“বিনোদনের পটে নষ্টালজিয়া: ঐশ্বর্যের পর্দায় বিরুদ্ধতার সুর তোলেন উর্মিলা, সংসারের গল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

NewZclub

“বিনোদনের পটে নষ্টালজিয়া: ঐশ্বর্যের পর্দায় বিরুদ্ধতার সুর তোলেন উর্মিলা, সংসারের গল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

বলিউড অভিনেত্রী Urmila Matondkar তার ব্যবসায়ী স্বামী Mohsin Akhtar Mir-এর সঙ্গে আট বছরের বিবাহিত জীবন শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মুম্বাইয়ের আদালতে ডিভোর্সের জন্য অভিযোগ দায়ের করেছেন। যদিও বিচ্ছেদের কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে এটি বহু নাগরিক সম্পর্কের মতো প্রভাব ফেলছে, যা সমাজে অভিনেত্রীদের বাস্তবতা ও প্রত্যাশার প্রতি নতুন দৃষ্টিভঙ্গি তুলে ধরছে। Urmila রাজনৈতিক কর্মক্ষেত্রেও প্রবেশ করেছেন, যে পরিবর্তনগুলি অভিনেত্রীদের জীবনে একটি নতুন অধ্যায় সূচনা করেছে।

“বিনোদনের পটে নষ্টালজিয়া: ঐশ্বর্যের পর্দায় বিরুদ্ধতার সুর তোলেন উর্মিলা, সংসারের গল্পে নতুন অধ্যায়ের সূচনা”

বঙ্গের বাণিজ্যিক নাটক: উর্মিলা ও মোহসিনের বিচ্ছেদ

বলিউডের প্রিয়াঙ্কা উর্মিলা মাতন্দকার তার ব্যবসায়ী স্বামী মোহসিন আখতার মীরের সঙ্গে আট বছরের বিবাহিত জীবনের ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। সম্প্রতি মুম্বাইয়ের আদালতে তার বিচ্ছেদের জন্য আবেদন করেছেন ৫০ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী। বিচ্ছেদের পিছনের নির্দিষ্ট কারণ যদিও প্রকাশ করা হয়নি, তবে সূত্রগুলি বলছে যে, এই সিদ্ধান্ত দুইপক্ষের সম্মতিতে হয়নি।

হিন্দুস্তান টাইমসে প্রকাশিত এক রিপোর্টে বলা হয়েছে, “বিবেচনা করার পর উর্মিলা তার বিয়ে শেষ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মোহসিনের সঙ্গে। তিনি ইতোমধ্যে আদালতে বিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। বিচ্ছেদের কারণ এখনও জানা যায়নি, তবে এটি স্বমেহনভাবে হচ্ছে না।”

প্রেমের গল্প, ব্যর্থতার চিত্র

২০১৬ সালে উর্মিলা ও মোহসিনের বিয়ে হয় একটি ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে, যা শিল্পের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা সৃষ্টি করেছিল। তাদের বয়সের ফারাক ছিল ১০ বছর, যা সবার নজর কাড়ে। তাদের বিয়ের অনুষ্ঠানে শুধুমাত্র কাছের বন্ধু ও পরিবার যোগ দেন, যারা ছিলেন ফ্যাশন ডিজাইনার মানীশ মালহোত্রা সহ।

রাজনীতির পথ ধরে

২০১৯ সালে উর্মিলা রাজনীতিতে পা রাখেন, ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসে যোগ দিয়ে। পরবর্তীতে ২০২০ সালে তিনি শিব সেনায় যোগ দেন। যদিও চলচ্চিত্রে তার শেষ উপস্থিতি ছিল ২০১৮ সালের ‘ব্ল্যাকমেইল’ ছবিতে, যেখানে তিনি ‘বেওয়াফা বিউটি’ গানটিতে ছিলেন। এমনকি তিনি একটি শিশুদের নাচের রিয়েলিটি শোতে বিচারকের পদেও দায়িত্ব পালন করেছেন।

বিচ্ছেদের প্রভাব: শিল্পের বর্তমান অবস্থার প্রতিফলন

এই বিচ্ছেদ আমাদের মনে করিয়ে দেয় যে, বলিউডের জীবন শুধুমাত্র সিনেমা নয়, বরং ব্যক্তিগত সম্পর্কের জটিলতাও। শিল্পের গতিবিধি আগের তুলনায় অনেকটা পরিবর্তন হয়েছে—কাহিণীর রূপ ও চিত্রায়ণে, এদিকে দর্শকদের স্বাদও বদলে গেছে। অভিনেতা ও অভিনেত্রীরা তাদের জীবনের অরেখায় নতুন রূপ পেতে চাইছে, কিন্তু কখনও কখনও সেই রূপ ঢাকা পড়ে যায় বিয়ের নাটকের নেপথ্যে।

উর্মিলা এবং মোহসিনের বিচ্ছেদ আমাদের সামনে প্রতিফলিত করে যে, জীবনের সত্যতা অনেক সময় সমৃদ্ধ গল্পের চেয়েও বেশি জটিল। এই ঘটনায় আরও একবার প্রমাণিত হলো যে, বলিউড শুধু ছবি নয়, এটি বাস্তবতার একটি অঙ্গীকার এবং সেখান থেকে পালাতে চাওয়া কখনো কখনো কঠিন হয়।

মন্তব্য করুন