বর্তমান বলিউডে নতুন যুগের সূচনা হতে যাচ্ছে। মুরাদ খেতানির Cine 1 Studios-এর CEO পদে নিয়োগ পেয়েছেন আকাংশা মালহোত্রা, যিনি “ভুল ভুলাইয়া 2” এর মতো ব্লকবাস্টারে কাজ করেছেন। তার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতা চলচ্চিত্র শিল্পের গতিধারা বদলে দিতে প্রস্তুত, যা দর্শকদের জন্য নতুন চমক নিয়ে আসবে।
বাংলা সিনেমা শিল্পের নতুন অধ্যায়: কি বদল আনতে চলেছে আকাঙ্খা মালহোত্রা?
প্রযোজক মুরাদ খেতানি, যিনি ‘কবির সিং’, ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ এবং ‘অ্যানিমাল’-এর মতো কিছু বৃহত্তম বক্স অফিস হিট উপহার দিয়েছেন, তিনি নতুনভাবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন। তিনি সিনে ১ স্টুডিওস প্রাইভেট লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) হিসেবে আকাঙ্খা মালহোত্রাকে নিয়োগ দিয়েছেন।
আকাঙ্খার অভিজ্ঞতা দুর্দান্ত
আকাঙ্খার সিনেমা শিল্পের মধ্যে ১৪ বছরের অভিজ্ঞতা রয়েছে। ঘটনাক্রমে, তিনি ‘ভুল ভুলাইয়া ২’ ছবিতে সিনে ১ স্টুডিওর সঙ্গে কাজ করেছেন। ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত তিনি বলিউড তারকা শহিদ কাপুরের এজেন্ট ছিলেন এবং ‘পদ্মাবত’, ‘কবির সিং’, ‘উড়তা পাঞ্জাব’-এর মতো প্রকল্পগুলোর জন্য কাজ করেছেন। সিনে ১-এর সিইও হিসেবে যোগ দেওয়ার আগে আকাঙ্খা YRF ট্যালেন্টে চলচ্চিত্রের কৌশল সম্পর্কে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
মুরাদের উত্তেজনা ও ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতি
অ্যাকাঙ্খাকে স্বাগত জানাতে গিয়ে মুরাদ বলেন, “ছবি তৈরির প্রক্রিয়া একটি গতিশীল প্রক্রিয়া এবং সিনে ১ স্টুডিও গত কয়েক বছর ধরে দর্শকের জন্য একটি পূর্ণাঙ্গ থিয়েট্রিক্যাল অভিজ্ঞতা দেওয়ার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছে। আমরা আকাঙ্খা মালহোত্রাকে সিইও হিসেবে স্বাগত জানাতে পেরে রোমাঞ্চিত এবং বিশ্বাস করি তাঁর দক্ষতা আমাদের উদ্দেশ্য ও ভবিষ্যতের জন্য মূল্যবান হবে।”
আসছে জনপ্রিয় চলচ্চিত্রগুলি
সিনে ১ স্টুডিওর আসন্ন মুক্তির মধ্যে রয়েছে কার্তিক আরিয়ান ও বিদ্যা বালানের ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’, যা এই দীপাবলীতে মুক্তি পাবে, এবং বরুণ ধওয়ান অভিনীত ‘বেবি জন’, যা ডিসেম্বরে সিনেমায় আসবে।
নতুন নেতৃত্বের চ্যালেঞ্জ
বিনোদন শিল্পে আকাঙ্খার নতুন ভূমিকা নতুন ভাবনা, নতুন চলচ্চিত্র নীতির সমন্বয়ে আসতে পারে। তাঁর আগ্রহে শিল্পে পরিবর্তনের আভাস রয়েছে। তিনি যে বিপর্যয়ের মধ্যে দিয়ে সিনেমা শিল্প চলছে, সেই প্রসঙ্গে চিন্তা-ভাবনা শুরু করার জন্য সঠিক সময় নির্দেশ করে। বর্তমানে দর্শকদের রুচির পরিবর্তন এবং বিনোদনের নানাবিধ দিকনির্দেশনার দিকে নজর রাখতে হবে।
আমাদের সমাজ ও সংস্কৃতির ওপর দাগ
শুধুমাত্র বিনোদন নয়, চলচ্চিত্র আমাদের সমাজের মানসিকতা ও সংস্কৃতির ওপর গভীর প্রভাব ফেলে। চলচ্চিত্রের বিষয়বস্তু, কাহিনীর বাঁক এবং চরিত্রগুলোর ভূমিকা আমাদের সমাজের চিত্রপটকে তুলে ধরে। আকাঙ্খার নতুন পদে আসা বাইরের দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে আসতে পারে, যা আগামী দিনের সিনেমাকে নতুন দিগন্তে নিয়ে যেতে সাহায্য করবে।
ভবিষ্যৎ কি আনতে চলেছে?
সুতরাং, যখন সিনেমা শিল্পের এক নতুন অধ্যায় শুরু হতে চলেছে, দর্শকরাও আশা করতে পারে সমৃদ্ধ, বিভিন্ন ধরনের কাহিনীর ও চরিত্রের সঙ্গে বড় পর্দায়। আকাঙ্খার নেতৃত্বের মধ্যে সিনেমার ভুলের সমাধান এবং সমাজের আয়নায় দাঁড়িয়ে আসল সত্যকে তুলে ধরার সুযোগ রয়েছে। সুতরাং, প্রশ্ন উঠছে, ভারতের সিনেমার বদল আনতে তিনি কি সক্ষম হবেন?