নতুন বলিউড সিনেমা ‘সিকান্দরের মু্কদ্দর’ নেটফ্লিক্সে আসছে অ্যানিমেটেড দুঃসাহসিকতা ও শতাব্দীর ডাকাতির গল্প নিয়ে। পরিচালক নীরজ পান্ডে ও প্রযোজক শীতল ভাটিয়ার যৌথ প্রচেষ্টা, যেখানে অভিনয় করছেন আবিনাশ তিওয়ারি, দর্শকদের জন্য নতুন গল্পের সন্ধান। তাঁদের যে সার্বজনীন আকর্ষণ এবং অভিনয়ের গভীরতা সমাজে ইতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, তা স্পষ্ট।
বলিউডের গতিপ্রকৃতি: পান্ডে-ভাটিয়ার নতুন সিনেমা এবং দর্শকের আগ্রহ
হালের বহুল আলোচিত চলচ্চিত্র নির্মাতা নীরাজ পান্ডে এবং প্রযোজক শীতল ভাটিয়ার “এউরণ মেইন কাহান ডুম থা” সম্প্রতি প্রাইম ভিডিওতে স্ট্রিমিং শুরু করেছে। এতে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন অজয় দেবগন এবং তাবু। তবে দর্শকদের জন্য অপেক্ষার সুযোগ খুব কম, কারণ খুব শীঘ্রই তারা নেটফ্লিক্সের জন্য নতুন ছবি “সিকন্দর কা মুকদ্দর” নিয়ে আসছেন, যেখানে কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করবেন অভিনাশ তিওয়ারি।
নতুন ছবির সাফল্যের সম্ভাবনা
ছবিটির বিষয়ে কিছু তথ্য শেয়ার করতে গিয়ে ভাটিয়া বললেন, “এটি খুব ভাল শুরু হয়েছে। আসলে, আমি গতরাতে ছবিটি দেখেছি। আমি এর মুক্তির জন্য খুব উত্তেজিত। এটি আগামী কয়েক মাসের মধ্যেই মুক্তি পাবে। আমি আশা করছি আপনারা সবাই এটি উপভোগ করবেন।” নেটফ্লিক্স ছবিটিকে “একটি বৈশ্বিক অভিযাত্রা এবং শতাব্দীর ডাকাতির গল্প!” হিসেবে বর্ণনা করেছে।
অভিনাশ তিওয়ারি ও নতুন বিষয়ের আবেদন
“সিকন্দর কা মুকদ্দর” ছবিটা পান্ডে এবং ভাটিয়ার অভিজ্ঞান অভিনাশের সাথে দ্বিতীয় সহযোগিতা। এর আগে তাদের “খাকী: দ্য বিহার চেপ্টার” ওয়েব সিরিজটি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়েছে। ভাটিয়া বলেন, “অভিনাশ একজন চমৎকার অভিনেতা। নীরাজ যখন এই ছবির চিত্রনাট্য লিখছিলেন, তখন তিনি চিন্তা করেছিলেন যে অভিনাশ চরিত্রটির জন্য উপযুক্ত।”
গল্পের পিছনে দর্শন
ভাটিয়া এবং পান্ডে তাদের কাজের সূচনা করেছিলেন আইকনিক ছবি “এ ওয়েডনেসডে” থেকে。 তখন থেকে তারা বিভিন্ন বিষয়ে অনেক চলচ্চিত্র এবং ওয়েব শো তৈরি করেছেন। বিষয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ভাটিয়া বলেন, “আমরা গল্পকার। আমাদের কাজ হল – আমরা সবসময় গল্প খুঁজছে। যা কিছু উত্তেজনাপূর্ণ তা আমাদের কাছে আসলে, আমরা তা সমর্থন করি।”
অভিনাশ নিজের প্রতিভা প্রমাণ করছেন
এদিকে, অভিনাশ তিওয়ারি সম্প্রতি তার প্রথম ছবি “লাইলা মজনু”-এর সফল পুনরায় মুক্তি পেয়েছে। সাজিদ আলীর পরিচালনা করা এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করেছেন তৃতীDimri।
আজকের বলিউডের গতিপ্রকৃতি, নতুন মুখগুলির উত্থান, এবং পুরনো কাহিনীকে নতুনভাবে বলা – এগুলি সমস্তই এই শিল্পের ইতিহাসের মনে করিয়ে দেয়। বর্তমান সময়ে আমাদের বদলে যাওয়া সিনেমা, গল্প বলার ধরন, এবং দর্শকদের পছন্দের পরিবর্তনশীলতা সত্যিই নজরকাড়া।
সার্বিকভাবেই একটা নতুন সূচনা
এখন টেনশনের উপর চলছে বলিউড সিনেমার প্রসঙ্গ, যেখানে প্রতিটি নতুন চলচ্চিত্র একটি আশা এবং একটি নতুন অনুভূতির ধারক। পরিচালক এবং প্রযোজকরা একসঙ্গে মিলিত হলে, তারা কিছু নতুন এবং উত্তেজনাপূর্ণ উপহার দেয়। “সিকন্দর কা মুকদ্দর” সেই ঝাক্কা হতে চলেছে। আমাদের সকলের উচিত এই পরিবর্তনগুলির প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং সত্যিই দেখার জন্য অপেক্ষা করা।