নায়নথারা তার খোলামেলা চিঠিতে দানুশের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছেন, যেখানে তিনি জানান, একটি নথিপত্রের জন্য প্রয়োজনীয় অনুমোদন পাওয়ায় অসুবিধার সম্মুখীন হয়েছেন। তিনি দায়িত্বজ্ঞানহীনতার অভিযোগ করেছেন, যা শুধুমাত্র পেশাদার সম্পর্ককেই নয়, শিক্ষা, অনুভূতি এবং শিল্পের মূল্যবোধকে প্রশ্নবিদ্ধ করে। সিনেমা শিল্পের এই দ্বন্দ্ব আমাদের দেখায় যে, স্বার্থের দ্বন্দ্ব এবং ব্যক্তিগত ক্ষোভের জন্য কীভাবে নির্মাতাদের সহযোগিতা বাধাগ্রস্ত হয়। নায়নথার সাম্প্রতিক অভিজ্ঞতা চিত্রনাট্যের পরিবর্তন, শিল্পীদের সম্পর্ক এবং দর্শকদের প্রতি সিনেমার সামাজিক প্রভাব সম্পর্কে ভাবনার সুযোগ দেয়।
বলিউডে নতুন নাটক: নায়নতারা ও ধনুষের মধ্যে প্রকাশ্য চিঠির দ্বন্দ্ব
দীর্ঘদিনের একজন প্রখ্যাত অভিনেত্রী, নায়নতারা, সম্প্রতি অভিনেতা ও প্রযোজক ধনুষ ক. রাজাকে লক্ষ্য করে একটি খোলামেলা চিঠি লিখেছেন। এই চিঠিতে তিনি উলেখ করেছেন যে, তাঁর নেটফ্লিক্স ডকুমেন্টারির জন্য প্রয়োজনীয় অনুমতি পাওয়ার পথে যে প্রতিবন্ধকতাগুলোর মুখোমুখি হয়েছেন, সেগুলোকে।
নায়নতারা কটাক্ষে অভিযোগ করেন ধনুষের বিরুদ্ধে
নায়নতারা অভিযোগ করেছেন যে, ধনুষ ইচ্ছাকৃতভাবে তাঁর ডকুমেন্টারিতে যে জনপ্রিয় ছবি ‘নানুম রাওডি ধানে’র গানসহ উপাদান ব্যবহার করার জন্য প্রয়োজনীয় ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট’ (এনওসি) দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। দুই বছর ধরে অনুমতি পাওয়ার চেষ্টায় রয়েছেন তিনি, কিন্তু ধনুষের অস্বীকৃতির কারণে সাফল্য আসেনি।
আত্মবিশ্বাসের সংকটে নায়নতারা
নায়নতারা চিঠিতে তাঁর হতাশা প্রকাশ করে বলছেন, “নানুম রাওডি ধানের গানগুলো আমার জন্য অত্যন্ত ব্যক্তিগত এবং আমার ডকুমেন্টারির কাহিনীতে গুরত্বপূর্ণ। আপনার অস্বীকৃতিটি আমার হৃদয় ভেঙে দিয়েছে।”
আইনি দ্বন্দ্বের নতুন পর্ব
আলোচনার কেন্দ্রে এসে, নায়নতারা উল্লেখ করেন যে, ধনুষের পক্ষ থেকে একটি আইনি নোটিস তাঁকে গ্রহণ করতে হয়েছে, যেখানে ট্রেলার মুক্তির পর কয়েক সেকেন্ডের পিছনের দৃশ্যগুলির ব্যবহারের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলা হয়েছে। ১০ কোটি রুপি ক্ষতিপূরণের দাবি নিয়ে এই নোটিসটি ছিল নাুমাত্র চমকপ্রদ।
দৃশ্যপটের নেপথ্যে ষড়যন্ত্রের গন্ধ
নায়নতারা এই পদক্ষেপকে “সময়ের সবচেয়ে নিচু স্তর” বলে অভিহিত করেছেন এবং প্রশ্ন তুলেছেন, “একজন প্রযোজক কি প্রকৃতপক্ষে সেটের সকল মানুষের জীবন, স্বাধীনতা ও স্বাধীনতা নিয়ন্ত্রণ করতে পারে?”
পূর্বের ক্ষোভ এবং জনসাধারণের সমালোচনা
নায়নতারা তাঁর চিঠিতে আরও উলেখ করেন, ‘নানুম রাওডি ধানে’ মুক্তির সময়কার কিছু পুরনো সমস্যার কথা। তিনি মন্তব্য করেন যে, ধনুষের অহংকার ছবির সাফল্যে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল এবং এটি পুরস্কার অনুষ্ঠানগুলিতেও স্পষ্ট ছিল। তিনি লেখেন, “আপনার অহংকার ছবির ব্লকবাস্টারে আঘাতপ্রাপ্ত হয়েছিল…”
ভুল বোঝাবুঝির কারণ কেমন হতে পারে?
নায়নতারা আরও অভিযোগ করেছেন যে, ধনুষের তার এবং তাঁর সঙ্গীকে নিয়ে বিরক্তি রয়েছে, যা কেবল তাদের ডকুমেন্টারি নয়, বরং তাদের পুরো দলের সহযোগিতাতেও প্রভাব ফেলেছে।
পূর্বের ক্ষোভ ছেড়ে দেওয়ার আহ্বান
চিঠির শেষ অংশে, নায়নতারা ধনুষকে উত্সাহিত করেছেন যে, পুরনো ক্ষোভগুলো ভুলে গিয়ে একটি আরও ইতিবাচক মনোভঙ্গি গ্রহণ করে। তিনি বলছেন, “পৃথিবী একটি বৃহৎ জায়গা, এটি সবার জন্য। আপনি জানেন এমন লোকেদের জীবনে সফল হওয়া ঠিক আছে…”
এখন দেখা যাক, ধনুষ এই খোলামেলা চিঠির প্রতিদানে কিভাবে সাড়া দেন। সম্প্রতি, নায়নতারা ও ঋষি কাপূরের বিয়ের ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচারিত হয়েছে, যেটি নতুন আলোচনার সৃষ্টি করেছে।
এখন চেষ্টা করা হচ্ছে ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির এই অঙ্গনে অভিনয় এবং ব্যক্তি জীবনের মধ্যে সম্পর্কের সত্যিকারের ব্যাখ্যা করার।
দর্শকরা এখন মাধ্যমে জানতে পারছেন, এটা শুধুমাত্র একটি শিল্পের কাহিনি নয়, বরং তার সাথে সম্পর্কিত নানা মানুষের অনুভূতির টানাপড়েন।