাওয়ানের প্রথম অভিনয়। এতে আরও অভিনয় করেছেন পঙ্কজ কাপূর, হিমানি শিবপুরি, রাজেশ কুমার, নামান ত্রিপাঠি এবং চারু শঙ্কর। সঞ্জয় ত্রিপাঠীর লেখা ও পরিচালনায় এই চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন মাহাবীর জৈন ফিল্মস ও ওয়েভব্র্যান্ড প্রোডাকশনস। চলচ্চিত্রটি পিভিআরের মাধ্যমে মুক্তি পেয়েছে।
কাহিনী অনুযায়ী, একজন কিশোরী মেয়ে যিনি যুক্তরাজ্যে তার পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন, তার জীবন তখন পাল্টে যায় যখন তার বিহারভিত্তিক দাদু-দাদী তাদের কাছে এসে তার ঘর দখল করে নেন। এই পরিবর্তনটি নতুন প্রশ্ন তুলে ধরে, আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সামাজিক সম্পর্কের মূল ভিত্তি কিরূপে পরিবর্তিত হচ্ছে।
বলিউড এবং সমাজ: চলচ্চিত্র পরিবেশনায় পরিবর্তন
এখনকার দিনে আমরা এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যেখানে বলিউডের চলচ্চিত্র একটি মুডের অবদান রাখে। “বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি”-এর মতো সিনেমা প্রমাণ করে, কন্টেন্টের শক্তি কিভাবে দর্শকদের মনে গভীরভাবে প্রভাব ফেলতে পারে। এটি পরিবার, সম্পর্ক এবং বিশ্বাসের উপর নতুন আলো ফেলে।
এর পাশাপাশি এই চলচ্চিত্রে আমির খান, অক্ষয় কুমার, এবং সঞ্জয় লীলা বানসালির মতো অনেক খ্যাতিমান ব্যক্তিত্বের নাম “বিশেষ ধন্যবাদ” হিসেবে উল্লিখিত হয়েছে, যা প্রমাণ করে যে, চলচ্চিত্রের সফলতার পেছনে কতটা সহযোগিতার হাত রয়েছে।
ভবিষ্যৎ কিভাবে দেখছেন লাইক প্রোডাকশনস
লাইক প্রোডাকশনস এমন একটি সিনেমা নিয়ে আসতে চলেছে যা বিনী এবং তার পরিবারের গল্পকে বৃহত্তর দর্শকের কাছে তুলে ধরবে। এটি নিশ্চিত করবে যে, চলচ্চিত্রটি শুধুমাত্র বিনোদন হিসাবে নয়, বরং সমাজের প্রতিফলন হিসেবেও কাজ করে। অন্যদিকে, আমাদের জানা দরকার, এই ধর্মীয় সংস্থানগুলোর জন্য আসলেই কিভাবে সমাজের মূল্যবোধ নির্ধারণ হয়।
এখন প্রশ্ন হলো, কি লেক বাজারের জন্য এই সিনেমার বিশেষ তাৎপর্য? বর্তমান বলিউডের গল্প বলার ধরন পরিবর্তন হচ্ছে, যেখানে সাজানো গল্পের চেয়ে বাস্তব সম্মোহনী গল্পকে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। “বিনি অ্যান্ড ফ্যামিলি” হল সেই সংক্ষিপ্ত পয়েন্টটি যা দর্শকের মধ্যে চিন্তা ও আলোচনার সূচনা করবে।