সলমন খানের নতুন সিনেমা “সিকান্দার” এর শুটিংয়ের সময় ফালাকনুমা প্যালেসে যে রোলস রয়েস ফ্যান্টমের কাস্টম লাইন প্লেটটি সবার নজর কেড়েছে, সেটি গুজরাটের রাজকোট শহরের প্রতিনিধিত্ব করছে। পরিচালক এ.আর. মুরগাদোসের হাত ধরে এই সিনেমা গুরুতর অ্যাকশন দৃশ্যে ব্যাপক আকর্ষণ সৃষ্টি করবে, যেখানে সলমন আবারো দর্শকদের সামনে আসছেন। ছবির শুটিংয়ে পুলিশ গাড়িতেও সেই একই প্লেট ব্যবহার করা হয়েছে, যা স্থানীয় সংস্কৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছে। সাম্প্রতিক এই সিনেমা, যেখানে ভয়ঙ্কর এবং প্রতিশোধমূলক অ্যাকশন দৃশ্য অন্তর্ভুক্ত রয়েছে, এটি বোঝাচ্ছে যে দর্শকরা এখন আরও বেশি প্রত্যাশা করছেন, তবে কি সত্যিই বলিউড সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারবে?
সলমন খানের ‘সিকান্দার’: একটি রাজকীয় অঙ্গভঙ্গির গল্প
বলিউডের জনপ্রিয় নায়ক সলমন খানের আসন্ন সিনেমা ‘সিকান্দার’ নিয়ে উত্তেজনা বৃদ্ধি পাচ্ছে। হায়দ্রাবাদের ফলকুণ্ডমা প্রাসাদে ছবির শুটিং এর সময়ে কিছু আকর্ষণীয় পেছনের দিকের তথ্য সামনে এসেছে। শুটিংয়ের সেটে একটি রোলস রয়েস ফ্যান্টম আনা হয়েছিল, কিন্তু গাড়িটির কাস্টম নম্বর প্লেটই সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। প্লেটে রাজকীয় লোগো এবং “GJ-03” নম্বর উল্লেখিত, যা গুজরাটের রাজকোট শহরের সঙ্গে সম্পর্কিত, এটি রাজকোটের ঐতিহ্যকে সূক্ষ্মভাবে তুলে ধরে।
অ্যাকশনের অপেক্ষায় দর্শক
এই অদ্ভুত বিবরণটি শুধু একটি দিক, যা ভক্তদের উত্তেজিত রেখেছে, সলমন খানের থিয়েটারে ফেরার অপেক্ষা আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। ‘সিকান্দার’ সিনেমাটি, A.R. মুরুগাদোস পরিচালনায়, বিখ্যাত অভিনেতার অ্যাকশন-প্যাকড দিক প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছে। পরিচালক reportedly ভক্তদের জন্য একটি থ্রিলিং অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন, যেখানে ব্যাপক অ্যাকশন সিকোয়েন্সের উপর বিশেষ মনোযোগ দেওয়া হয়েছে।
রাজকোট পুলিশ: এক বিশেষ উল্লেখ
শুটিংয়ের সময় আরও একটি অদ্ভুত দিক হচ্ছে, সেখানে একই “GJ-03” নম্বর প্লেটসহ পুলিশ গাড়িগুলি ব্যবহৃত হয়েছিল। Interestingly, গাড়িগুলির উপর লেখা ছিল গুজরাটিতে এবং পাশে পুলিশ লোগোও স্পষ্টভাবে দেখা যাচ্ছিল, যেখানে লেখা ছিল “રાજકોટ પોલીસ”।
বিশাল অ্যাকশন সিকোয়েন্সের পরিকল্পনা
যখন ‘সিকান্দার’ হায়দ্রাবাদ থেকে মুম্বাইয়ে স্থানান্তরিত হচ্ছে, প্রকল্পের কাছাকাছি সূত্রগুলি সিনেমার পরিকল্পিত অ্যাকশন সিকোয়েন্স সম্পর্কে আকর্ষণীয় বিবরণ প্রকাশ করেছে। একটি বিশেষ ট্রেন সিকোয়েন্স সিনেমার অন্যতম প্রধান আকর্ষণ হতে চলেছে, যেখানে বোরিভালি স্টুডিওতে একটি বিশাল সেট নির্মিত হয়েছে।
একটি মিড-ডে রিপোর্ট অনুযায়ী, দৃশ্যটিতে কাঁচা, খারাপ অ্যাকশন রয়েছে, যেখানে সলমন খানের চরিত্র একটি অপরাধী দলের কাছে পরাজিত হবে। একটি সূত্র জানিয়েছে, “এই দৃশ্যের স্কেল বিশাল। এতে কাঁচা, খারাপ অ্যাকশন রয়েছে যেখানে সলমনের চরিত্র একটি গ্যাংয়ের বিরুদ্ধে লড়াই করছে। পরিচালককে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছিল দৃশ্যটিকে রক্তক্ষয়ী এবং প্রতিশোধমূলক করতে।” এই তীব্র দৃশ্যটি মাত্র 30 জন লোকের ছোট একদলের সাথে শুট করা হয়েছিল, এবং পরের দিন, মুরুগাদোস প্রায় 350 জনের জনবহুল একটি অ্যাকশন দৃশ্য চিত্রায়িত করেছিলেন।
অভিনয়ের জাদু: একটি প্রত্যাশা
এখন প্রশ্ন উঠছে, সলমন খানের এই দারুণ ভেতরোদ্ধার দর্শকদের কথা ভাববেন কি? ‘সিকান্দার’ কি শুধুই সেসব রোমাঞ্চকর সিকোয়েন্স নিয়ে গড়া হবে, নাকি এতে কিছু গভীর সামাজিক বার্তা প্রদান করবে? বর্তমান যুগে যেখানে দর্শকরা শুধুমাত্র বিনোদন নয়, বরং এক সামাজিক বিতর্কেও অংশ নিতে চাইছে, সেখানেই অগণিত আশা ও প্রত্যাশা আটকে আছে।
বলিউডের উন্নয়ন এবং পরিবর্তনশীল দর্শক পছন্দ নিয়ে আলোচনা অব্যাহত: লক্ষ্য রাখতে হবে যে, বর্তমান গল্পtelling-এর ধরনে কি ভিন্নতা আসছে, এবং অভিনেতাদের পারফরমেন্স কি শুধুই সাসপেন্স তৈরি করবে, না কি এটি সমাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলবে? ফলস্বরূপ, সলমন খানের ‘সিকান্দার’ কি আসলে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি একটি সাড়া দেবে, নাকি এটি হতাশার একটি ছবিতে পরিণত হবে? সময় দেবে উত্তর।