“শিল্পের রাজনীতি: ‘দ্য লিজেন্ড অফ মউলা জাট’ নিয়ে বিতর্ক, সংস্কৃতিতে শান্তির সন্ধান আনুক!”

NewZclub

“শিল্পের রাজনীতি: ‘দ্য লিজেন্ড অফ মউলা জাট’ নিয়ে বিতর্ক, সংস্কৃতিতে শান্তির সন্ধান আনুক!”

রাজ ঠাকরে ফাওয়াদ খানের ‘দ্য লিজেন্ড অফ মৌলা জল্লাত’ চলচ্চিত্রের মুক্তির বিরুদ্ধে যে হুমকি দিয়েছেন, তা নিয়ে ভারতের দিল্লির অভিনেতা ইমরান জাহিদ বিস্মিত। তিনি বলছেন, সিনেমাটি মহারাষ্ট্রে মুক্তি পাচ্ছে না, তবুও এই ধরনের বিদ্বেষমূলক হুমকি কেন? সংস্কৃতি ও শান্তির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে, আমাদের সিনেমার মাধ্যমে বিশ্বে সৌহার্দ্য ও শান্তির বার্তা প্রেরণের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

“শিল্পের রাজনীতি: ‘দ্য লিজেন্ড অফ মউলা জাট’ নিয়ে বিতর্ক, সংস্কৃতিতে শান্তির সন্ধান আনুক!”

রাজ ঠাকরের হুমকি: বলিউডের রাজনীতির এক নতুন অধ্যায়

রাজ ঠাকরে টুইট করেছেন যে, তিনি মহারাষ্ট্রে পাকিস্তানি ব্লকবাস্টার ‘দি লিজেন্ড অফ মৌলা জাট’ মুক্তি পেতে দেবেন না। এই হুমকি একেবারেই অর্থহীন, কারণ মহারাষ্ট্রে এই অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণ এবং বিনোদনমূলক কস্টিউম ড্রামার মুক্তির ছকেই নেই।

কলকাতা থেকে দিল্লির নাট্যশিল্পী ইমরান জাহিদ-এর প্রতিক্রিয়া

দিল্লির নাট্য ও চলচ্চিত্র অভিনেতা ইমরান জাহিদ, যিনি ভারত ও পাকিস্তানের সাংস্কৃতিক সম্পর্ক পুনর্গঠনে লড়ছেন, তিনি ফিল্ম মুক্তির বিরুদ্ধে এসব হুমকি নিয়ে হতবাক। তিনি বলেন, “ভারতে ছবির ডিস্ট্রিবিউটর জি স্টুডিও স্পষ্ট বলেছেন যে, ছবি শুধু পাঞ্জাবেই মুক্তি পাবে, তাহলে এই ‘মুখ টোড় দেব, আয়নাটা ভেঙে দেব’ কী?”

শান্তির জন্য বরাবরই নতুন করে ভাবার সময়

ইমরানের মতে, শান্তির সুযোগ দেওয়া উচিত। “এই সব হুমকি এবং বুলিংয়ের কৌশল আমাদের শান্তি থেকে দূরে নিয়ে যাচ্ছে। শিল্প ও সংস্কৃতি সব সময় রাজনৈতিক দ্বন্দ্বের উপরে থাকা উচিত। মৌলা জাটের মতো একটি চমৎকার চলচ্চিত্র থেকে আমাদের দেশকে বঞ্চিত করার মাধ্যমে, আপনি কি বিশ্বের বাকি অংশের কাছে কী বার্তা দিচ্ছেন?”

বলিউড এবং পাকিস্তানি চলচ্চিত্র: একটি নতুন চ্যালেঞ্জ

যদিও রাজ ঠাকরে প্রভাবশালী নেতা, পাকিস্তানি চলচ্চিত্র ‘দি লিজেন্ড অফ মৌলা জাট’-এর মুক্তিতে তার হুমকি কেমন করে চলচ্চিত্র শিল্পে পারস্পরিক সম্পর্ককে প্রভাবিত করবে, সেটাই এখন বড় প্রশ্ন।

সামাজিক প্রভাব এবং মিডিয়া প্রতিনিধিত্ব

বর্তমান চলচ্চিত্রের প্রবণতা বলছে, সমাজে পরিবর্তন আনতে পারে এমন অনেক সিনেমা মুক্তি পাচ্ছে। তবে, এই ধরনের হুমকির ফলে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন ও বিনোদন জগতের প্রতি মানুষের আগ্রহে কি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে? সমাজের মনে এবং সংস্কৃতির স্তরে এইসব বিতর্ক সিনেমার শিল্পকে চ্যালেঞ্জ করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

পরিশেষে, একটি শিল্পী হিসাবে আমাদের দায়িত্ব

সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রের এই শৃঙ্খলিত পরিস্থিতি নিয়ে ভাবার সময় এসেছে। রাজনীতির কারণে শিল্পের পর্যবেক্ষণ ঘটানো উচিত নয়। ‘দি লিজেন্ড অফ মৌলা জাট’-এর মতো সিনেমা মানুষকে বিনোদন দেওয়ার পাশাপাশি দুটি দেশের সম্পর্কের ম싖্কন্ড রেখাকে কিছুটা নাড়িয়ে দেবে।

মন্তব্য করুন