রাজীব রায়, ৮০ ও ৯০ দশকের জনপ্রিয় চলচ্চিত্র নির্মাতা, নতুন চলচ্চিত্র “জোরা” নিয়ে ফিরছেন। তিনি নতুন প্রতিভাকে গুরুত্ব দেওয়ার পাশাপাশি বাজেটের সীমাবদ্ধতার মধ্যে থেকেও ধারাবাহিক বিনোদন তৈরির চেষ্টা করেছেন। প্রসঙ্গত, বড় তারকাদের ছাড়াই জনসাধারণের কাছে পৌঁছানোর এই উদ্যোগের মাধ্যমে তিনি বোঝাতে চেষ্টা করছেন যে চলচ্চিত্রের মূল দর্শকরা এখনও সাধারণ মানুষই।
রাজীব রায়ের নতুন চলচ্চিত্র ‘জোরা’: দারুণ প্রত্যাবর্তন, তবে উজ্জ্বল নামের অভাব?
বলিউডের খ্যাতনামা প্রযোজক-পরিচালক রাজীব রায়, যিনি ৮০ এবং ৯০-এর দশকের কিছু আইকনিক ছবির কা॑রণে সর্বাধিক পরিচিত, চলচ্চিত্র নির্মাণে এক প্রত্যাশিত প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন। ‘ত্রিদেব’, ‘বিশ্বাত্মা’, ‘মোহরা’ এবং ‘গুপ্ত’ মতো ব্লকবাস্টার হিট নিয়ে পরিচিত রায়ের ব্যানার, ‘ত্রিমূর্তি ফিল্মস প্রাইভেট লিমিটেড’, এক সময় বক্স অফিসে রাজত্ব করে। তবে, ব্যক্তিগত কারণে এবং অপ্রত্যাশিত পরিস্থিতির জন্য বিদেশে চলে যাওয়ার পর, রায় এবার নতুন একটি দৃষ্টিকোণ নিয়ে ফিরে এসেছেন।
নতুন ছবির গতি: ‘জোরা’
রাজীবের প্রত্যাবর্তনের পদক্ষেপ হিসেবে ‘জোরা’ নামে একটি দ্রুতগতির সাস্পেন্স মার্ডার থ্রিলার তৈরি হয়েছে, যা বছরের শেষে মুক্তি পাবে। রায় বলেন, “হ্যাঁ, আমি ফিরে এসেছি। আমি আমার নতুন চলচ্চিত্র জোরা এর শুটিং সম্পন্ন করেছি, এবং বর্তমানে এটি শেষ পোস্ট-প্রোডাকশনের পর্যায়ে রয়েছে, যা প্রায় সম্পূর্ণ। এই সময়ে বড় তারকাদের উপস্থিতি না থাকায় এটি আমার জন্য একটি নতুন চ্যালেঞ্জ।”
নতুন প্রতিভার প্রতি আগ্রহ
রাজীব রায়ের নতুন ছবিতে প্রায় ৪০টি নতুন মুখ থাকবে, যা উত্তর ভারতীয় হিন্দি টানেলে থেকে নির্বাচিত হয়েছে। তিনি বলেন, “আমি সবসময় নতুন প্রতিভার প্রতি আকৃষ্ট হয়েছি। আমি সময়ের শীর্ষ তারকাদের সঙ্গে কাজ করিনি, তবে তারা পরবর্তীতে তারকা হয়েছেন।” এক্ষেত্রে, তিনি উল্লেখ করেন যে ‘মোহরা’ ছবিতে অক্ষয় কুমার ও সুনিল শেঠি তখনও উত্থানশীল তারকা ছিলেন।
নাগরিক দর্শকদের জন্য সহজলভ্য
‘জোরা’ ছবিতে গান থাকবে না বলেই তিনি জানান। “এই স্ক্রিপ্টে গান থাকার কোন সুযোগ নেই, তবে ভিজু শাহর একটি গান এবং একটি পূর্ণাঙ্গ ব্যাকগ্রাউন্ড স্কোর রয়েছে,” তিনি জানান। বাজেট সঙ্কুচিত হলেও, রায় বিশ্বাস করেন ছবির Appeal থাকবে, বিশেষ করে একক-স্ক্রীন সিনেমা দর্শকদের কাছে।
ছবির মূল দর্শকত্ব
রাজীব রায় বলেছেন, “আমি সর্বদা সাধারণ মানুষের জন্য চলচ্চিত্র নির্মাণ করেছি, এবং আমি তাদের উপেক্ষা করতে পারব না। মধ্যম বাজেটের সিনেমাগুলি বর্তমানে জনপ্রিয়তা পাচ্ছে, তবে ‘জোরা’ একটি খাঁটি কমার্শিয়াল মাস বিনোদন।”
ছবির শুটিং শেষ হলে, রায় এই চলচ্চিত্রের সম্ভাব্যতা নিয়ে অত্যন্ত আশাবাদী। “আমি ফলাফল নিয়ে খুব খুশি,” তিনি বলেন। “আমি আশা করি দর্শকরা ‘জোরা’-কে পছন্দ করবে।”
নতুন ধারার প্রতিফলন: রাজীব রায় কিভাবে বলিউডে পুনরায় اجşti?
রাজীব রায়ের ‘জোরা’ চলচ্চিত্রটি কিছু নতুন চিন্তাভাবনা এবং দর্শকদের পরিবর্তনশীল রুচির প্রতিফলন হিসেবে কাজ করছে। দর্শকরা এখন গল্পের গভীরতা এবং অভিনয়শিল্পীদের দক্ষতাকে বেশি প্রাধান্য দিচ্ছেন। রাজীবের এটি একটি উল্লেখযোগ্য পরিবর্তন, বিশেষ করে যখন তিনি বড় বাজেটের গানের সিনেমাগুলির প্রভাব থেকে বেরিয়ে এসে নতুন পথের সন্ধান করেছেন।
রাজীব রায়ের ‘জোরা’ করোনার মহামারী পরবর্তী সময়ে দর্শকরা যে নতুন ধারাকে খুঁজছেন, তার সাথে তীব্র সাদৃশ্য ব্যাখ্যা করবে। এটি বাংলা চলচ্চিত্রের আকৃতির মধ্যে নতুন ধারার সূচনা করবে বলেই বিশ্লেষকদের মত।