আধুনিক বলিউডের গতিপথে আমির খান সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার শেষ দশ বছরের ক্যারিয়ারকে অত্যন্ত ফলপ্রসূ করে তোলার। এটি তার পরিবার এবং শিল্পে নবীন প্রতিভাদের সমর্থনের মিশ্রণে, যেখানে তিনি ছয়টি নতুন প্রকল্পে নিজেকে যুক্ত করতে চলেছেন। করোনার সময় তিনি অভিনয় উপশমের চিন্তা করলেও, এখন জীবনচক্রের অনিশ্চয়তা তাকে সৃষ্টিশীলতার প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ করেছে। আমিরের কথায়, “আমরা কাল মারা যাবো,” তাই প্রতিভা বিকাশের জন্য এই সময়টাকে কাজে লাগাতে চায়।
বন্দিত সৃষ্টির সম্ভাব্য অবসান: আমির খানের মতো মহাতারকার স্বপ্ন ও বাস্তবতা
করোনাকালে অভিনয় এবং বলিউডকে বিদায় জানানোর কথা ভাবছিলেন আমির খান। কিন্তু তার পরিবার তাকে আবার এই সিদ্ধান্ত reconsider করতে রাজি করায়। ২০২২ সালের ‘লাল সিং চাড্ডা’র মৃদু প্রতিক্রিয়া পাওয়ার পর, তিনি পরিবারের দিকে মনোযোগ দিতে একটি বিরতি নেন। তবে এখন ফিরেই তিনি হাতে নিয়েছেন ছয়টি নতুন প্রকল্প। সাম্প্রতিক একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, এটাই হতে পারে তার সক্রিয় জীবনের শেষ দশ বছর, কারণ “আমরা আগামীকাল মারা যেতে পারি।”
সক্রিয় জীবনের অবসান ও নতুন প্রকল্পের নিয়ন্ত্রণ
আমির খানের জন্য এটি একটি নতুন অভিজ্ঞতা, কারণ তিনি কখনো একসঙ্গে ছয়টি প্রকল্প হাতে নেননি। তিনি যুক্তি দিয়েছেন, সময়ের এই পরিবর্তন তাকে এই সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য করেছে। তার ভাষায়, “আপনি জীবনের উপর বিশ্বাস রাখতে পারবেন না; আমরা আগামীকাল মারা যেতে পারি।” তাই আমির চান, আগামী দশ বছরে তার সৃজনশীলতা যেন তীব্র হয় এবং কার্যকর হয়।
অভিনেতার প্রতিনিধিত্ব এবং তার পরিবারের প্রভাব
তার প্রাক্তন স্ত্রী কিরণ রাও যখন তার এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ছিলেন, তখন পূর্বের উদাহরণ হিসেবে ৯৭ বছর বয়সী অভিনেতা ক্লিন্ট ইস্টউডের নাম দিয়েছেন, যিনি এখনও সক্রিয়। আমির উত্তর দেন যে ইস্টউড একটি বিশেষ পরিস্থিতি, যিনি নয়ের দশকে থাকতে পারেন এবং মানসিকভাবে তীক্ষ্ণ রয়েছেন।
সমর্থন ও সুযোগ সৃষ্টি
আমির খান আরও জানান, বয়স বাড়ার সাথে সাথে তিনি তরুণ প্রতিভাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য প্রবল আগ্রহ অনুভব করছেন, যাতে তাদের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম তৈরি করতে পারেন। তার পরিচালিত চলচ্চিত্রগুলিতে নতুন রচয়িতা এবং পরিচালকদের সুযোগ দেওয়ার কথা ভাবছেন তিনি।
অবসরের স্বপ্ন ও পরিবারের মন্তব্য
একই সাক্ষাৎকারে, খান অবসরের অভিজ্ঞতা পাওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেন। তিনি একবার তার পরিবারকে অবসর পরিকল্পনার কথা জানাতে গিয়েছিলেন, এবং রাও মন্তব্য করেন, আমিরের কন্যা মজার ছলে বলেছিলেন, “দয়া করে, বাবা, আপনি আমাদের সাথে সব সময় কাটাতে পারবেন না; তা হলে আমরা পাগল হয়ে যাব!” আমির সিটি আবেগপূর্ণ ভাবে জানিয়েছেন, অবসর নিতে গেলে বই পড়া এবং যোগব্যায়ামের প্রতি তার আগ্রহ বাড়ছে।
ভারতের সিনেমা জগতের গতিশীলতা
আমির খানের এই সিদ্ধান্তগুলো শুধুমাত্র তার ব্যক্তিগত ক্যারিয়ারের দৃষ্টিভঙ্গি নয়, বরং এটি ভারতীয় চলচ্চিত্র জগতের গতিশীলতাকেও তুলে ধরে। এভাবে, নতুন গুণী মানুষের সুযোগ সৃষ্টি এবং দীর্ঘকালীন অভিজ্ঞতার মাঝে ভারসাম্য বজায় রাখা সম্ভব হয়। আধুনিক দর্শকদের পরিবর্তনের দিকে নজর রেখে, সৃষ্টিশীলতা এবং উদ্ভাবনের বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে।
এই নতুন দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে, আমির খান বলিউডে তার নিজের স্রোতে নতুন পালার সূচনা করতে যাচ্ছেন, যা চলচ্চিত্রশিল্পের জন্য একটি ইতিবাচক পরিবর্তন আনার আশা জাগাচ্ছে।