মহার্ঘ চলচ্চিত্র নির্মাতা পঙ্কজ কুমার পূর্বের চিত্রীকরণের সাফল্যে নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে চলেছেন ‘কনিয়াক’ পরিচালনার মাধ্যমে, যা উপজাতীয় পটভূমিতে একটি অভিযানী drama। এটি চিহ্নিত হচ্ছে ২০২৪ সালের NFDC Screenwriters Lab-এ নির্বাচনের মাধ্যমে। এই সিনেমা শুধু একটি অ্যাকশন সিনেমা নয়, বরং একটি গভীর গল্প যা বিশ্বাসঘাতকতা ও সহিষ্ণুতার থিমগুলির উপর ভিত্তি করে নির্মিত। কুমার বলেন, তিনি চান সিনেমাটি বড় পর্দায় জীবন্ত হয়ে উঠুক, যেখানে প্রতিটি ফ্রেম একটি গল্প বলে। সমাজের অধিকার এবং ঐতিহ্য সংরক্ষণে এই ধরনের চলচ্চিত্রের গুরুত্ব ব্যাপক, বিশেষ করে যখন এটি আদিবাসীদের ইতিহাসকে তুলে ধরে।
ভারতের উত্তরপূর্বের সংস্কৃতির রঙে রাঙা: পঙ্কজ কুমার এবং তাঁর প্রথম পরিচালিত সিনেমা ‘কোন্যাক’
প্রখ্যাত চিত্রগ্রাহক পঙ্কজ কুমার, যিনি ‘তুম্বাড’ এবং ‘শিপ অফ দ্য থিসিয়াস’ এর মতো visually stunning চলচ্চিত্রের জন্য পরিচিত, পরিচালক হিসেবে তাঁর প্রথম সিনেমা ‘কোন্যাক’ নিয়ে আসছেন। এই সিনেমাটি উত্তরপূর্ব ভারতে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দৃশ্যে আবিস্কৃত উপজাতীয় অ্যাকশন নাটক হিসেবে গড়ে উঠেছে। 2024 সালের NFDC স্ক্রিনরাইটার্স ল্যাবে নির্বাচিত হওয়া, এই প্রকল্পটি কুমারের পরিচালনায় এক গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা।
ঐতিহ্যের মধ্যে একটি কাহিনী
‘কোন্যাক’ চলচ্চিত্রটি থুংপাং নামের এক যুবযোদ্ধার যাত্রাকে অনুসরণ করে, যাকে মাথা কাটার উপজাতির মধ্যে এক মারাত্মক সংঘাতের মধ্য দিয়ে যেতে হয়। ভবিষ্যদ্বাণীমূলক দৃষ্টিভঙ্গি দ্বারা পরিচালিত, সে বিশ্বাসঘাতকতা এবং সম্মানের মুখোমুখি হয়, যেখানে তার পূর্বপ্রান্ত সঙ্গী সাংবা হয়ে ওঠে শত্রু। উদ্ভাবক উদ্ভব ঘোষের লেখা এই চলচ্চিত্রটি পরিচয়, স্থায়িত্ব এবং ঐতিহ্যের থিমগুলি নিয়ে কথা বলে।
গল্পের পেছনের ভাবনা
গণমাধ্যমে প্রচারিত প্রতিবেদনে, ঘোষ বলেছেন, “আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি সব সময় স্পষ্ট ছিল – একটি অ্যাকশন মহাকাব্য তৈরি করা যা বাস্তব এবং অশোধিত। পঙ্কজ কুমার পরিচালক হিসেবে যোগ দেওয়ার পর, তাঁর দৃশ্যশিল্প এই চলচ্চিত্রকে একটি সিকোয়েন্সের সাফল্য এনে দেবে।”
কোন্যাক পরিচালনা নিয়ে পঙ্কজ কুমারের মন্তব্য
পঙ্কজ কুমার, যিনি বেশ কয়েকটি ব্লকবাস্টার সিনেমায় কাজ করেছেন, বলেছেন, “কোন্যাক সিনেমাটি এমন একটি অভিজ্ঞতা সৃষ্টি করবে যা দর্শকদের বন্দী করবে, যেখানে প্রতিটি ফ্রেম একটি কাহিনী বলবে।” চলচ্চিত্রটি কন্যাক নাগা এবং হিন্দি ভাষায় শ্যুট করা হবে এবং এটি কুমারের নতুন প্রতিষ্ঠিত জিবুম স্টুডিওর একটি আবেগের প্রকল্প।
উপাত্ত এবং সৃজনশীলতার সান্নিধ্যে নির্মাণ
এই প্রকল্পটির জন্য স্ক্রিপ্ট সম্পাদক ক্লায়ার ডোবিনের পরামর্শ পাওয়া গিয়েছে। তিনি বলেছেন, “এটি একটি অ্যাকশন সিনেমার চেয়ে অনেক বেশি। এটি বিশ্বাসঘাতকতা, সাহস এবং স্থায়ীত্বের একটি আকর্ষণীয় গল্প।”
ভারতীয় চলচ্চিত্রের ইতিহাস: কথাসাহিত্য পরিবর্তনের এক নতুন গতিপথ
আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব রটারডাম এর প্রধান মার্টেন রাবার্টস ছবি সম্পর্কে বলেন, “এটি আদিবাসী কাহিনীগুলির উপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করছে এবং সেই সমস্ত গল্পগুলি অন্বেষণ করছে যা দীর্ঘকাল ধরে ছায়ায় রয়ে গিয়েছে।”
বদ্ধতা বনাম উদারতা: বলিউডের বর্তমান চিত্র
এই নতুন প্রকল্প বলিউডের বর্তমান পরিবর্তনের মধ্যে একটি উদাহরণ হয়ে উঠতে পারে, যেখানে চলচ্চিত্রের গল্প উপস্থাপনার ক্ষেত্রে মৌলিকতা এবং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের প্রতিষ্ঠা নিয়ে চিন্তাভাবনা বাড়ানো হচ্ছে। চলচ্চিত্র নির্মাতারা এখন স্থানীয় অভিজ্ঞতা এবং পরিচিতির মধ্যে গভীরতা খোঁজার চেষ্টা করছেন।
শেষ কথা: ‘কোন্যাক’ কি আগামীর বলিউডের নতুন পথপ্রদর্শক হবে?
আজকের বলিউডে এমন চলচ্চিত্রের প্রয়োজন, যা আপনাকে চিন্তা করতে বাধ্য করবে এবং সংস্কৃতি ও ইতিহাসে immersion তৈরি করবে। পঙ্কজ কুমারের ‘কোন্যাক’ কি সেই প্রত্যাশা পূরণ করবে? তা জানা যাবে সিনেমার মুক্তির মাধ্যমে।