আবন্দান্তিয়ার নতুন প্রকল্পে মাধুরী দীক্ষিত ও তৃতী দিম্রীকে নিয়ে এক নতুন সিনেমার আগমনী সম্ভাবনা প্রকাশ পেয়েছে। যেখানে মা-ছ daughter’s সম্পর্কের গাছ সদরঘাট, হাসির সার্বজনীনতা এবং শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাত্রা করবে। চলচ্চিত্রের জগতে নারী শক্তির প্রবক্তা ও ঐতিহ্যগত সম্পর্কের নতুন অধ্যায় রচনা করছে। অভিনেত্রীরাই যে গল্পের মূল চালিকা শক্তি হতে পারেন, এটি আবারো প্রমাণিত হচ্ছে।
ফিল্মের জগতে মা-মেয়ের গল্প: মাধुरी ও ত্রিপ্তির নতুন যুগলবন্দী
আবন্দন্তিয়া এন্টারটেইনমেন্টে এখন উত্তেজনার পারদ চড়ছে। সংস্থাটি তাদের নতুন প্রকল্প উন্মোচন করতে চলেছে, যা কমেডি, নাটক এবং অ্যাকশনের একটি মিশ্রণ। এই প্রযোজনা সংস্থার প্রধান বিক্রম মালহোত্রা এবার মাধুরি দীক্ষিত এবং ত্রিপ্তি ডিমরিকে নিয়ে আসছেন, যারা ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’-এর তারকা। এই অত্যন্ত প্রত্যাশিত ছবিটির পরিচালনা করছেন খ্যাতনামা সুরেশ ত্রিবেনি, যিনি এর আগে ২০২২ সালে নির্মিত ‘জলসা’ নাটকীয় চলচ্চিত্রে বিক্রি বালান এবং শেফালি শাহের সঙ্গে সফলভাবে কাজ করেছিলেন।
প plot রেখেছে রহস্যের চাদর
পিপিং মুনের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, ছবিটির কাহিনীর বিস্তারিত এখনও সযত্নে গোপন রাখা হয়েছে, তবে নিঃসন্দেহে এর বিশেষ আকর্ষণ হলো মাধুরি ও ত্রিপ্তির যুগলবন্দী। Male lead চরিত্রের জন্য কাস্টিং এখনও চলছে, যা এই প্রকল্পকে আরো রহস্যময় করে তুলছে। জানা গেছে, তারা এক মা-মেয়ের চরিত্রে অভিনয় করবেন, যারা হাসি-আনন্দ ও উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে একাধিক আবেগের উত্থান-নামন নিয়ে এগিয়ে যাবেন। তাদের পরিকল্পনা মার্চ-এপ্রিল ২০২৫ সালে ছবিটি শুটিং শুরু করার।
ভূমিকা: পুনর্মিলন ও গতিশীল সম্পর্ক
মাধুরি ও ত্রিপ্তির জন্য এটি প্রথমবার নয় যে তারা একসাথে পর্দায় আসছেন। তারা ইতিমধ্যে কার্তিক আরিয়ান এবং বিক্রি বালানের আসন্ন হরর-কোমেডি ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ ছবিতে একসাথে অভিনয় করবেন, যা দীপাবলিতে মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। অন্যদিকে, ত্রিপ্তি ডিমরি অবশ্যই ভিকি বিদ্যাকা ‘হওয়া ওয়ালা ভিডিও’, ‘ভুল ভুলাইয়া ৩’ এবং ‘ধড়ক ২’-এসহ অসাধারণ তালিকা প্রস্তুত করেছেন। এছাড়া, তিনি আনুরাগ বসুর রোমান্টিক ছবি এবং বিশাল ভারদ্বাজের অ্যাকশন ড্রামাতে কার্তিক আরিয়ান ও শহিদ কাপুরের বিপরীতে কাজ করার গুঞ্জন উঠেছে।
ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির পরিবর্তন: নতুন গল্পের আবাহন
মাধুরি ও ত্রিপ্তির অভিনয় কেবল বিনোদনই নয়, বরং সমাজের প্রেক্ষাপটের সঙ্গে যুক্ত একটি শক্তিশালী সূচনা। তারা মা এবং মেয়ের সম্পর্কের জটিলতাগুলোকে তুলে ধরতে সক্ষম হবেন বলেই আশা করা হচ্ছে। বর্তমান সমাজে নারী চরিত্রের শক্তি বাড়ানোর প্রয়োজনীয়তাও এই চলচ্চিত্রের মূল অপরাধটি হয়ে উঠতে পারে। মুম্বাই ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে নারীদের ক্ষণস্থায়ী ও অবিচ্ছিন্ন ভূমিকা যে কতটা গুরুত্বপূর্ণ, তা আবারো এই চলচ্চিত্রের মাধ্যমে প্রমাণিত হবে।
উপসংহার: সিনেমা শিল্পের চলমান ধারা
তাহলে, বলিউডের এই নতুন প্রকল্পটি কি শুধুই একটি সাধারণ মা-মেয়ের গল্প নাকি সমাজে বড় ধরনের পরিবর্তনের জন্ম দেওয়ার সামর্থ্য রাখে? এমন সময়ে যখন দর্শকদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং পছন্দ ক্রমাগত উন্নত হবে, তখন এই প্রকল্পটি দর্শকদের চাহিদার সঙ্গে কীভাবে সামঞ্জস্যপূর্ণ হবে, সেটাই দেখার বিষয়। অথচ, মনে রাখতে হবে, বলিউডে গল্প বলার রীতিতে পরিবর্তন হচ্ছে; প্রথাগত প্লটের বাইরে গিয়ে নতুন ধরনের আকর্ষণ তৈরি করতে হবে।