বলিউডের নতুন ট্রেন্ডে রবি ডুবেই এবং সরগুন মেহতার ‘ড্রিমিয়াটা ড্রামা’ চ্যানেল খুলে দেওয়ার খবর শোরগোল ফেলেছে। প্রথম শো ‘লাভলি লোlla’র কাস্টে গুহার খান ও ইশা মালভিয়া যুক্ত হওয়ায় দর্শকদের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে গেছে। ইশা, বিগ বস ১৭-এর পর আবারও টেলিভিশনে ফিরে আসছেন, যা দর্শকদের জন্য নতুন প্রতিশ্রুতি নিয়ে এসেছে। ড্রিমিয়াটা প্রোডাকশনসের সঙ্গী হিসেবে তার আগের সফলতা থেকে প্রত্যাশা আরও বেড়েছে। এটি दर्शায়, বর্তমান চলচ্চিত্রে পরিবর্তন আসছে, যেখানে সম্পর্কের জটিলতা এবং সামাজিক প্রতিনিধিত্ব আরও গুরুত্ব পাবে।
প্লটের মোড়ে নতুন সুর—রবি এবং সর্গুনের নতুন যাত্রা
বাংলা চলচ্চিত্র মহলে বহুবছর ধরেই চলেছে নতুন চমক এবং আবেগের রানি। এবার নতুন একটু চমক নিয়ে হাজির হয়েছেন রবি ডুবেই এবং সর্গুন মেহতা। সম্প্রতি, তাঁদের নতুন সফলতা ‘ড্রিমিয়াটা ড্রামা’ উন্মোচন করেছে, যা আলোড়ন তুলেছে অনুগামীদের মধ্যে। এর আগে একাধিক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে যে, তারা শুরু করছে তাদের প্রথম শো ‘লোভলি লোলা’।
শোতে একজন প্রিয় তারকা গৌহার খানের নাম যুক্ত হওয়ার পর, আরেকজন আলোচিত মুখ ঈশা মালভিয়া যুক্ত হয়েছেন। ঈশা ‘বিগ বস ১৭’ এ নিজের প্রতিভা প্রদর্শন করে দর্শকদের মনে স্থান করে নিয়েছেন। তাঁর এবারের ছোট পর্দায় প্রত্যাবর্তন নিয়ে দর্শকদের মধ্যে উন্মাদনা দিন দিন বাড়ছে।
বৈচিত্র্য এবং সম্ভাবনার নতুন ঢঙ
ঈশা তাঁর আগের কাজ ‘উদারিয়ান’ এর সাফল্যের পর ড্রিমিয়াটা প্রোডাকশনে ফিরছেন, যেখানে তাকে দেখা গিয়েছিল জ্যাজমিন এবং পরে তাঁর কন্যা হারলিনের চরিত্রে। দর্শকরা ঈশার অভিনয়ে বরাবরই মুগ্ধ হয়েছেন এবং তিনি যে মেমোরেবল পারফরমেন্স উপহার দেবেন, সে আশা করছেন।
ছেড়ে আসা বাস্তবতা থেকে দূরে সরে গিয়ে, ‘লোভলি লোলা’ নতুন এক গতিপ্রকরণ নিয়ে হাজির হচ্ছে। গৌহার খান এবং ঈশা মালভিয়ার সংযোগে শোটি নিয়ে কৌতূহল বেড়ে গেছে, দর্শকরা তাদেও চরিত্র এবং কাহিনীর বিস্তারিত জানার জন্য অধির আগ্রহে রয়েছেন।
নতুন কাহিনি, প্রাচীন কাঠামোর বিচ্ছেদ
বিভিন্ন সূত্রের মতে, এই শোটি নতুন দৃষ্টিভঙ্গির সাথে ড্রিমিয়াটা ড্রামার সৃষ্টিশীলতার আধারে নির্মিত হচ্ছে, যা বলিউডের বর্তমানে বিচিত্র নাট্যমঞ্চের চিত্র তুলে ধরছে। পাশাপাশি, আমাদের সমাজের বিভিন্ন সমস্যার প্রতিফলনও ঘটছে সিনেমার মাধ্যমে। এখন প্রশ্ন উঠছে, এই নতুন ধারা কি দর্শকদের আগ্রহ আকৃষ্ট করতে পারবে? এটি একটি সাহসী পদক্ষেপ, কিন্তু ফলাফল যে অভিজ্ঞান অর্জন করবে, সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া এখনো বাকি।
দর্শকরা সিনেমাগুলোর মধ্যে বিভিন্ন সমাজ ও মানবিক সমস্যা স্পষ্টভাবে দেখতে চাইছেন এবং শুরু থেকেই শোটি এই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনার সুর তুলবে বলেই মনে হচ্ছে। নতুন এবং পুরানো শিল্পীদের একীভূত করে চলচ্চিত্র জগতে পরিবর্তন আনা সম্ভব হবে কিনা, তা দেখার জন্য অপেক্ষা করতে হবে।
শেষ কথা
আমাদের সমাজ এবং সিনেমার মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমশ বদলে যাচ্ছে। নতুন নামকরণ এবং কাহিনীর জন্য রবি এবং সর্গুন যেভাবে তাদের অঙ্গীকার করে চলেছেন, তা নিঃসন্দেহে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে। তবে, আমাদের আশা করা উচিত যে, সেরা প্রেজেন্টেশন ও গল্প নির্মাণের মাধ্যমে নিজেদের প্রতিভা তুলে ধরতে পারবে। দর্শকদের জন্য এটি কোন এক নতুন দিগন্তের দিকে পাঠাবে।