বলিউডের সুপারস্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জনাস এবার মুম্বাইয়ে এসে নতুন ম্যাক্স ফ্যাক্টর পণ্য উদ্বোধন করবেন। একই দিনে তাঁর বাংলাদেশি ভাষার সিনেমা ‘পানি’ও মুক্তি পাচ্ছে, যা পরিবেশ সংরক্ষণে সেরা চলচ্চিত্র হিসেবে জাতীয় পুরস্কারও পেয়েছে। এই দুইটি অনুষ্ঠান প্রমাণ করছে কীভাবে সেলিব্রিটিদের সামাজিক দায়িত্ব এবং চলচ্চিত্রের সৃষ্টিশীলতা একসঙ্গে intertwined হয়ে উঠছে।
মুম্বাইয়ের মহান পরিসমাপ্তি: প্রিয়াঙ্কার উন্মোচন এবং নতুন পথচলা
বলিউডের সুপারস্টার প্রিয়াঙ্কা চোপড়া জোনাস যেন এক কর্মব্যস্ত পেংগুইন। তিনি বিশ্বজুড়ে ভ্রমণ করছেন নিজের বিভিন্ন প্রজেক্টের শুটিং, প্রচারমূলক কার্যক্রম এবং ফিলান্ত্রোপির জন্য। সম্প্রতি তিনি ম্যাক্স ফ্যাক্টর স্নেহের মুখপাত্র হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছেন। এ বছরের শুরুতেই তার এই ব্র্যান্ডের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার খবরটি সামনে এসেছিল।
এখন প্রিয়াঙ্কা মুম্বাইয়ে আসতে চলেছেন ম্যাক্স ফ্যাক্টরের পণ্য উন্মোচনের জন্য, যা অনুষ্ঠিত হবে শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর। এটি একটি অনুষ্ঠান যা তার ভক্তদের এবং বিশ্বজুড়ে মিডিয়ার নজর কাড়ছে। তবে বলিউড হাঙ্গামার খবর অনুসারে, প্রিয়াঙ্কার মুম্বাই সফরের পিছনে আরও একটি কারণ রয়েছে।
নতুন চলচ্চিত্র ‘পানি’ মুক্তি
প্রিয়াঙ্কা তার স্বদেশী চলচ্চিত্রের প্রযোজক হিসেবে পরিচিত। তার সর্বশেষ মারাঠি প্রযোজনা ‘পানি’ মুক্তির জন্য প্রস্তুত, যা ১৮ অক্টোবর হবে। মুম্বাইয়ে এসে তিনি খুশির সঙ্গে তার সিনেমার প্রিমিয়ারে অংশগ্রহণ করবেন।
এই অনুষ্ঠানটি একটি জমকালো বিজয় উদযাপন হতে চলেছে। এটি খুব একটা অজানা নয়, কারণ সিনেমাটি পরিবেশ সংরক্ষণ/রক্ষণাবেক্ষণের জন্য জাতীয় পুরস্কার লাভ করেছে। পরিচালনা করেছেন অ্যাডিনাথ কোটারে, যিনি চলচ্চিত্রটি পরিচালনা ও সহ-প্রযোজনা করেছেন। ছবিতে রয়েছেন রুচা বৈদ্য, সুবোধ ভাভে, কিশোর কাদম, রাজিত কাপুরসহ আরও অনেকে।
আলিয়া ভাটের আপডেট: ‘জী লে জারা’ চলচ্চিত্র
এছাড়াও, আলিয়া ভাট ‘জী লে জারা’ নামক চলচ্চিত্রটির জন্য একটি বড় আপডেট প্রকাশ করেছেন, যেখানে প্রিয়াঙ্কা চোপড়া এবং ক্যাটরিনা কাইফ মুখ্য ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি নিশ্চিত করেছেন যে, এই সিনেমাটি বাতিল করা হয়নি; বরং “সবাই চাইছেন সিনেমাটি সফলভাবে মুক্তি পাক”।
প্রিয়াঙ্কার এই সফর শুধুই একটি চলচ্চিত্র মুক্তির নিরবচ্ছিন্ন উন্মুক্তির পাশাপাশি আমরা দেখতে পাচ্ছি, এটি নতুন ধারণা ও কাহিনীর বিকাশের সাক্ষী হয়ে ওঠছে। এটি আমাদের মনে করিয়ে দেয়, আধুনিক বলিউডের ছবিগুলি শুধুমাত্র বিনোদন নয়; বরং সমাজের পরিবর্তন ও সচেতনতার গুরুত্বপূর্ণ মাধ্যমও। প্রিয়াঙ্কার জীবন ও কর্মসূচি যেন আমাদের বলেন, যে একজন অভিনেত্রী হিসেবে তার সম্মাননা ও দায়িত্ব সবসময় এভাবেই জিইয়ে রাখতে হয়।