বলিউডের নতুন সামাজিক নাটক “হিসাব বরাবর” ২৬ নভেম্বর ২০২৪-এ ৫৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রিমিয়ার হতে চলছে। এমাধবন একটি সাধারণ মানুষ হিসেবে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই করে আর্থিক প্রতারণার অন্ধকার দিকগুলি প্রকাশ করেন। এই চলচ্চিত্রটি শুধুমাত্র এক নির্মম সত্যের উপাখ্যান নয়, বরং নৈতিক দায়িত্ব ও সম্পর্কের জটিলতাকে জলাঞ্জলি দেয়। বর্তমান সমাজের প্রতিচ্ছবি নিয়ে প্রশ্ন তুলছে এটি, এবং দর্শকদের ভাবনায় বিপর্যয় ঘটাতে প্রস্তুত।
ফিরে এলেন মাধবন, ‘হিসাব জানাবার’ আলোচনার ঝড়
বলিউডের সদর দপ্তর থেকে সুখবর। র. মাধবনের gripping সামাজিক নাটক ‘হিসাব বারাবর’ ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর ভারতের ৫৫তম আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে (IFFI) বিশ্ব প্রিমিয়ার হতে চলেছে। এই চলচ্চিত্রটি জিও স্টুডিও এবং স্পি সিনেকর্পের প্রযোজনায় নির্মিত, পরিচালিত করেছেন আষ্বনী ধীর। ‘হিসাব বারাবর’ একটি হাস্যরস, ব্যঙ্গ ও প্রবল আবেগের মিশ্রণে তৈরি, যা একটি সাধারণ মানুষের সাহসী লড়াইকে তুলে ধরে—একটি কর্পোরেট ব্যাংকের বিলিয়ন ডলারের স্ক্যামের বিরুদ্ধে।
রাধে মোহন শর্মার কঠিন যাত্রা
এই চলচ্চিত্রে মাধবন রাধে মোহন শর্মার চরিত্রে অভিনয় করেছেন, যিনি একজন স্ত্রীর টিকিট চেকার। তার ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এক অস্বাভাবিক তারতম্য দরজায় কড়া নাড়ে। যা শুরু হয় ছোটখাটো সমস্যার মতো, তা শিগগিরই একটি বৃহত্তর তদন্তের দিকে যায়। এই পথ চলাকালীন, তিনি ব্যাংকার মিক্কি মেহতার (নেইল নীতিন মুখেশ) একটি ব্যাপক আর্থিক প্রতারণার চিহ্ন পায়।
প্রতিবাদের সংলাপ: বিচার, সততা, এবং নৈতিকতা
মাধবন বলেন, “হিসাব বারাবর শুধুমাত্র দুর্নীতির বিরুদ্ধে একটি যুদ্ধ নয়—এটা ব্যক্তিগত ত্রুটিগুলির মোকাবিলা ও সত্যিকার বিচার প্রসঙ্গে আলোচনা।” তিনি এই সিনেমার মাধ্যমে বাক্যে বলেছেন যে ন্যায় বিচার যেমন সহজ নয়, তেমন একটি সম্পর্কের তাত্ত্বিক গুরুত্বও রয়েছে। এই সিনেমার মূল থিম জাস্টিস এবং নৈতিকতার কেন্দ্রে।
সমাজের প্রতিবিম্ব: এক সাধারণ মানুষের লড়াই
নেকছিঁ নীতিন মুখের মুখে কি দিয়েছেন? ‘হিসাব বারাবর’এর কেন্দ্রে রয়েছেন কীর্তি কুলহারি, যিনি বিমূর্ততাকে সামনে নিয়ে আসেন। তিনি তার চরিত্রে এমন একটি ভূমিকা পালন করেছেন যা চিত্রনাট্যের নাটকীয়তা এবং চরিত্রগুলোর মধ্যে সম্পর্কের জটিলতাকে আরও দৃষ্টিগ্রহণ করে। এই সিনেমা সত্যিকার অর্থেই সমাজে জাস্টিসের চলমান লড়াইকে তুলে ধরে।
প্রেক্ষাপটে পরিবর্তন: বলিউডের নতুন গল্প বলা
পরিচালক আষ্বনী ধীর বলেন, “আমি সম্মানিত যে ‘হিসাব বারাবর’ IFFIতে প্রদর্শন করতে পারব। এই সিনেমাটি শুধুমাত্র একটি থ্রিলার নয়—এটি একটি ঘোষণাপত্র। আমাদের চরিত্রের মাধ্যমে আমরা দেখি একজন সাধারণ মানুষের লড়াই, যে দেবাচ্ছুড়ে বলছে, ‘সত্য উদ্ঘাটন’।”
সারসংক্ষেপ: ছবি বা সত্য?
যথাসময়ে নির্মিত ‘হিসাব বারাবর’ আগামী IFFI 2024-এ একটি স্মরণীয় চিহ্ন রেখে যাবে, আশা করা যায় যে এটি দর্শকদের চিন্তায় জন্ম দেবে। জিও স্টুডিওদের উৎপাদনের আওতাধীন এই সিনেমা বলিউডের প্রেক্ষাপট ও গল্পের হলেও সামাজিক বাস্তবতাকে উন্মোচন করবে।