Shoojit Sircar, বিশিষ্ট জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত নির্মাতা, সৎযজিত রায়ের প্রভাবের কথা উল্লেখ করে বলেন, তার চলচ্চিত্রগুলি জীবনকে নতুন আঙ্গিকে উপস্থাপন করে। বর্তমানে তিনি অভিষেক বচ্চনের সঙ্গে একটি জীবনধারার নাটক নির্মাণের প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যা দর্শকদের সমসাময়িক চলচ্চিত্রের নতুন দিক তুলে ধরবে।
বাণিজ্যিক সিনেমার চামচামি: সুচিত সরকারের প্রতিচ্ছবি
জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত পরিচালক সুচিত সরকার, যিনি বার বার অসাধারণ সিনেমা উপহার দিয়েছেন, সম্প্রতি বলিউডের একটি প্যানেল আলোচনা সভায় স্যাট্যাজিত রায়কে তাঁর চলচিত্র জীবনের গুরু হিসেবে উল্লেখ করেছেন। তিনি বলছেন, “স্যাট্যাজিত রায় আমার গুরু এবং এখনও আমি মনে করি তাঁর সিনেমাগুলি আমার জীবনে এবং আমার সিনেমাগুলিতে বড় প্রভাব ফেলেছে।” এই বক্তব্যে তাঁর কাজের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা প্রদর্শন করেছে।
বিভিন্নি দিকনির্দেশনা: সিনেমার প্রভাব
সুচিত বলেন, “আমি ওলিভার স্টোন, ফেলিনি, বুনুয়েল, মৃণাল সেন, ritwik ঘটকসহ আরো অনেক জন বেক্তির সিনেমা দেখেছি। সেসময় সিনেমায় প্রদর্শনের অভাব ছিল। মুম্বাইতে যদি এটি রায়-এর সিনেমা হত, তবে একে প্রান্তের এক বা দুইটি সিনেমা হলে দেখানো হত।” সরকারের এই মন্তব্যগুলি আমাদের চলচ্চিত্রের প্রদর্শনের সঠিক স্থিতিশীলতা এবং মার্কেটের পরিবর্তনগুলি প্রতিফলিত করে।
নতুন প্রকল্প: পরবর্তী স্তর
বর্তমানে সুচিত সরকার তার পরবর্তী অজ্ঞাত ছবির কাজ করছেন, যা এই বছর থিয়েট্রে মুক্তি পাবে। এই সিনেমা হচ্ছে একটি Slice-of-life ড্রামা starring অভিষেক বচ্চন, যা নভেম্বরের শেষের দিকে মুক্তি পাবে।
সিনেমার সোশ্যাল ইমপ্যাক্ট: পরিবর্তিত দর্শন
সুচিত সরকারের অভিযোগ যে পূর্বে সিনেমাসমূহ সঠিকভাবে প্রদর্শনের সুযোগ পেত না, বর্তমানের দর্শক পরিবর্তন সম্পর্কে চিন্তা করা প্রয়োজন। আজকাল ডিজিটাল মাধ্যমের মাধ্যমে বিপুল পরিমাণে সিনেমা উপস্থাপন হচ্ছে, কিন্তু কি মাত্রায় আমরা সিনেমার অভিব্যক্তি এবং সামাজিক প্রভাবকে তাৎক্ষণিক ভাবে গ্রহণ করছি? নাগরিক সমাজের উত্তরাধিকারসূত্রে চলচ্চিত্রের আলাপ খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
উপসংহার: নতুন পথের সন্ধানে
এবং তাই বর্তমানে সুচিত সরকারের কাজ এবং তাঁর শিল্পীসত্তা আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, চলচ্চিত্রের ভিত্তি হলো সেই সব গল্প, যেগুলি সত্যি কথা বলে এবং সমাজের প্রতিফলন ঘটায়। প্রধানমন্ত্রী স্যাট্যাজিত রায়ের কাজের প্রতিফলনটি সত্যিই অনুপ্রেরণাদায়ক; তবে আরও ভালো গল্পের সন্ধানে থাকবো আমরা।
