এখন বলিউডে পরিস্থিতি বেশ নাটকীয়। জনপ্রিয় পরিচালক আজানীজ বাজমীর পুরনো চলচ্চিত্র ‘নাম’ মুক্তি পাচ্ছে এমন সময়, যখন তাঁর ‘ভুল ভূলইয়্যা ৩’ সর্বত্র আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। অথচ দুই দশক পরে ফিরে আসা এই ছবি শিল্পী ও দর্শকদের প্রতি অশ্রদ্ধার মতো। বাজমী বলেন, “দর্শক আজ পরিপক্ক, তারা শোষিত হতে দেবেন না,” সমাজ ও সিনেমার মধ্যে সেতুবন্ধন তুলে ধরে দর্শকদের সচেতনতার দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
অতীতের ধুলো ঝেড়ে নতুন প্রজন্মের জন্য ‘নাম’
বলিউডের প্রবীণ নির্মাতা আনি বাযমী বর্তমানে খুব আলোচনায়। তাঁর চলচ্চিত্র ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ সুপারহিট হওয়ার পর তাঁর যুক্তি মুল্য অনেক বেড়ে গেছে। এই প্রেক্ষিতে, পূর্বে স্থগিত একটি পুরানো চলচ্চিত্র ‘নাম’ হঠাৎ প্রকাশিত হওয়াটি খুব অস্বাভাবিক নয়। তবে, কাল্পনিকভাবে নিদ্রিত একটি পুরানো প্রজেক্ট খুঁজে বের করে, দুই দশক পর তা মুক্তি দেওয়ায় সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অবিচার হচ্ছে।
অর্থনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আনি বাযমীর মন্তব্য
তবে, আনি এই নেগেটিভ দৃষ্টিকোণ থেকে ‘নাম’ মুক্তি দেননি। তিনি বলেন, “আমি কী করব, যদি প্রযোজকরা এমন একটি পুরানো প্রজেক্ট প্রকাশ করার সিদ্ধান্ত নেন যা আমি ভুলে গেছি? ২০০৪ সালে আমি এটি বানিয়েছিলাম অজয় দেবগন, ভুমিকা চাওলা এবং সমীরা রেডির সাথে। এখন ২০২৪, সবাই সামনে এগিয়ে গিয়েছে। তাই এটি কেবল আমার জন্যই নয়, বরং সকলের জন্যই অবিচার।”
অভিনেতাদের প্রতিক্রিয়া এবং সংলাপ
আনি কি অজয় সহ অন্যান্য অভিনেতাদের সাথে এ বিষয়ে কথা বলেছেন? “না, আমি কথা বলিনি। আমি এর প্রয়োজন মনে করি না। অজয়ও এটি নিয়ে ভাবেননি, যখন প্রযোজকরা এটি হঠাৎ করে বাজারে এনেছেন… এটা ঠিক আছে। যদি তাদের একটু লাভ হয়, আমি এতে ঠিক আছি। তবে আমি শুধু আশা করি তারা এটিকে নতুন পণ্য হিসেবে উপস্থাপন করার চেষ্টা করছে না। আজকের দর্শক খুব হুঁশিয়ার, তাদের বোকা বানানো যাবে না।”
নতুন সিনেমার মুক্তির তারিখ এবং প্রতিযোগিতা
‘নাম’ ২২ নভেম্বর মুক্তি পাবে অভিষেক বচ্চন এবং শূজিত সরকার পরিচালিত ‘আই ওয়ান্ট টু টক’-এর সাথে। এই মুক্তির মাধ্যমে বোঝা যাচ্ছে যে বলিউডের দর্শক ও চলচ্চিত্র প্রেমীদের জন্য নতুন ছন্দ অপেক্ষা করছে। তবে প্রশ্ন উঠছে, নতুন ভূমিকায় সিনেমার বিষয়বস্তু এবং দর্শকের অনুভূতি কিভাবে বদলে যাবে?
বর্তমান সিনেমার দুনিয়া: বাস্তবতা এবং নতুন ধারণা
এই পরিস্থিতি আমাদের চলচ্চিত্র শিল্পের গতিবিধি নিয়ে চিন্তিত করে। আমরা কি আগের মতো পুরানো বলিউডের রোমান্টিসিজম খুঁজে পাচ্ছি, নাকি নতুন কিছু বিষয় আমাদের সামনে আসছে? আমরা দেখতে পাব কি ক্রিয়েটিভিটির নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়, কিংবা একাধিক টেনশন-ভরা পটভূমি নতুন দর্শক প্রজন্মের জন্য? চলচ্চিত্রের ব্যাখ্যা, সমাজের অবস্থা এবং নতুন গল্পের কাহিনির পরিবর্তন হলো সিনেমার নতুন মাপকাঠি।