ফিরোজ নাদিয়াডওয়ালা, ‘হেরা ফেরি’সহ বহু কাল্পনিক ছবির প্রযোজক, সম্প্রতি ইরোসের কাছে তার অর্থনৈতিক দায়িত্ব অব্যাহত রেখে নিজের ছবি অধিকার পুনরুদ্ধার করেছেন। এই পদক্ষেপটি শুধু তার ব্যবসায়িক সাফল্য নয়, বরং ‘হেরা ফেরি ৩’-এর মতো দর্শকদের প্রিয় ছবির নির্মাণের সম্ভাবনাকেও উন্মোচন করেছে। আকাশ কুমারসহ মূল তিন চরিত্রের অভিনেতাদের মধ্যে আবেগঘন প্রত্যাশার সৃষ্টি হয়েছে, যা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির রূপান্তর এবং সমাজে চলচ্চিত্রের প্রভাবকে নতুন করে আলোচনায় এনেছে।
ফিরোজ নাদিয়াদওয়ারার নতুন উত্থান: বলিউডের চিত্র বদলের শরিক
ফিরোজ নাদিয়াদওয়ারার নামে অনেকেই পরিচিত, যিনি হেরা ফেরি, আওয়ারা পাগল দেবানা, ফির হেরা ফেরি, ওয়েলকাম এবং আনের মতো কাল্ট সিনেমার নির্মাতা। সম্প্রতি তিনি বলিউড ইন্ডাস্ট্রিতে এক উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নেন। সূত্রে জানা গেছে, তিনি ইরোসের সাথে তার আর্থিক দেনা মেটাতে সক্ষম হয়েছেন, এবং এর ফলে তার সিনেমার পোর্টফোলিওর অধিকার পুনরুদ্ধার করেছেন, যার মধ্যে রয়েছে বহু প্রতীক্ষিত হেরা ফেরি।
নবজাগরণের অপেক্ষা
ফিরোজ নাদিয়াদওয়ারার নির্মিত অনেক সিনেমা কাল্ট স্ট্যাটাস অর্জন করেছে, এবং দর্শকদের মাঝে সিক্যুয়েল এবং নতুন ইনস্টলমেন্টের চাহিদা প্রবলভাবে রয়েছে। দর্শকদের এই চাহিদাকে স্বীকার করে, তিনি সম্প্রতি অক্ষয় কুমারের সাথে পুনর্মিলন ঘটিয়ে ‘ওয়েলকাম’ ফ্র্যাঞ্চাইজির তৃতীয় কিস্তি, ‘ওয়েলকাম টু দ্য জঙ্গল’ ঝাঁপিয়ে পড়েছেন। চলতি বছরের প্রথম দিকে এর শুটিং শুরু হয়েছে। তবে সিনেপ্রেমীদের আগ্রহ এখানেই থেমে নেই, হেরা ফেরি ৩’র দাবি সামাজিক মাধ্যম ও অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে বারবার উঠতে শুরু করেছে।
কোর্টের মাধ্যমে মুক্তির পথে
সূত্র জানাচ্ছে, “ফিরোজ তাঁর দেনা পরিষ্কার করেছেন এবং আদালত থেকে একটি নো ডিউ সার্টিফিকেট পেয়েছেন, যা তাঁকে হেরা ফেরি এবং অন্যান্য সিনেমার অধিকার পুনরুদ্ধার করতে অনুমতি দিয়েছে। তিনি এখন এই প্রকল্পগুলোর দিকে তাঁর ইচ্ছামতো অগ্রসর হতে প্রস্তুত এবং দর্শককে বিনোদন দেওয়ার জন্য উন্মুখ।” সূত্রটি আরও যোগ করেছে, “হেরা ফেরি ৩ শুধুমাত্র ফিরোজের জন্য নয়, বরং মূল ত্রয়ী—অক্ষয় কুমার, পAREশ রাওয়াল, এবং সুন্দর সেতির জন্যও একটি আবেগপ্রবণ প্রকল্প। তারা সবাই আনন্দিত যে এখন সৃজনশীল দিক এবং এই সিনেমা জীবন্ত করতে প্রয়োজনীয় লজিস্টিকসে মনোযোগ দেওয়া যাবে।”
নতুন দিগন্তের দিকে
শোনা যাচ্ছে তিনি তার হেরা ফেরি টিমের সাথে আগামী সপ্তাহগুলোতে বৈঠক করবেন তৃতীয় ইনস্টলমেন্টের পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করার জন্য। অক্ষয় কুমার তাঁর অভিনয়ের ফি বিসর্জন দিয়েছেন হেরা ফেরি ৩ এবং ওয়েলকাম ৩ কে জীবিত করতে, ফিরোজ নাদিয়াদওয়ারার সাথে একটি লাভ-শেয়ারিং চুক্তি স্বাক্ষর করেছেন।
সামাজিক প্রতিক্রিয়া এবং বলিউডের ভবিষ্যৎ
এই ঘটনাগুলি শুধুমাত্র একটি নতুন সিনেমার উৎপাদনের খবর নয়, বরং বলিউডের মৌলিক পরিবর্তনের লক্ষণ। সিনেমা যে শুধু বিনোদন নয়, সামাজিক মূল্যবোধ ও সাংস্কৃতিক পরিচয় কিভাবে গঠন করে, সেটির প্রতিফলন। বর্তমানে দর্শকদের আশা এবং প্রত্যাশা অবিরত পরিবর্তিত হচ্ছে, এবং নির্মাতাদের তাদের শৈলীতে সমন্বয় সাধনের প্রয়োজন।
নতুন গল্প বলার আঙ্গিক
হেরা ফেরি ৩ এর পরিকল্পনা, বলিউডের একটি নতুন দিগন্ত খুলতে পারে যেখানে সৃষ্টিশীলতা এবং নতুন চিন্তার অভিব্যক্তি পাওয়া যাবে। বর্তমান সময়ে সিনেমার মধ্য দিয়ে সমাজের বিভিন্ন সমস্যা এবং চাহিদার প্রতিফলন সম্ভবপর, এবং নতুন নির্মাতারা এই বিষয়গুলোকে বিবেচনা করে নতুন গল্প বলার দিকে অগ্রসর হচ্ছেন।