রাওয়ানি বাণিজ্যে নিয়ে আসা জিগ্রা সিনেমার মুক্তিতে বাধা দূর করেছে রাজস্থান হাইকোর্ট, যা আলিয়া ভাটের অভিনয়ে প্রেম, পারিবারিক বন্ধনের গল্প বলে। আদালতের রায় অনুযায়ী, ট্রেডমার্কের অভিযোগ তোলা ব্যক্তি তার নামে কোনও বাণিজ্য করবেন না খুঁজে পেয়েছেন, তাই জরুরি এই সিনেমাটি ১১ অক্টোবর মুক্তি পাবে। দর্শকদের মধ্যে সিনেমার পেক্ষাগৃহে যাওয়ার আগ্রহ বাড়ছে, যা ভারতীয় ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রির প্রতিক্রিয়া এবং অভ্যন্তরীণ গতিশীলতার একটি উদাহরণ।
আলিয়া بھাটের ‘জিগরা’ মুক্তি: আদালতের হস্তক্ষেপে নাটকের অবসান!
রাজস্থান হাইকোর্ট সম্প্রতি একটি নিম্ন আদালতের স্থগিতাদেশ তুলে নিয়েছে, যা আলিয়া بھাটের চলচ্চিত্র ‘জিগরা’র মুক্তি ব্যাহত করছিল। জোধপুরে এই ছবির মুক্তির ক্ষেত্রে এই রায়টি এসেছে, যা কিনা একটি ট্রেডমার্ক লঙ্ঘনের অভিযোগের কারণে আটকে ছিল। আদালতের সিদ্ধান্তের ফলে, ‘জিগরা’ এখন আগামী শুক্রবার, ১১ অক্টোবর মুক্তি পেতে চলেছে।
বিচারপতিরা বিস্তৃত বিশ্লেষণ করেছেন
বিচারপতি পুষ্পেন্দ্র সিং ভাটী এবং মুনুরি লক্ষ্মণের বেঞ্চ তাদের প্রাথমিক মতামত প্রদান করে জানিয়েছেন যে, ছবিটির নাম ‘জিগরা’ ভল্লরাম চৌধুরীর ট্রেডমার্ক অধিকার লঙ্ঘন করে না। বিচারপতিরা মন্তব্য করেন, “এছাড়া, আবেদনকারী নাম ‘জিগরা’ ব্যবহার করছে না, বরং এটি একটি কোম্পানি, অর্থাৎ, ধর্মা প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেড। তাই, ধর্মা প্রোডাকশন প্রাইভেট লিমিটেডের নামের অধীনে একটি সিনেমা ‘জিগরা’ নামকরণ করা ট্রেডমার্ক আইনের লঙ্ঘন নয়।” আদালত আরও বলে, যদি কোনো লঙ্ঘন ঘটে, তবে তারা অর্থনৈতিক ক্ষতিপূরণ বা অন্যান্য উপযুক্ত প্রতিকার প্রদান করতে পারে। বিচারপতিরা এই বিষয়েও মন্তব্য করেন যে, আবেদনকারীর আর্থিক ক্ষতি হওয়া উচিত নয় সিনেমাটির মুক্তি আটকে দেওয়ার কারণে।
প্রতিক্রিয়া: ইন্ডাস্ট্রির লাগে অন্য এক চেহারা
চৌধুরী দাবি করেছেন যে, তিনি ‘জিগরা’ নামের একটি অনলাইন ক্লাস পরিচালনা করেন এবং সেপ্টেম্বর ২০২৩-এ ট্রেডমার্কের অধিকার পান। এই ট্রেডমার্কটি শিক্ষা, বিনোদন এবং প্রশিক্ষণ সেবার অন্তর্ভুক্ত। ধর্মা তার বিরুদ্ধে পাল্টা দাবি করেছে যে, আবেদকের কোনও বাণিজ্য নেই যা সিনেমার উৎপাদনের মাধ্যমে ট্রেডমার্ক আইন লঙ্ঘন করে।
জিগরার গল্প ও অভিনেতাদের অভিনয়
‘জিগরা’ ছবিতে আলিয়া ভাট এবং বেদাং রায়না অভিনয় করেছেন, যেখানে একটি বোন তার ভাইকে রক্ষা করতে যে সবকিছু করতে প্রস্তুত, তার গল্প বলা হয়েছে। এই ছবিটি পরিচালনা করেছেন ভাসান বালা এবং এটি ১১ অক্টোবর সিনেমা হলে মুক্তি পেতে চলেছে। ছবির গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে পারিবারিক সম্পর্ক এবং আত্মত্যাগের স্বরূপ রয়েছে, যা দর্শকদের মনে ভালো লাগার জায়গা তৈরি করবে।
সিনেমার সমাজে প্রভাব
বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পের এই ঘটনা কিছু প্রশ্ন উত্থাপন করছে। সিনেমার মুক্তির উপর আদালতের হস্তক্ষেপ, বিশেষ করে যখন ট্রেডমার্কের স্বত্বের সংঘাতের মতো বিষয়গুলি জড়িত থাকে, তা কি সত্যিই সৃষ্টির মূলে চলে আসছে? চলচ্চিত্র এবং বিনোদন শিল্পে এই ধরনের ঘটনাগুলি ভক্তদের মানসিকতা এবং শিল্পের প্রতি তাদের ধারণাকে প্রভাবিত করতে পারে।
শেষ কথা: বাস্তবের প্রতিফলন
আলিয়া ভাটের ‘জিগরা’ মুক্তির মাধ্যমে বোঝা যায় যে , আদালতের হস্তক্ষেপও মাঝে মাঝে চলচ্চিত্রের স্বার্থ রক্ষার জন্য একেবারে অপরিহার্য। তবে, কিভাবে ট্রেডমার্ক এবং শিল্পের সৃজনশীলতা একসঙ্গে চলমান থাকবে, তাই এখন দেখার বিষয় হবে। দর্শক কি নতুন অভিজ্ঞতার জন্য প্রস্তুত?