বলিউডের নতুন সিনেমা ‘ধুরন্ধর’-এ রানবীর সিং এর বিপরীতে রোম্যান্টিক লীড হিসেবে সারা আরজুনের নাম অন্তর্ভুক্ত হওয়া একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। বয়সের ব্যবধান নিয়ে বিতর্ক থাকলেও, সারা তার কৈশোরের চরিত্র থেকে সরাসরি অন্যতম নায়িকার ভূমিকায় প্রমাণ করার সুযোগ পাচ্ছে। সিনেমাটির কাহিনী একটি ইনটেলিজেন্স মিশনের ওপর কেন্দ্রীভূত, যা সাম্প্রতিক সিনেমায় তরুণ প্রজন্মের চাহিদা ও Representation-এর পরিবর্তনকেও তুলনামূলকভাবে তুলে ধরছে।
বলিউডের শক্তিমত্তার কাণ্ড: ‘ধুরন্ধর’-এ নতুন মুখ তথা বিতর্কের জন্ম
নতুন খবরের ভিত্তিতে জানা যাচ্ছে, পরিচালক আদিত্য ধরের পরবর্তী সিনেমা ‘ধুরন্ধর’-এ মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করতে যাচ্ছেন রণবীর সিং, সঞ্জয় দত্ত, আর মাধবন, অর্জুন রামপাল এবং অক্ষয় খান্না। জুলাই মাস থেকে শুরু হওয়া এই সিনেমায় সম্প্রতি নতুন মাত্রা যোগ করেছে সারার আরজুনের যোগদান।
সারার ক্যারিয়ারের নতুন অধ্যায়
প্রতিবেদন অনুযায়ী, সারার আরজুনকে রণবীরের বিপরীতে রোম্যান্টিক লিড হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে। যদিও তার চরিত্রের বিস্তারিত এখনও গোপন, এটি তার ক্যারিয়ারের জন্য একটি উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ। শিশু চরিত্র থেকে পরিণত চরিত্রে প্রবেশের মাধ্যমে এবার সিনেমায় একজন প্রধান নায়িকার রূপে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার সুযোগ পাচ্ছেন তিনি।
চলচ্চিত্রে তারিখ, স্থান ও কাহিনী
সারার ছোটবেলার উল্লেখযোগ্য কিছু কাজের মধ্যে রয়েছে ‘দেব থিরুমাগাল’, ‘জাই হো’, কিংবা ‘সাঁদ কা আক্রমণ’। সম্প্রতি সায়েন্স ফিকশন থ্রিলার ‘পন্নিয়িন সেলভান’-এ ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের চরিত্রের ছোট সংস্করণে অভিনয় করেছেন।
বয়সের ব্যবধান এবং বিতর্ক
যদিও সারার কাস্টিং একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখা হচ্ছে, তবে রণবীর সিং এবং তার মধ্যে ২০ বছরের বয়সের ব্যবধান নিয়ে কিছু আলোচনা শুরু হয়েছে। কিছু দর্শকের জন্য এটি উদ্বেগের বিষয় হলেও, সিনেমাটির কাহিনী এবং তাদের অন-স্ক্রিন ডায়নামিক সম্পর্কে বিস্তারিত এখনও গোপন।
কাহিনীর মুখ্য দিক এবং দৃশ্যধারণ
‘ধুরন্ধর’-এর কাহিনী একটি উচ্চ-ঝুঁকির মিশনের উপর ভিত্তি করে। রণবীর সিং একটি গোয়েন্দা অফিসারের ভূমিকায় পাকিস্তানে একটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন সম্পন্ন করতে যাচ্ছেন। অন্যান্য অভিনেতারা ভারতের গোয়েন্দা সংস্থার সদস্য হিসেবে কাজ করছেন, অন্যদিকে সঞ্জয় দত্ত কথিত হয়েছে খলনায়কের ভূমিকা পালন করবেন।
পরিবর্তনশীল রাজনীতিতে চলচ্চিত্র শিল্প
জুলাই মাসে থাইল্যান্ডে শুটিং শুরু হওয়ার পর সিনেমাটির শুটিং মুম্বাই এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতেও চলবে। প্রযোজক আদিত্য ধর এবং লোকেশ ধরের নেতৃত্বে ‘বি৬২ স্টুডিওস’ এবং ‘জিও স্টুডিওস’ এর সমন্বয়ে নির্মাণ হচ্ছে এই সিনেমা, যা ২০২৫ সালের জানুয়ারির মধ্যে শেষ হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
শেষ কথা
বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সমালোচনার দৃষ্টিতে, ‘ধুরন্ধর’ প্রতীকীভাবে যুব সমাজের চাহিদা এবং চলচ্চিত্র শিল্পের বিকাশকে নির্দেশ করছে। সারার অন্তর্ভুক্তি উন্নয়নের চিহ্নতো বটেই, তবে সে সমাজে মুখ্য বিতর্কও সৃষ্টি করতে পারে। চলচ্চিত্রে অভিনেতাদের শিশু থেকে পরিণত হয়তে হবে, একথা চলচ্চিত্রশিল্পে বৈষম্যের দিককেও ফুটিয়ে তোলে। সময়ের সাথে সাথে সিনেমার কাহিনী এবং দর্শকদের চাহিদা পাল্টে যাচ্ছে, এবং সেটা প্রতিফলিত হচ্ছে ‘ধুরন্ধর’-এ।