ভিএইচটির বন্দী: ‘সেক্টর ৩৬’ যদি অতীতের গোপনীয়তা খুলে দেয়
সম্প্রতি ‘সেক্টর ৩৬’ ছবিটি নেটফ্লিক্সের বিশ্বব্যাপী র্যাঙ্কিংয়ে তৃতীয় স্থানে স্থান করে নিয়ে ক্রাইম থ্রিলার ঘরানায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে। Vikrant Massey ও Deepak Dobriyal এর অসাধারণ অভিনয় এবং বাস্তব ঘটনার ওপর ভিত্তি করে নির্মিত এ ছবি, কট্টর মানসিকতা এবং সমাজের অন্ধকার দিকগুলিকে সামনে এনে দর্শকদের আবেগকে স্পর্শ করছে। দর্শক মহল ছবিটির প্রশংসায় ভরপুর, যা শুধু বিনোদন নয়, বরং এক সামাজিক বার্তাও বহন করছে।
কিন্তু, সিনেমার জগতে নতুন দিগন্তের সন্ধানে: “সেক্টর ৩৬”
ভিক্রান্ত Massey এবং দীপক ডব্রিয়ালের অভিনীত সিনেমা “সেক্টর ৩৬”, ম্যাডক ফিল্মস এবং জিও স্টুডিওসের উৎপাদিত, স্ট্রিমিং জগতে একটি ঝড় তুলেছে। এটি নেটফ্লিক্সের গ্লোবাল টপ টেন ফিল্মস তালিকার নন-ইংলিশ বিভাগে ৩ নম্বরে এসেছে ১২টি দেশের মধ্যে, যার মধ্যে ভারত, মরিশিয়াস, কুয়েত, সিঙ্গাপুর, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং কাতার অন্তর্ভুক্ত। এই সিনেমাটি সত্য ঘটনার উপর ভিত্তি করে তৈরি হয়েছে এবং এটি সমালোচক ও শিল্পের অভিজ্ঞদের প্রশংসা অর্জন করেছে তাদের দারুন অভিনয় এবং শক্তিশালী গল্প বলার জন্য।
দর্শকরা “সেক্টর ৩৬” সম্পর্কে তাদের প্রশংসা জানানোর জন্য এই সিনেমাটিকে নেটফ্লিক্স প্ল্যাটফর্মে ট্রেন্ডিং অবস্থানে তুলে ধরেছে। অনেকেই এই সিরিয়াল কিলিং থ্রিলারকে ‘মৃগতৃষ্ণারূপী’ বলে বর্ণনা করেছেন, যার তীব্র বর্ণনা এবং আদিত্য নিম্বালকারের পরিচালনা দক্ষতার প্রশংসা করেছেন। দর্শকদের জন্য জানা দরকার, এই সিনেমায় ভিক্রান্ত ম্যাসি এক ভয়ঙ্কর সাইকোপ্যাথের রোলে দেখা দিয়েছেন, যেখানে দীপক ডব্রিয়াল এক শক্তিশালী ও দৃঢ় পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে অভিনয় করেছেন।
ভিক্রান্ত ম্যাসির সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া
সিনেমাটির সাফল্যের ওপর প্রতিফলন জানিয়ে ভিক্রান্ত ম্যাসি বলেন, “আমরা খুব খুশি যে সিনেমাটি বিশ্বজুড়ে দর্শকদের সঙ্গে প্রতিধ্বনিত হয়েছে। আমাদের লক্ষ্য ছিল ঐ একটি গল্প বলা, যা বলা দরকার ছিল এবং আমরা নেটফ্লিক্স, ম্যাডক ফিল্মস এবং জিও স্টুডিওসের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এটি করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া এবং অসাধারণ ভক্তদের ভালোবাসা আমাদের সকলের কঠোর পরিশ্রমের জন্য মহৎ স্বীকৃতি।”
দীপক ডব্রিয়ালের মন্তব্য
এদিকে, দীপক ডব্রিয়ালও যোগ করেছেন, “সেক্টর ৩৬ এই মাইলফলক অর্জন করায় অসাধারণ তৃপ্তি হচ্ছে – এটি আমাদের সবার জন্য অনেক কিছু মানে। আমি একটি প্রকল্পে অংশগ্রহণ করতে পেরে গর্বিত, যা এই পরিমাণ আলোচনা তৈরি করেছে, এবং নেটফ্লিক্স এবং দলের প্রতি কৃতজ্ঞ যে তারা আমাদের এই প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে। সিনেমাটি এত বৈচিত্র্যময় দর্শকদের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করছে সেটি একটি অর্জন, যা আমরা দীর্ঘ সময় ধরে স্মরণ করব।”
সিনেমার হৃদয়ে: সত্যিকারের ঘটনাগুলির প্রভাব
২০০৬ সালের নোয়িডা সিরিয়াল হত্যার সত্য ঘটনাগুলির দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে তৈরি করা “সেক্টর ৩৬” এক relentless পুলিশ কর্মকর্তার কাহিনি তুলে ধরেছে, যে এক পৈশাচিক সিরিয়াল কিলারের অনুসন্ধানে রয়েছে। সিনেমাটি শুধু বিনোদনের জন্য নয়, বরং সমাজে একটি গম্ভীর আলোচনার সূচনা করতে পারে, যেখানে হত্যাকাণ্ড এবং নিরাপত্তার বিষয়ে আলোচনা জরুরি হয়ে পড়ে।
ভবিষ্যতের জন্য নেটফ্লিক্স এবং সিনেমার অন্যান্য মাধ্যমে উপস্থাপিত এমন সিনেমাগুলোতে সামাজিক ও রাজনৈতিক দিক থেকে প্রশ্ন তোলা চলমান থাকবে। “সেক্টর ৩৬” প্রমাণ করে দেয় যে কিভাবে সত্য ঘটনার ওপর ভিত্তি করে তৈরি চলচ্চিত্রগুলো আমাদের চিন্তাভাবনাকে প্রভাবিত করতে পারে এবং সমাজের ভেতরের আঁধারগুলোর দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে কাজ করতে পারে।