তিন বছর পর আবার আলোচনায় নুশরাত বারুচ্চা, কারণ তিনি তার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র ‘ছুরি’ এর সিক্যুয়েল ‘ছুরি ২’ এর একটি ঝলক শেয়ার করেছেন। প্রথম চলচ্চিত্রটির নিবন্ধন দর্শক মহলে অত্যন্ত সফল ছিল। এই সিক্যুয়েলে তার অভিনয় নিয়ে উন্মাদনা বেড়ে গেছে, যা প্রমাণ করছে দর্শকদের মধ্যে ভৌতিক গল্পের প্রতি আগ্রহ অব্যাহত রয়েছে। কিন্তু কি আসছে এই পরিবর্তনের পথে, তা নিয়ে প্রশ্ন রাখা জরুরি।
ছবির পর্দায় ভৌতিক ইমেজের পুনর্জাগরণ: চুরী ২ এর আনুষ্ঠানিক পরিচয়
কয়েক বছরে পর দর্শকদের মনে খানিক ভুতুড়ে অনুভূতি জাগিয়েছে ‘ছুরি’। অভিনেত্রী নুশরত ভারুচ্চার অভিনীত এই সিনেমাটি মুক্তির পর থেকেই দর্শকেরা এর সিক্যুয়েলের জন্য উন্মুখ হয়ে ছিলেন। গত তিন বছর ধরে এটি স্রোত ধরে আছে এবং সম্প্রতি নুশরত সামাজিক মাধ্যমে ‘ছুরি ২’ এর কিছু ঝলক প্রকাশ করে সবাইকে চমকে দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, “ছুরি মুক্তির তিন বছর উদযাপন করছি, সঙ্গে একটি ছোট sneak peek ‘ছুরি ২’ এর।”
নতুন দিগন্তে নুশরত: সেক্যুয়েলের গোপনীয়তা
নুশরত দ্বারা জনপ্রিয় এই ভৌতিক সিনেমার প্রথম পর্বটি দর্শকদের প্রশংসা লাভ করেছে। তাতে তাঁর অভিনয় কৌশল এবং চরিত্রের গভীরতাকে নিয়ে আলোচনা হয়েছে। সেক্রেটের নতুন দিগন্ত উন্মোচন হওয়ার সাথে সাথে দর্শকেরা একবার আবার নুশরতকে দেখার আশা করছেন। ‘ছুরি ২’ এ আরো একটি শক্তিশালী অভিনেতাদের দলের সম্ভাবনা রয়েছে, যা ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমান গতিপ্রকৃতির পরিবর্তনের এক উজ্জ্বল নিদর্শন।
বাংলা সিনেমাতে হরর ধারার প্রভাব
প্রথম সিনেমাটি ছিল মারাঠি সিনেমা ‘লাপাচাপি’র অফিসিয়াল রিমেক, যেটি ২০১৬ সালে মুক্তি পায়। বাংলাদেশের দর্শকরা এর ভৌতিক উপাদানে আকৃষ্ট হয়েছে। এর সামাজিক প্রভাব নিয়েও আলোচনা চলছে, বিশেষ করে আজকালকার দর্শকদের মানসিকতার পরিবর্তনকে লক্ষ্য রেখে। ‘ছুরি ২’ আশা করা হচ্ছে পর্দায় পণ্য বিরোধিতার পাশাপাশি কিছু নতুন গল্পের উপাদান নিয়ে আসবে।
নতুন ট্রেন্ডের দিকে চোখ রাখা
ভৌতিক সিনেমার প্রতি বর্তমানে দর্শকদের আগ্রহ খানিকটা বৃদ্ধি পেয়েছে। দর্শকেরা বিশদ, আবেগময় এবং মানসিক চাপের গল্প অনুসন্ধান করছে। ‘ছুরি ২’ এর প্রক্ষেপণ সেই আকাঙ্ক্ষার সুর সামলানোর ক্ষমতা রাখে বলে মনে হচ্ছে। ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই পরিবর্তনশীল চিত্রে কি সভাপরতভাবে নুশরতের প্রসঙ্গ তুলে ধরবে?
উপসংহার: ভৌতিকতার বিতর্ক ও পরিচালক কর্তৃক বাস্তবতা
ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির বর্তমানের ভূতের ট্রেন্ডে ‘ছুরি ২’ এর মতো সিনেমাগুলো সামাজিক ও সাংস্কৃতিক অঙ্গনে একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান অক্ষুণ্ন রেখেছে। পরিচালক বিষাল ফুরিয়ার নির্দেশনায় দর্শকদের প্রত্যাশা থাকবে নতুন এক ভৌতিক অভিজ্ঞতার। তাই, আবেদন এবং আলোচনায় যেন এই নতুন চলচ্চিত্রটি একটি নতুন যুগের সূচনা করে।