বোলিউডের সুরে সুরে: শিল্পী, লেখক, ও সাহসী স্বর – সঠিক নামের খোঁজে কতোটা হারিয়ে যাচ্ছে কল্যাণ?

NewZclub

বোলিউডের সুরে সুরে: শিল্পী, লেখক, ও সাহসী স্বর – সঠিক নামের খোঁজে কতোটা হারিয়ে যাচ্ছে কল্যাণ?

বলিউডের কাহিনীতে নতুন আলোচনার জন্ম দিয়েছেন লেখক-গীতিকার নীলেশ মিশ্র। তিনি নেটফ্লিক্সের সিরিজ IC 814: The Kandahar Hijacking এর ভুয়ো সমালোচনা নিয়ে কথা বলেন, দাবী করে যে সন্ত্রাসীদের কোডনাম ব্যবহারে কিছু ভুল নেই। অন্যদিকে, অভিনেত্রী কঙ্গনা রানাউত দেহের ইতিবাচকতা নিয়ে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন, যদিও মিশ্র তাঁর গানের অধিকারকে তুলে ধরতে চান। গীতিকারদের যথাযথ স্বীকৃতি না পাওয়ার প্রসঙ্গ তুলে তিনি নতুন সঙ্গীত উদ্যোগের কথা উল্লেখ করেছেন, যা চলচ্চিত্রের গন্ডি ছাড়িয়ে সৃষ্টিশীলতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে।

বোলিউডের সুরে সুরে: শিল্পী, লেখক, ও সাহসী স্বর – সঠিক নামের খোঁজে কতোটা হারিয়ে যাচ্ছে কল্যাণ?

বলিউডের জগতে সাহিত্যের করুণ কাহনি: নিলেশ মিশ্রের প্রতিকার

লেখক-গীতিকার-সাংবাদিক নিলেশ মিশ্র हाल ही में नेटफ्लिक्स की श्रृंखला IC 814: द कंधार हाइजैकिंग को защитने के लिए सुर्खियों में आए हैं। उन्होंने इस धारावाहिकের आलोचनার বিরুদ্ধে जबरদস্ত যুক্তি পেশ করেছেন। মিশ্রের নিজের বই, 173 Hours in Captivity, উল্লেখ করে তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের জন্য কোডনাম ব্যবহার করা একটি যথার্থতা, এবং এই সিরিজের বিরুদ্ধে গৃহীত সমালোচনা মাটির মতো। সন্ত্রাসীদের আসল নাম ব্যবহার না করার কারণে সিরিজের প্রতি যে সমালোচনা করা হচ্ছে, তা অজ্ঞাতভাবে।

মিশ্র লেখক và চলচ্চিত্র নির্মাতাদের সৃজনশীল নির্বাচন সুরক্ষিত করেছেন, তবে সম্প্রতি তিনি ব্যক্তিগত কিছু বিষয় নিয়ে একটি টুইট বিনিময়ে আলোচনা করেছেন। এর মধ্যে অভিনেতা-রাজনীতিবিদ কঙ্গনা রনৌত একটি ভিডিও শেয়ার করেন, যেখানে তিনি নারীদের নিজেদের ত্বকে আত্মবিশ্বাসী হওয়ার কথা জানান। ভিডিওটির সঙ্গীতে “क्या मुझे प्यार है” গানটি শোনা যায়। এই প্রসঙ্গে নিলেশ মিশ্র একটি ভিন্ন কিন্তু প্রাসঙ্গিক দৃষ্টিভঙ্গি উল্লেখ করেছেন। তিনি লেখেন, “আমি এই সিনেমার জন্য ‘क्या मुझे प्यार है’ গানটি লিখেছিলাম। দুঃখের বিষয় আমি মিউজিক লঞ্চে আমন্ত্রণই পাইনি। লেখকদের জন্য এটি একটি চিরন্তন গল্প।”

শিল্পীদের উৎপাদনশীলতা এবং লেখকদের স্বীকৃতি

এই তথ্যটি অনেকের কাছে একটি বিস্ময় ছিল, যাঁরা নিলেশ মিশ্রের কাজ হিসেবে এই আইকনিক KK গানের জন্য লেখক হিসেবে অন্তত আগে জানতেন না। তবে এটি লেখককে চলচ্চিত্র সঙ্গীত শিল্পের একটি বৃহত্তর সমস্যা তুলে ধরার সুযোগ দিয়েছে। একটি নেটিজেন যখন এই বিষয়ে অবাক হয়ে মন্তব্য করেন, তখন নিলেশ মন্তব্য করে লেখেন, “এটি কারণ রেডিও স্টেশনগুলি (এবং এখন ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মগুলিও) খুব কমই গীতিকারদের কৃতিত্ব দেয়।”

সঙ্গীতের নতুন দিগন্ত: #SlowMusic লেবেল

বিজ্ঞানটি সেই প্রমাণ দিয়েছে যে অল ইন্ডিয়া রেডিও সমস্ত গীতিকার ও সুরকারদের কৃতিত্ব দিয়েছিল — সে কারণে আমরা জানি কোন গানটি কে লিখেছিল এবং কার সুর ছিল। কিন্তু নিলেশ কেবল অসন্তোষ প্রকাশ করছিলেন না; বরং তিনি বিষয়টির গভীরে প্রবেশ করেছিলেন। যখন একজন উদ্বিগ্ন নেটিজেন প্রশ্ন করলেন একটি ক্রাউড-ফান্ডিং প্রেক্ষাপট তৈরি করার সম্ভাবনা নিয়ে, যেখানে মহান সঙ্গীত তৈরি হতে পারে যা সিনেমার জগতের সাথে যুক্ত না হয়, নিলেশ বললেন, “আমরা #SlowMusic লেবেল চালু করেছি। আমরা চাই মানুষ এতে বিনিয়োগ করুক এবং লাভ পাক। আমাদের অডিও এবং ভিডিও কনটেন্ট মুল্যায়নের জন্য সমস্ত সম্ভাব্য আইডিয়াগুলি স্বাগত।”

বর্তমান বলিউড ও সামাজিক পরিবর্তন

এই ঘটনাগুলি থেকে স্পষ্ট যে, বলিউড বর্তমানে একটি রূপান্তরিত সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। যেখানে কঙ্গনা এবং অন্যান্যরা নারীদের আত্মবিশ্বাস বানানোর চেষ্টা করছেন, সেখানে নিলেশ নতুন সঙ্গীতের তত্ত্ব এবং লেখকদের স্বীকৃতির জন্য লড়াই চালাচ্ছেন। সর্বোপরি, বলিউডের এই পরিবর্তনশীল দৃশ্যপটে যে সমস্যাগুলো রয়েছে, তা কেবল চলচ্চিত্র শিল্পেই সীমাবদ্ধ নয়, বরং এটি আমাদের সমাজের প্রতিফলন।

মন্তব্য করুন