রশমিকাকে সাইবার নিরাপত্তার ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর করা হলো; ডিজিটাল যুগের সুরক্ষার অঙ্গীকারে পদক্ষেপ!

NewZclub

রশমিকাকে সাইবার নিরাপত্তার ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর করা হলো; ডিজিটাল যুগের সুরক্ষার অঙ্গীকারে পদক্ষেপ!

রাশমিকা মন্দান্না ভারতীয় সাইবার নিরাপত্তা প্রচারের জাতীয় অ্যাম্বাসাডর নিযুক্ত হওয়ার মাধ্যমে সাইবার ক্রাইমের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। তিনি নিজেও সাইবার ক্রাইমের শিকার হয়ে সচেতনতা বাড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন। ডিজিটাল যুগে সাইবার নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য তার এই উদ্যোগ সমাজে নিরাপত্তা ও সচেতনতার নতুন দিগন্ত খুলে দেবে, যা চলচ্চিত্র শিল্পের সামাজিক দায়বদ্ধতা ও প্রতিফলনকে নতুনভাবে প্রভাবিত করবে।

রশমিকাকে সাইবার নিরাপত্তার ন্যাশনাল অ্যাম্বাসেডর করা হলো; ডিজিটাল যুগের সুরক্ষার অঙ্গীকারে পদক্ষেপ!

রশমিকা মান্দান্নার নতুন ভূমিকায় সাইবার সুরক্ষার প্রতি বিশেষ গুরুত্ব

একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হিসেবে ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইবারক্রাইম সমন্বয় কেন্দ্র (I4C) জনপ্রিয় অভিনেত্রী রশমিকা মান্দান্নাকে ‘জাতীয় সাইবার সেফটি প্রচারক’ হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। রশমিকা সাইবার অপরাধের বিরুদ্ধে দেশের সাধারণ মানুষকে সচেতন করার লক্ষ্যে দেশব্যাপী প্রচারাভিযান পরিচালনা করবেন। এই প্রচারণায় অনলাইন প্রতারণা, ডীপফেক ভিডিও, সাইবার বুলিং এবং AI-সৃষ্ট ক্ষতিকর কনটেন্টের মতো বিভিন্ন সাইবার অপরাধের হুমকি সম্পর্কে জনগণকে শিক্ষা দেওয়া হবে।

নতুন দায়িত্ব পালন নিয়ে রশমিকার প্রতিক্রিয়া

রশমিকা মান্দান্না বলেছিলেন, “সাইবার অপরাধ একটি বিপজ্জনক এবং ব্যাপক হুমকি যা বিশ্বব্যাপী ব্যক্তি, ব্যবসা এবং সম্প্রদায়কে প্রভাবিত করে। আমি যে ব্যক্তিগতভাবে এর শিকার হয়েছি, সেই অভিজ্ঞতা থেকে আমি এই বিষয়গুলো সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে এবং সাইবার সুরক্ষার বার্তা প্রচার করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। আমাদের একত্রে এই হুমকিগুলির বিরুদ্ধে লড়াই করা এবং আমাদের ডিজিটাল স্থানগুলোকে সুরক্ষিত রাখা অপরিহার্য।”

ডীপফেকের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা

সোশ্যাল মিডিয়াতে এই ঘোষণায় রশমিকা উল্লেখ করেছেন যে, তিনি স্বয়ং একজন সাইবার অপরাধের শিকার হয়েছেন। সম্প্রতি তার একটি ডীপফেক ভিডিও অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে, যা তাকে বিষয়টি নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে সচেতনতা তৈরির জন্য উত্সাহিত করেছে। ১৫ অক্টোবর তিনি তার ফ্যানদের কাছে এই সংবাদটি পৌঁছে দিয়ে ইনস্টাগ্রামে লিখেছেন, “আমরা একটি ডিজিটাল যুগে বাস করছি, এবং সাইবার অপরাধ সর্বাধিক স্তরে পৌঁছে গেছে। আমি মনে করি এটা সময় হয়েছে সুরক্ষার জন্য আরও কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণের।”

সাইবার সুরক্ষার জন্য একত্রিত হওয়ার আহ্বান

রশমিকা তার ভক্তদের আহ্বান করেছেন একত্রিত হয়ে সাইবারস্পেসকে সুরক্ষিত করতে। তিনি বলেছেন, “আমি চাই যেন যত সম্ভব মানুষকে সাইবার অপরাধ থেকে রক্ষা করতে পারি, তাই আমি I4C-এর ব্র্যান্ড এম্ব্যাসাডরের ভূমিকা পালন করছি।” এই পদক্ষেপটি দেশের সাইবার অপরাধ মোকাবেলার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলেও মনে করা হচ্ছে।

রশমিকার ভূমিকা এবং গণমানুষের সুরক্ষা

এই সময়ে রশমিকার নিযুক্তি এসেছে যখন দেশের সাইবার অপরাধের হার ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে এবং ডিজিটাল হুমকির নতুন নতুন রূপগুলো দ্রুত আবির্ভূত হচ্ছে। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আশা করে যে, তার ক্রিয়াকলাপ ও উদ্যোগ জাতীয় সাইবার অপরাধ সংকট মোকাবেলার প্রচেষ্টায় এক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করবে, যা সকল নাগরিকের জন্য একটি নিরাপদ ও সুরক্ষিত ডিজিটাল পরিবেশ তৈরীতে সাহায্য করবে।

কমেন্ট সেকশনে আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। রশমিকার এই নতুন ভূমিকায় আমরা কী এক নতুন দিগন্তের উন্মোচন দেখবো, তা এখন সময়ই বলে দিবে।

মন্তব্য করুন