প্রাইম ভিডিও এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের সহযোগিতায় আসন্ন ছবির ট্রেলার “অগ্নি” উন্মোচন করেছে, যা দমকলকর্মীদের বীরত্বপূর্ণ জীবন নিয়ে এক অনন্য কাহিনী। ন্যাশনাল অ্যাওয়ার্ডজয়ী পরিচালক রাহুল ধোলাকিয়া এই সিনেমায় অভিনয় করেছেন প্রতীক গান্ধী ও দিব্যেন্দু, যারা জনগণের অন্তরে দমকলকর্মীদের মনস্তাত্ত্বিক এবং শারীরিক চ্যালেঞ্জ তুলে ধরেছেন। অভিনেতা দিব্যেন্দু বলছেন, এই ফিল্ম তাদের সন্তানের আত্মত্যাগের কাহিনী, যা দর্শকদের মধ্যে বাস্তবতার প্রতিফলন ঘটাবে। আগামী ৬ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিকভাবে মুক্তি পাবে “অগ্নি”, যা সমাজে দমকলকর্মীদের অবদানের মর্যাদা বৃদ্ধিতে সাহায্য করবে।
আগুনের গল্প: যখন সেলুলয়েডের আলোতে জীবনের নায়করা উদ্ভাসিত হয়
বৃহস্পতিবার, প্রাইম ভিডিও এবং এক্সেল এন্টারটেইনমেন্টের সহযোগিতায় উন্মোচন করা হলো আসন্ন হিন্দি সিনেমা ‘আগ্নির’ আকর্ষণীয় ট্রেলার। এ সিনেমা হতে যাচ্ছে এক অভূতপূর্ব গল্প, যা প্রথমবারের মতো প্রেক্ষাগৃহে মশীগঞ্জার জীবনের প্রতিফলন ঘটাবে। ‘আগ্নি’ সিনেমাটির নির্মাতা ও লেখক, জাতীয় পুরস্কার বিজয়ী পরিচালক রাহুল ধোলকিয়া জানালেন, “আগ্নি” ছবিটি আমাদের দমকল কর্মীদের সাহসিকতা ও আত্মত্যাগের প্রতি একটি রাষ্ট্রীয় শ্রদ্ধা।
নির্মাতার ভাষ্যে ধর্ম ও জীবনের সংযোগ
রাহুল ধোলকিয়া আরও বলেন, “রাজনীতি নয়, জীবন এবং ধর্মের মাঝে দমকল কর্মীরা যে সাহস ও সত্তার সঙ্গে কাজ করেন, এটি তাঁদের জীবনের গভীরে প্রবেশের একটি প্রচেষ্টা। আগ্নি আমাদের সমাজের সেই সেলফলেস নায়িকা হিসাবে উজ্জ্বল হবে।”
নায়কের কথা: আত্মত্যাগ ও বন্দনা
অভিনেতা পৗরাণিক গম্ভীরতা নিয়ে বলেন, “আগ্নি কেবল একটি সিনেমা নয়; এটি দমকল কর্মীদের সাহসের উপলব্ধি। তাঁদের মানসিক এবং শারীরিক চ্যালেঞ্জগুলোর মধ্যে ডুব দেওয়ার এ অভিজ্ঞতা আমার জন্য একটি ট্রান্সফরমেটিভ অভিজ্ঞতা।”
দর্শকদের জন্য আশার আলো
প্রতিক গাঁধী প্রত্যাশা প্রকাশ করেছেন, “আমি আশা করছি, আগ্নি দর্শকদের জন্য একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে, যেখানে তাঁরা মানব সাহসের এবং আত্মত্যাগের গল্পগুলোকে গভীরভাবে অনুভব করবেন।”
দ্বিতীয় নায়ক: একটি ব্যক্তি এবং চরিত্রের যাত্রা
ডিভেন্দু শর্মা বলছেন, “আগ্নি ছবির মাধ্যমে একজন পুলিশ কর্মকরের চরিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে আমি আমার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অভিজ্ঞান করব।” সিনেমাটির প্রতি তাঁর আবেগ ও বিনিয়োগ নাটকীয় দৃশ্যপট হিসেবে তৈরি হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শ্রোতাদের জন্য একটি নতুন সহ্যশক্তি
এ এক নতুন অধ্যায়, যেখানে আগ্নির শ্বাসরদ্ধকর গল্প দর্শকদের সামনে উপহাসিত হবে। ৬ ডিসেম্বর প্রাইম ভিডিওতে সিনেমাটি মুক্তির জন্য অপেক্ষা করছেন দর্শকেরা, সারা বিশ্বে এটি ২৪০টিরও বেশি দেশে যাবে।
সংস্কৃতি ও সমাজের আলোচনায় এক নতুন পরিক্রমা
আগ্নির মাধ্যমে প্রত্যাশিত নতুন ধারণাটি সমাজের স্থানের পরিবর্তন ও সংস্কৃতির প্রতি এক দৃষ্টান্ত তৈরি করতে পারে। সাধারণত হলেও, চলচ্চিত্র শিল্পের দ্বারা নতুন ধারার দাবী এবং দর্শকদের মনোযোগে এই ধরনের চলচ্চিত্রের গুরুত্ব আরও বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
একটি বিষয় নিশ্চিত – আগ্নি শুধু সিনেমা নয়; এটি মাধ্যমের পরিবর্তনে একটি সূচনা, যা সমাজের নায়ক-নায়কীদের সত্যিকারের রূপকে সামনে আনবে।