বলিউডের প্রাসঙ্গিকতার চূড়ায় আজয় দেবগণ তার প্রাঞ্জল মজার কাণ্ডকারখানার কথা শেয়ার করেছেন, যে ঘটনায় বিচ্ছেদ পর্যন্ত গড়িয়েছে। এক সময়ের আক্রমণাত্মক প্রাঙ্কগুলো এখন সমাজে অস্বস্তি তৈরি করে, যেখানে সাবধানতার প্রয়োজন। এই সবকিছুই প্রমাণ করে যে, চলচ্চিত্রের পেছনের সম্পর্ক ও অভিনয়শিল্পীদের প্রভাব আমাদের চিন্তাভাবনায় নতুন দিগন্ত খুলে দিয়েছে। এছাড়া, আজয়ের নতুন সিনেমা ‘সিঙ্গম এগেইন’ যেন একই পুরানো কাহিনীর পুনরাবৃত্তি, এটি দর্শকদের রুচির পরিবর্তনের আলোকে এক নতুন প্রশ্ন তোলে।
যেখানে কৌতুকের সীমা ছাড়িয়ে যায়: অভিযোগ ও হাসির ফাঁদে জড়ানো বলিউড
বলিউডের অন্যতম প্রধান কৌতুকব্যক্তিত্ব অজয় দেবগন সম্প্রতি ইউটিউবার রনভীর আল্লাহবাদিয়ার সাথে আলোচনায় তার কিছু ইতিহাসের কৌতুকের কথা শেয়ার করেছেন। অজয় স্বীকার করেছেন, তাঁর কিছু উন্মাদ কৌতুক এতটাই তীব্র ছিল যে “বিভাজনের” কারণও হয়েছে।
এই সাক্ষাৎকারের একটি পেছনের দৃশ্যে দেখা গেছে, অজয় একটি চলচ্চিত্রের সেটে একটি ক্যামেরাম্যানকে কৌতুক করছেন। এই কথোপকথনে জড়িয়ে পড়া পরিচালক রোহিত শেঠি ভিডিওটি দেখে হাসলেন এবং বললেন, “এটা তো ছোট্ট একটি কৌতুক। আমরা একবার একটি মহিলা এবং শিশুদের প্রযোজনা দলের এক সদস্যের বাড়িতে পাঠিয়েছিলাম, দাবি করে যে তিনি তার প্রথম স্ত্রী। আমরা সেই স্তরে পৌঁছেছিলাম।”
অজয় দেবগনের কৌতুকের অন্ধকার দিক
অজয় তার কৌতুকের তীব্রতা স্বীকার করে বলেন, “আজকাল কৌতুকবিদরা ভাবেন, কেউ কষ্ট পাবে কিনা। সেসময় আমরা সে সম্পর্কে ভাবিনি। আমাদের কারণে এক-দুইটা বিবাহবিচ্ছেদও হয়ে গেছে।”
একটি সাম্প্রতিক সাক্ষাৎকারে অভিনেত্রী-কস্টিউম ডিজাইনার ডলি আহলুওয়ালিয়া, অজয় দেবগনের সাথে ‘ওমকারা’ ছবিতে কাজ করার স্মৃতিচারণা করেন এবং তার একটি কৌতুকের কথা শেয়ার করেন যা সেটে কিছু মানুষকে অজ্ঞান করে দেয়। তিনি বলেন, “অজয় দেবগন ছিল ওমকারার সেটের সবচেয়ে বড় কৌতুকবিদ। একবার কিছু ছেলে তাদের কৌতুকের কারণে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তারা ভাঁঙ্গা দিয়ে তৈরি একটি লাড্ডু নিয়ে এসেছিল এবং যে ব্যক্তি সেটি প্রথমবার খেয়েছিল, সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে।”
সাফল্যের শিখরে ‘সিংহাম অগ্নি’
অজয় দেবগন এবং রোহিত শেঠি বর্তমানে ‘সিংহাম অগ্নি’ এর সাফল্য উদযাপন করছে, যা ভারতীয় বক্স অফিসে ২০০ কোটি রুপি ছুঁতে চলেছে। সিনেমাটির সংক্ষিপ্ত পর্যালোচনায় SCREEN এর শুভ্রা গুপ্তা লিখেছেন, “অজয় দেবগন-রোহিত শেঠির ‘সিংহাম অগ্নি’ এতটাই একরম যে নতুন লোকেশনগুলোও কাজে আসছে না।”
অজয় দেবগন এবং এmeer খান ১৯৯৭ সালের ছবি ‘ইশক’এর সিক্যুয়েলের বিষয়ে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন; সেটে মজার মুহূর্তের কথা মনে করে বলছেন: “গরম এবং ভালবাসা।”
বাংলা সিনেমার প্রেক্ষাপটে বলিউডের অবস্থান
অজয় এবং রোহিতের মতো এমন অনেক তারকা রয়েছেন, যারা দর্শকের বিনোদন দিতে নিজেদের সীমা ছাড়িয়ে গেছেন। তবে প্রশ্ন উঠছে, কীভাবে এসব ইউটিউব সাক্ষাৎকার এবং সামাজিক মিডিয়া প্রভাব ফেলছে চলচ্চিত্রের দুনিয়ায়? এই পরিস্থিতি আমাদের জানায় যে, বক্স অফিসের প্রতিযোগিতা এবং মিডিয়া বিশ্বাসযোগ্যতা একটি মহীরুহের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ।
বলিউডের বর্তমান অবস্থান কৌতুকের প্রয়োগ এবং চিত্রনাট্যে নতুনত্বের অভাবে সংকটাপন্ন বলে মনে হচ্ছে। দর্শকরা এখনও পুরোনো গল্প এবং হাল্কা কৌতুকের অপেক্ষায় রয়েছে, কিন্তু পরিবর্তন দুর্ভাগ্যবশত ধীরগতি।