কৃতী সানন তার নতুন প্রযোজনা ‘ডো পাটটি’ দিয়ে বলিউডে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করতে চলেছেন, যেখানে তিনি ডাবল রোলে অভিনয় করছেন। কাহিনীতে যমজ বোনের রহস্য আর একটি তদন্তকারী পুলিশের গল্প, সত্য এবং মিথ্যার সীমারেখা ভেঙে নতুন মাত্রা যোগ করছে। এই চলচ্চিত্রটি প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশোধের মেলবন্ধন।
নতুন যাত্রা: উজ্জ্বলতা ও দ্বন্দ্বের বিচিত্র কাহিনী ‘টু পাতি’
ক্রীতি স্যানন তাঁর নতুন চলচ্চিত্র ‘টু পাতি’ দিয়ে প্রযোজক হিসেবে নতুন যাত্রা শুরু করছেন। এ ছবিতে তিনি প্রথমবারের মত দ্বৈত ভুমিকা পালন করবেন, যা তাকে দেওয়ার সন্মান দেয় তুলনাহীন এক অভিজ্ঞতা। ক্রীতির প্রযোজক হিসেবে এই প্রথম কাজ, তাই তিনি ছবিটি বিশেষভাবে পরিণত করার জন্য কোনোভাবেই চিন্তা করছেন না। ছবিটি একটি থ্রিলার, যা ক্রীতির জন্য আবারও একটি নতুন অভিজ্ঞান।
নতুন পরিচালক এবং একটি রহস্যজনক কাহিনী
কানিকা ধিলনের ‘কাঠা পিকচারস’ এবং ক্রীতি স্যাননের ‘ব্লু বাটারফ্লাই ফিল্মস’ যৌথভাবে প্রযোজিত এই ভারতীয় নাটকীয় থ্রিলারটি নতুন পরিচালক শাশাঙ্ক চান্টুর্বেদির দ্বারা নির্মিত। কানিকা ধিলনের লেখা এই গল্পে অভিনয় করেছেন কাজল, যিনি ক্রীতি স্যাননের সঙ্গে একটি টুইস্টেড গল্পে দ্বৈত বোনের ভূমিকায় থাকবেন, তাদের গোপন রহস্য নিয়ে। ছবির কাহিনী প্রবাহিত হয় দেবীপুর, উত্তরাখণ্ডের কুয়াশাচ্ছন্ন পাহাড়ে, যেখানে একটি খুনের চেষ্টা মামলা খুঁজে বের করতে একটি নির্ধারিত পুলিশ ইন্সপেক্টর গল্পের কেন্দ্রে আছেন।
দ্বন্দ্বের ভেতরে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশোধ
এই ছবির কাহিনীতে প্রেম, বিশ্বাসঘাতকতা এবং প্রতিশোধের মধ্য দিয়ে ধোঁকা, বিভ্রান্তি এবং নাটকীয়তার একটি মেলা দেখা যাবে। ছবিতে শহির শেখও তার প্রথম চলচ্চিত্রে অভিনয় করছেন, যিনি সুঠাম ধ্রুব সুদ চরিত্রে আবির্ভূত হচ্ছেন, যিনি তাঁর নিজস্ব আসুরিক দানবগুলোকে রক্ষা করতে একটি বিপজ্জনক প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করছেন।
আইন এবং ন্যায়ের মাঝে এক তরঙ্গময় রেখা
কানিকা ধিলনের লেখা ‘টু পাতি’ ছবিতে জটিল চরিত্রগুলি দেখানো হয়েছে, যারা আইন এবং ন্যায়, সঠিক এবং ভুলের মাঝে সীমা সৃষ্টি করেছেন। ছবিটি ২৫ অক্টোবর নেটফ্লিক্সে মুক্তি পাবে, যা সমাজের প্রতিফলন সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে। দর্শকদের মধ্যে একটি প্রশ্ন উত্থাপন করবে: বাস্তবিকতা এবং চিত্রনাট্য কিভাবে একে অপরকে প্রভাবিত করে? চলচ্চিত্রের বিশ্বের আপাতদৃষ্টিতে উজ্জ্বলতা, কি তা শুধুই রূপের ফাঁকি? এই প্রশ্নগুলোর সাথে দর্শকদের যুক্ত করে দেয় বৈষম্য এবং চ্যালেঞ্জের এক নতুন মাত্রা।
এক নতুন গল্পের সূচনা
এবং তাই, ‘টু পাতি’ সিনেমার মাধ্যমে ক্রীতি স্যানন শুধুমাত্র একজন প্রযোজক হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করবেন না, বরং একাধারে অভিনেত্রী হিসেবে তাঁর অভিনয়গুণের নতুন চেহারা উন্মোচন করবেন। ছবিটি বর্তমান চলচ্চিত্র শিল্পের পরিবর্তনশীল মুখের প্রবাহে নতুন একটি দিশারী হতে পারে। এক প্রশ্ন বদ্ধমূল থাকে, ব্যবসায়িক কৌশল ও শিল্পের বেড়াজালে অনেক অদ্ভুত অভিজ্ঞতা প্রবাহিত হচ্ছে, তবে ‘টু পাতি’ কি দর্শকদের হৃদয়ে একটি চিন্তার সরীসৃপ এনে দেবে? সকলেই লক্ষ্য রাখবেন!