বলিউডের নতুন ছবি ‘ভিকি বিদ্যা কা ওই বাই ভিডিও’তে গায়ক আদনান সামির উপস্থিতি বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। রাজকুমার রাওর অভিযোগ, গাওয়ার সময় সামির গানের সঙ্গে তার লিপ-সিঙ্কের মিল থাকবে না। এ কারণে শেষ মুহূর্তে সঙ্গীতশিল্পী পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন। আদনান সামির ফিরে আসা সিনেমায় যারা আশাবাদী ছিলেন, তাদের জন্য এটি এক সম্ভাবনা হারানোর মতো। চলচ্চিত্রের এই সংঘাত কিভাবে শিল্পের আদান-প্রদান এবং সমাজের অনুভূতির ওপর প্রভাব ফেলে, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে।
ভিকি বিদ্যা: যখন সুরের সুবাসে স্বপ্ন ভাঙে
বলাই বাহুল্য, ‘ভিকি বিদ্যা কা Woh Wala ভিডিও’ নিয়ে আলোচনা এখন তুঙ্গে। রাজকুমার রাও এবং তৃতী দিমরিকে নিয়ে নির্মিত এই ছবি, পরিচালক রাজ শাঁদিল্যের পরিচালনায়, 90-এর দশকের নস্টালজিক আবহে দর্শকদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তবে, এর পেছনে যে অপ্রত্যাশিত এক বিতর্ক জলদস্যু তুলেছে, তা হল ছবির প্লেব্যাক গায়ক আদনান সামির সাথে জড়িত একটি ভাবনা।
গায়ক আদনান সামির সঙ্গে সহযোগিতার বিপদ
গায়ক আদনান সামি ছবির একটি রোমান্টিক গানের জন্য তার কণ্ঠ দেওয়ার কথা ছিল এবং সাচিন-জিগার ও টি-সিরিজের টিমের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছিল। পেশাদারিত্ব নিয়ে আলোচনা চারদিকে ঘুরলেও, সম্প্রতি প্রকাশিত এক রিপোর্টে জানা যায়, রাজকুমার রাও গানটির জন্য আদনান সামির গায়কি এবং তার শক্তিশালী কণ্ঠস্বরের সাথে নিজের লিপ-সিঙ্কিংয়ের মতো হতে পারবে কিনা, সেই বিষয়ে দুশ্চিন্তা প্রকাশ করেছেন।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের প্রভাব
এর ফলে, তিনি প্লেব্যাক গায়ক পরিবর্তনের দাবি তুলেছেন, যা অনেকের জন্য বিশেষ করে অবাক হওয়ার বিষয় ছিল। কেননা, এই সিদ্ধান্ত তৈরি হওয়ার সময়ে চিত্রগ্রহণ তো ছিল মহাসমাপ্তির পথে, এবং আদনান সামির অংশগ্রহণ ইতিমধ্যেই জনসমক্ষে ঘোষণা হয়েছিল।
সঙ্গীত পরিচালক সাচিন-জিগারের অনুভুতি
ফিল্মটির সঙ্গীত পরিচালক সাচিন সাংভি একটি সংবাদ সাক্ষাৎকারে জানান দুঃখের সঙ্গে যে আদনান সামির গান তাদের কাছে একটি স্বপ্ন সত্যি হওয়ার মতো। “90-এর দশকের গানগুলো আমার ওপর এক গভীর ছাপ ফেলেছে, এবং ছবির একটি গান আদনান সামির গাওয়ার কথা,” সাচিন বলেন।
পরের দিনগুলোতে বদলাতে পারে চলচ্চিত্রের সাহিত্যে
এখন প্রশ্ন উঠছে, কি ঘটবে ১১ অক্টোবর, যখন ‘ভিকি বিদ্যা কা Woh Wala ভিডিও’ মুক্তি পাবে? দর্শকরা কি ত্রুটিপূর্ণ এক প্রেমের গল্পের সাক্ষী হবেন নাকি অনষ্কারিত এক নতুন উইন্ডোতে প্রবেশ করবেন? আদনান সামির প্রত্যাবর্তন এবং রাজকুমার রাওয়ের অভিনয়ের কেমিস্ট্রি কি ভিন্ন দৃশ্যে আবির্ভূত হবে? চলচ্চিত্র জগতের বিচিত্র আহ্লাদ এবং তাৎক্ষণিক চাপ ক্রমাগত পরিবর্তন নিয়ন্ত্রণ করছে যেন একটি সঙ্গীতের লাহার।
শেষ কথা: বিতর্ক কি নতুন স্বর সৃষ্টি করতে পারে?
জগতের কাহিনীর মতে, চলচ্চিত্রের বাস্তবতা এবং গল্প বলার পরিবর্তন ঘটছে ক্রমাগত। নাটকীয়তা, বাণিজ্যিকতা এবং জনপ্রিয়তার চাপ রুখে, আদনান সামির এই চুক্তির বাতিল হওয়া নতুন করে চিন্তার সুযোগ করে দেয়। আশা করা যায়, এই বিতর্ক শুধুই একটা অস্থায়ী ধাক্কা নয়, বরং চলচ্চিত্রের বিষমতাকে নতুনভাবে উপলব্ধি করার উপায় হতে পারে।